আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটের চেহারা শেষ পর্যন্ত কেমন হতে চলেছে, তার মহড়া আগামিকাল। উত্তরপ্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্র এবং নূরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই উপনির্বাচন নিঃসন্দেহে বিরোধী জোটেরও বড় পরীক্ষা। এর আগে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর এবং ফুলপুরে এসপি-বিএসপি এক ছাতার তলায় এসে বিজেপির দখলে থাকা কেন্দ্র দু’টি ছিনিয়ে নিয়েছে বিরোধীরা। এ বার সেই ছাতার পরিধি বড় হয়ে তাতে যুক্ত হয়েছে অজিত সিংহের আরএলডি। শুধু তা-ই নয়, এই বৃহত্তর ছাতাকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, আপ, নিষাদ পার্টি এবং ভীম আর্মি। সোমবারের ভোটে যদি কৈরানা এবং নূরপুর কেন্দ্রও বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে এককাট্টা বিরোধী শিবির, তা হলে লোকসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে মোদী-বিরোধী হাওয়া তীব্রতর করা যাবে বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির।
২০১৪-য় কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হুকুম সিংহ। তাঁর মৃত্যুতেই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে গত বছরই রাজ্যে যোগী-ঝড়ে নূরপুর বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছিল ৫৭ শতাংশের বেশি ভোট। এমনিতে অঙ্কের হিসেবে বিজেপির এই দু’টি কেন্দ্র নিয়ে চিন্তা ছিল না। কিন্তু গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর তাদের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দিয়েছে। এই উপনির্বাচনে জিততে বিজেপি যে মরিয়া, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রবিবার খোদ নরেন্দ্র মোদীর কৈরানার লাগোয়া বাগপতে সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে আক্রমণাত্মক প্রচারে। দু’টি কেন্দ্রই দখলে রাখতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। নিজে তো নিরন্তর প্রচার করেছেনই, রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রীকেও আসরে নামিয়েছেন।
আরএলডি এবং এসপি নেতৃত্বের দাবি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং আখচাষিদের ক্ষোভই সোমবারের ভোটে বড় বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। পরিস্থিতিতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে গত কাল উদয়বীর সিংহ নামে এক আখচাষির ধর্নারত অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা। কৈরানায় আরএলডি প্রার্থী তবস্সুম হাসানের কথায়, ‘‘এই এলাকার আখচাষিরা সব চেয়ে বেশি দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের কোনও পাওনা মেটাচ্ছে না।’’ এই ক্ষোভই সোমবার ভোটযন্ত্রে আছড়ে পড়বে বলে আশায় বিরোধী শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy