যোগী আদিত্যনাথ
রামলালা দর্শন-সরযূ তীরে পুজো-জয় শ্রীরাম স্লোগান-আলোচনার মাধ্যমে রামমন্দির বানানোর আহ্বান-সাড়ে তিনশো কোটি টাকার অযোধ্যা উন্নয়ন প্যাকেজ।
মঙ্গলবারই লখনউয়ের আদালতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবাণীদের বিরুদ্ধে। আর আজ অযোধ্যায় ন’ঘণ্টার ঠাসা কর্মসূচিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্পষ্ট করে দিলেন, শুধু উন্নয়ন নয়, পরের লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম এজেন্ডা হবে হিন্দুত্বও। মোদী-যোগী জুটি মিলেই মিশেল হবে উন্নয়ন আর হিন্দুত্বের।
অযোধ্যার উন্নয়নের সব কৃতিত্ব মোদীকেই দিলেন যোগী। আর নিজে মুখে বললেন ‘জয় শ্রীরাম’। আগামী দু’বছর ধরে বাবরি-মামলা চলার সময় এমনিতেই রামমন্দিরের হাওয়া ধাপে ধাপে তীব্র হবে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আজ অযোধ্যায় হিন্দুত্বের ভিতটিও পুঁতে দিলেন যোগী। এমনকী তাঁর অযোধ্যা থেকে ভোটে লড়ার তোড়জোরও চলছে তলে তলে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর্ব শেষ হলে সাংসদ পদ ছেড়ে যোগীকে অযোধ্যা থেকেই বিধানসভা ভোটে লড়ার পরামর্শ দিয়েছেন সঙ্ঘের কিছু নেতা। যোগীকে সেই আসন ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই ওই আসনের বিজেপি বিধায়ক বেদ প্রকাশ গুপ্তেরও।
বুধবার রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রধান নৃত্যগোপাল দাসের জন্মদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অযোধ্যার জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেন যোগী। বক্তব্যের শেষে বলেন, ‘‘আমি জানি আপনাদের মনের কথা। রামজন্মভূমিতে রামমন্দির নির্মাণের জন্য আলোচনার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। লখনউয়ে মুসলিমদের কিছু সংগঠনও এই জমি হিন্দুদের ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে। সকলে মিলে থাকলে ঐক্য ও সৌহার্দ্যের পরিবেশে শত্রুর মোকাবিলা করা সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: বাবরি ধ্বংসের অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ‘রামজন্মভূমি’ সফরে যোগী আদিত্যনাথ
মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অযোধ্যা যেতে চেয়েছিলেন যোগী। তখন দিল্লি থেকে তাঁকে বারণ করা হয়। কিন্তু এখন বাবরি-মামলার হাওয়া উঠতেই যোগীকে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। মহন্তদের অনেকে এখনও আশায় আছেন, সামনের বছরেই রামন্দির নির্মাণ হবে অযোধ্যায়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এখনও দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। বিরোধীরা বলছে, ‘‘বিজেপির স্লোগান, ‘মন্দির হাম বানায়েঙ্গে, তারিখ নেহি বাতায়েঙ্গে’!’’ মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, তারিখ তো সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
যদিও বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, মন্দির এখনই তৈরি হয়ে গেলে হিন্দুত্বের এজেন্ডাই তীব্র আকার নেবে। ঢেকে যাবে উন্নয়ন। বিরোধীরা আরও রে-রে করে উঠবে। উন্নয়নের সঙ্গে হিন্দুত্বের ভারসাম্য রেখেই লোকসভার বৈতরণী পার করাই বিজেপির কৌশল। যোগীর আজকের সফর সাজানো হয়েছিল সে ভাবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy