Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভিডিও-বার্তা তরুণ জঙ্গির

আত্মঘাতী হামলার আগে ভিডিও তুলে আরও তরুণের মগজ ধোলাইয়ের মরিয়া চেষ্টা! তাদের সন্ত্রাসের পথে জন্নতে পৌঁছনোর ডাক! এমনটা আগে কাশ্মীরে কখনও হয়নি। নিহত জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ফারদিন খান্ডে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রশাসন ও বাহিনীকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

আত্মঘাতী হামলার আগে ভিডিও তুলে আরও তরুণের মগজ ধোলাইয়ের মরিয়া চেষ্টা! তাদের সন্ত্রাসের পথে জন্নতে পৌঁছনোর ডাক! এমনটা আগে কাশ্মীরে কখনও হয়নি। নিহত জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ফারদিন খান্ডে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রশাসন ও বাহিনীকে।

বছরের শেষ দিনে পুলওয়ামার আধাসেনা ছাউনিতে হামলা চালানোর আগে ১৬ বছরের এই কিশোর ভিডিও তুলেছিল নিজের। তাতে সে বলে, ‘‘আপনারা যখন এই ভিডিও দেখছেন, তখন আমি জন্নতে, আল্লার অতিথি।’’ কাশ্মীরের আজাদির জন্য ভূস্বর্গের তরুণদের ‘জেহাদের পথে’ নামার ডাক দেয় সে। ফারদিনের মৃত্যুর পরে ৮ মিনিটের সেই ভিডিও এখন ভাইরাল।

পুলিশকর্মীর ছেলে, ত্রালের ফারদিন যে বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে, তিন মাসেও গোয়েন্দারা কেন সেই তথ্য পেলেন না, সে প্রশ্ন থাকছেই। তার চেয়ে গুরুতর যে দিকটি প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ভাবাচ্ছে, তা হল এমন উত্তেজক ভিডিও আরও কত তরুণকে হিংসার পথে নিয়ে যাবে! বিশেষ করে উপত্যকার যুবকদের যখন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ফিরেও আসছে। গ্রেনেড ছেড়ে ফের তুলে নিচ্ছে ফুটবল। তারই মধ্যে ১৬ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু, মরার আগে হিংসার পথে নামার ‘প্রত্যয়ী’ ডাক সেই চেষ্টায় অনেকটাই জল ঢেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, এটা মানছে নিরাপত্তা বাহিনী। ভিডিওটি তারা পরীক্ষা করে দেখছে। খোঁজা হচ্ছে এর প্রচার ঠেকানোর রাস্তাও।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন? খেলুন কুইজ

ফারদিনের শেষ যাত্রায় যত মুখ আজ সামিল হয়েছিল, তাতেও মিশে ছিল বহু তরুণ মুখ। তাদের স্লোগান, শূন্যে মুঠি তোলা ভঙ্গিই বুঝিয়ে দেয়, এটা যতটা না এক পুলিশ পরিবারের সন্তান হারানোর শোক, তার চেয়েও বেশি যেন ফারদিনের জেহাদি পথের প্রতি সহমর্মিতা। ‘‘এটা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়,’’ বিড়বিড় করে বললেন সেখানে উপস্থিত এক নিরাপত্তা কর্মী।

অন্য দিকে, নিহত দুই সিআরপিএফ জওয়ান শরিফুদ্দিন গনাই ও তৌফেল আহমেদও কাশ্মীরি। তাঁদের শেষকৃত্যেও ভিড় করেছিলেন কাশ্মীরিরাই। তৌফেলের ছেলের আর্তি, ‘‘পাকিস্তানের চেয়ে ভয়ঙ্কর রাষ্ট্র আর নেই। সরকারকে বলছি, একটা কিছু করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE