গ্রেফতার: বিকাশ বরালা
চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত জোড়া হল অপহরণের চেষ্টার ধারা। আর সেই সঙ্গেই চণ্ডীগড় কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি সুভাষ বরালার ছেলে বিকাশ ও তার সঙ্গীকে।
শুক্রবার রাতে চণ্ডীগড়ের আইএএস অফিসার বীরেন্দ্র কুণ্ডূর মেয়ে বর্ণিকাকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাওয়া করা, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল বিকাশ ও তার বন্ধু আশিস কুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে অপহরণের চেষ্টারও। কিন্তু গুরুতর অভিযোগের পরেও জামিন অযোগ্য ধারা না দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর জামিন দিয়ে ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে দেশব্যাপী চাপের মুখে এখন তদন্তের রাস্তা বদলে ফেলেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় মুখ পোড়ার পরে হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি সুভাষ বরালাও জানিয়ে দেন, ছেলে অন্যায় করলে পাশে দাঁড়াবেন না তিনি।
আজ সকাল ১১টায় চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৬ থানায় হাজির হওয়ার জন্য বিকাশ ও আশিসকে সমন পাঠানো হয়। কিন্তু শুরুতে টালবাহানা করলে পুলিশ বিকাশের খোঁজে তাদের টোহানা-র একটি ফার্ম হাউসে তল্লাশি চালায়। পুলিশের কড়া মনোভাব বুঝেই ঝুঁকি না নিয়ে কয়েক ঘণ্টা পরেই থানায় হাজির হয় অভিযুক্তরা। কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকেই।
আরও পড়ুন: সুগতের তিরে বিদ্ধ, মুগ্ধও বটে প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার রাতেই বর্ণিকা অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে ওই ধারাকে না রাখলেও আজ কেন সিআরপিসি-র ৩৬৫ ও ৫১১ ধারা জোড়া হল, তা নিয়ে চণ্ডীগড় পুলিশের ডিজি তেজেন্দ্র সিংহ লুথরাকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তাঁর ব্যাখ্যা, ঘটনার পরে ৬টি সিসিটিভি ফুটেজ, তিন জনের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান, অপরাধ ঘটার সময়ে ধাওয়া করার যে রাস্তা ও সময়ের কথা বর্ণিকা জানিয়েছিলেন, তা-ও মেলানো হয়েছে। সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেও নতুন তথ্য সামনে এসেছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই অপহরণের চেষ্টার ধারা জোড়া হয়েছে।
প্রভাবশালী তত্ত্বের পাশাপাশি অভিযুক্তদের রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা না করিয়ে ছেড়ে দেওয়া নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ। লুথরা অবশ্য দাবি করেন, ‘‘স্বাধীন ভাবেই পুলিশ তদন্ত করছে।’’ পুলিশের যুক্তি, অভিযুক্তরা রক্ত দিতে অস্বীকার করেছিল। তাই নমুনা রাখা সম্ভব হয়নি। নিজেদের রিপোর্টে ওই কথা লেখায় আজ স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষির পক্ষ থেকে পুলিশের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তবে চণ্ডীগড় পুলিশ রিপোর্টে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের শ্বাসের পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy