রাজ্যসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন পেতে সিবিআইকে কোনও ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দলের জমি দখলের লড়াই নিয়ে সংশয় থাকারও প্রশ্ন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। এবিপি-নিউজ-এর শীর্ষ বৈঠকে এই কথা বলেন বিজেপি সভাপতি।
সাম্প্রতিক ঝালমুড়ি পর্বের পরে খোদ রাজ্য বিজেপির মধ্যেই এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কটাক্ষ করছেন, রাজ্যসভায় বিলের সমর্থনের জন্য বিজেপির দরকার মমতার সমর্থন। আর বিনিময়ে রাজ্যে সিবিআই তদন্ত লঘু করছে কেন্দ্র। যার ফলে কয়েকটি বিলে মমতা মুখরক্ষার খাতিরে বিরোধিতা করে আসলে বাকি বিল সমর্থন করছেন।
এই অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়েই আজ অমিত শাহ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করছে। আমরা সিবিআইকে দিয়ে রাজ্যসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার চেষ্টা করি না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সিবিআইয়ের তদন্ত চলে বা চার্জশিট দেওয়ার সময় আসে, তখন সক্রিয়তা বাইরে দেখা যায়। চার্জশিট দেওয়ার পরে তৎপরতা বাইরে দেখা যায় না। সিবিআইকে দিয়ে প্রভাব বিস্তার করলে মমতাজি জমি বিল সমর্থন করতেন।’’
সাম্প্রতিক পুরভোটে পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে রিগিং হয়েছে, তাতে অবাধ নির্বাচন হওয়া সম্ভব ছিল না বলে মনে করেন বিজেপি সভাপতি। তাই রাজ্যের পুরভোটের ফলকে জনমত হিসেবে দেখা উচিত নয় বলেই মনে করেন তিনি। অমিতের দাবি, বিধানসভা ভোটে এর পুনরাবৃত্তি হবে না। সেই সময়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোট হবে। আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন থাকবে। তখন স্বচ্ছ ভাবে ভোট
হবে। বিজেপি সে জন্য কোমর কষে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারস্পরিক বোঝাপড়া দেখে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন। রাজ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও পীযূষ গয়ালের সঙ্গে মঞ্চে মমতার ঘনিষ্ঠতার চিত্রও রাজ্য নেতাদের চোখে সঠিক বলে মনে হয়নি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহকে জানিয়েছিলেন, এর ফলে বিভ্রান্তিকর বার্তা যাচ্ছে জনমানসে। আজ অমিত শাহ প্রকাশ্যে সেই বিভ্রান্তি দূর করে বুঝিয়ে দিলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ধর্ম মেনে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক যাই থাক, দলগত ভাবে বিজেপি কোনও ভাবেই রেয়াত করছে না তৃণমূলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy