কাজের সূত্রে বহু বাঙালিকেই নিজের রাজ্য ছেড়ে দিল্লিতে এসে থাকতে হয়। তাদের পরের প্রজন্ম কিছুটা হিন্দি মেশানো বাংলায় কথাবার্তা বলতে পারলেও বাংলা পড়তে বা লিখতে পারে না। এই প্রজন্মের কথা ভেবেই এ বার রাজধানীতে বাংলা ভাষা শেখানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দিল্লির বঙ্গভবন বা তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের ‘মুক্তধারা’ ভবনে এই বাংলা ভাষা শেখানোর কেন্দ্র খোলা হবে। দু’টিই দিল্লির প্রাণকেন্দ্র কনট প্লেসের খুব কাছে। ফলে দিল্লির যে কোনও প্রান্ত থেকেই উৎসাহীরা আসতে পারবেন। সপ্তাহান্তে বেড়ানোর ফাঁকেও বাংলা চর্চা সেরে ফেলা যাবে। দিল্লিতে নিযুক্ত রাজ্যের প্রিন্সিপাল রেসিডেন্ট কমিশনার কৃষ্ণ গুপ্তের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনায় বাংলা শেখানো হবে ছোট ছেলেমেয়েদের। একই সঙ্গে তাদের বাবা-মায়েদের জন্য বাংলা সাহিত্য ও বাংলা সিনেমার ‘অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স’ চালু করা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এত দিন মূলত দিল্লিতে বাংলার সংস্কৃতি, হস্তশিল্প ও রাজ্যের নিজস্ব পণ্য তুলে ধরতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকেই যেমন প্রাক্-পুজো তাঁত ও হস্তশিল্পের সামগ্রীর মেলা শুরু হচ্ছে জনপথের ‘হ্যান্ডলুম হাটে’। ভাষা শিক্ষার উদ্যোগ এই প্রথম। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সূত্রের বক্তব্য, তথ্য-সংস্কৃতি দফতর ও স্কুল-শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলা শেখানোর পাঠ্যক্রম ও কোর্সের সময়সীমা ঠিক হবে।
দিল্লিতে সব রাজ্য সরকারেরই একটি করে রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিস রয়েছে। সকলেই নিজের রাজ্যের ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ নেয়, তা নয়। তবে ব্যতিক্রম কেরল। বিভিন্ন মালয়ালি সংগঠন কেরল সরকারের মালয়ালম মিশনের সহযোগিতায় প্রায় দেড়শো মালয়ালম শিক্ষণ কেন্দ্র চালায়। প্রতি বছর ঘটা করে প্রবাসী মালয়ালিদের পরীক্ষাও হয়। গুজরাত সরকার গুজরাতি শেখানোর ক্লাস চালায়। সেখানে অন্য ভাষার মানুষরাও চাইলে গুজরাতি শিখতে পারেন। এ বার সেই পথেই হাঁটবে বাংলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy