ফাইল চিত্র।
রেলের কাজে গতি আনতে চান রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। সেই জন্য সব কর্মীকে সরকারি খরচে আধুনিক ফোর জি ফোন দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে নিয়ম শিথিল করার আবেদন জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রককে।
কিন্তু সাড়ে ১৩ লক্ষ কর্মীর স্মার্টফোনের খরচ জোগানো যাবে কী ভাবে, প্রশ্ন তুলে বেঁকে বসেছে অর্থ মন্ত্রক। ফোন কেন, কী ভাবে তা ব্যবহার করা হবে, এর ফলে কী সুবিধে হবে— অর্থ মন্ত্রক সবই জানতে চেয়েছে বলে রেলের খবর।
রেলের এক আধিকারিক জানান, সিইউজি (কমন ইউজার গ্রুপ) সংযোগ ব্যবহার করেন, রেলে এমন কর্মীর সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। তাঁদের ফোনের জন্য রেলকে বছরে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা বিল দিতে হয়। নতুন করে বিপুল সংখ্যক কর্মীকে স্মার্টফোন কিনে দিতে গেল ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তা ছাড়া সরকারি নিয়মে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নীচের আধিকারিককে ফোন কিনে দেওয়ার কথা নয়। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এই বিধি শিথিল করার আবেদনই জানিয়েছেন। রেলকর্তাদের মতে, ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ট্রেন চলাচলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের হাতে স্মার্টফোন থাকলে অনেক তথ্যই দ্রুত আদানপ্রদান করা সম্ভব। কোথাও কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সেই ত্রুটি মেরামত করা যাবে। রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা অ্যাপগুলি কর্মীরা যাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করার সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। অর্থ কী ভাবে আসবে, তা নিয়ে ধন্দেআছেন রেলকর্মীরা।
এক লহমায়
• এখন মোবাইল ব্যবহার করেন ২.৫ লক্ষ আধিকারিক
• মোবাইল দিতে হবে ১৩.৫ লক্ষ কর্মীকে
• আনুমানিক ব্যয় ৫০০ কোটি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy