Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অযোধ্যার জমি নিয়ে শিয়া-সুন্নি মতভেদ

অযোধ্যার বিতর্কিত জমি তিন ভাগ করে এক ভাগ মুসলিমদের দেওয়ার রায় দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আজ উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে জানাল, দেশের শান্তি, সংহতি ও ঐক্যের স্বার্থে তারা মুসলিমদের ভাগ ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। যাতে ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরি হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৭
Share: Save:

অযোধ্যার বিতর্কিত জমি তিন ভাগ করে এক ভাগ মুসলিমদের দেওয়ার রায় দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আজ উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে জানাল, দেশের শান্তি, সংহতি ও ঐক্যের স্বার্থে তারা মুসলিমদের ভাগ ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে। যাতে ওই জমিতে রাম মন্দির তৈরি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পাল্টা বলেছে, এই মামলায় শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের বক্তব্যের কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই।

ভারতে মুসলিমদের মধ্যে সুন্নিরাই সংখ্যাগুরু। অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডই প্রথম থেকে আইনি লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভির যুক্তি, বাবরি মসজিদের দায়িত্বে ছিলেন এক জন শিয়া। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এ দেশের মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।

এর আগে ইসমাইল ফারুকি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ইসলামে নমাজ পাঠের জন্য মসজিদ আবশ্যক নয়। বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের তুলনা টেনে আদালতে বলেন, কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই মসজিদ ধ্বংস করা যায় না। মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে এখন বলা যায় না যে ইসলামে নমাজের জন্য মসজিদ আবশ্যিক নয়।

এ দিকে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অভিযোগ, মামলায় দেরি করার লক্ষ্যেই এই সব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাদের নিশানা করে আজ ধাওয়ান বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যা মামলায় নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান বদলাতে পারে না। কেন্দ্রের পক্ষেও এই মামলায় কাউকে সমর্থন করা সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE