স্ত্রীর মৃত্যুর পর মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছেন মিথুলাল। —প্রতীকী ছবি।
অস্ত্রোপচার ২০০ শতাংশ নিরাপদ। চিকিৎসকের মুখ থেকে এমন আশ্বাস পেয়ে স্ত্রীকে বাঁচাতে ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন মিথুলাল বাফনা। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হল না। অস্ত্রোপচারের পর মুহূর্ত থেকেই ক্রমে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর স্ত্রীর। তার এক মাসের মাথাতেই মারা যান ৫৬ বছরের মঞ্জু বাফনা।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি মহারাষ্ট্র মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছেন মিথুলাল। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রীর হার্টের বাই কাসপিড ভাল্ভ (দ্বিপত্র কপাটিকা) বিকল হয়ে গিয়েছিল। ৬ বছর আগে তাতে অস্ত্রোপচারও হয়। কিন্তু, তা বেশি দিন কার্যকরী হয়নি। পুনরায় বিকল হতে শুরু করে। তখন চিকিৎসক ট্রান্সক্যাথেটার প্রযুক্তিতে নতুন কপাটিকা পুনস্থাপনের পরামর্শ দেন। জানান, খরচ বেশি হলেও ‘২০০ শতাংশ’ নিরাপদ এবং সফল হবে এই অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের ৫ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাবেন রোগী।
মিথুলাল এক জন বেসরকারি সংস্থার কর্মী। ৪৩ লক্ষ টাকা তাঁর কাছে অনেক বেশি। কিন্তু, চিকিৎসকের থেকে আশ্বাসবাণী পেয়ে সে টাকাও জোগাড় করে ফেলেন তিনি। ২৫ অক্টোবর মুম্বইয়ে হিন্দুজা হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী-র অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মঞ্জুর অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ সফল। কিন্তু তার পর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার বদলে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল তাঁর। ১৯ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: সমকামিতা অপরাধ! নিজের রায় ফের ভেবে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট
মঞ্জুর মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিথুলালকে ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। বিমা সংস্থার কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি। যে চিকিৎসক মঞ্জুর অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy