Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Dalits

ভিন্ন জাতে ভালবাসার শাস্তি! প্রেমিককে কাঁধে চাপিয়ে ঘোরানো হল প্রেমিকাকে, উল্লাস গ্রামবাসীদের

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরের ঝাবুয়া জেলার দেবীগড় গ্রামে।

বর্বর উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত।

বর্বর উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
ভোপাল শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫০
Share: Save:

মধ্যপ্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ধুধু চাষের জমি। উন্মুক্ত জমি, কোথাও কোনও ছায়ার লেশমাত্র নেই। ফসল তোলা হয়ে গিয়েছে, তাই সবুজের চিহ্ন নেই পায়ের তলাতেও। চড়া রোদে মাটিও ফুটিফাটা। এই রকমই একটি এলাকায় দেখা গেল একটি জমায়েত। সেখান থেকে ভেসে আসছে উল্লাস, আনন্দের আওয়াজ।

উল্লাসের সেই আবহের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, কাঁধে এক জন পুরুষকে চাপিয়ে হেঁটে চলেছেন বছর কুড়ির এক মহিলা। তাঁকে ঘিরেই উল্লাসে মেতেছেন ছেলেবুড়োর দল। ছবিটা ভাল করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাচ্ছে, উপস্থিত জনতা আসলে ওই মহিলাকে এই অবস্থায় হাঁটতে বাধ্য করছেন। চড়া রোদে, শুকনো মাটির উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে থরথরিয়ে কাঁপছেন ওই মহিলা। মাঝে মধ্যে থেমেও যাচ্ছেন। তখনই শুরু হয়ে যাচ্ছে নাচ-চিৎকার আর উল্লাস। আবার হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন ওই মহিলা। এভাবেই এগিয়ে চলছে উল্লাসের এই চলমান মঞ্চ।

সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মহিলার ‘অপরাধ’ হল, তাঁর প্রেমিক ভিন্ন জাতের। এই অপরাধের জন্যই চলছে শাস্তি দেওয়া। ৩৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে পতাকা, কেউ আবার মোবাইল ফোনে এই শাস্তি দেওয়ার দৃশ্য রেকর্ড করে রাখছেন।

আরও পড়ুন: একটা সইয়ের জন্য আড়াই ঘণ্টার অপেক্ষা! মৃত্যু কুড়ি দিনের শিশুর

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরের ঝাবুয়া জেলার দেবীগড় গ্রামে। এই ঘটনা যে সত্যি , তা জানিয়েছেন ঝাবুয়া জেলার পুলিশ সুপার বিনীত জৈন। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ঝাবুয়ার দেবীগড়ে কিছু মানুষ এক মহিলাকে অপমান করেছেন। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE