Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National News

উন্নাও-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ৬ বছরের মেয়ের গায়ে পেট্রল ঢাললেন মা!

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালের বাইরে উন্নাও-কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের দাবি জানাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর বছর ছয়েকের কন্যাও।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৮
Share: Save:

উন্নাওয়ের নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের দাবিতে নিজের শিশুকন্যার গায়েই পেট্রল ঢেলে দিলেন এক মহিলা। শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে। অভিযুক্ত মহিলাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ওই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালের বাইরে উন্নাও-কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের দাবি জানাচ্ছিলেন ওই মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁর বছর ছয়েকের কন্যাও। হঠাৎই তার গায়ে পেট্রল ঢেলে দেন তিনি। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে সফদরজং হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উন্নাও ধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার। এ দিন ময়নাতদন্তের পর হাসপাতাল থেকে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ওই মহিলা। সে সময়ই ওই ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: তেলঙ্গানা এনকাউন্টারে নিহত অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

আরও পড়ুন: উন্নাও গেলেন প্রিয়ঙ্কা, ধর্নায় অখিলেশ, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের ঘোষণা যোগীর​

বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে দুই অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জনের হাতে আক্রান্ত হয় উন্নাওয়ের বছর তেইশের ওই তরুণী। ধর্ষণ মামলায় আদালতের যাওয়ার পথে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তরুণীর দেহের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। পুলিশের সহায়তায় তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে উড়িয়ে আনা হয়। তবে গত রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার কিছু ক্ষণ পর মৃত্যু হয় তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Unnao Crime Rape New Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE