প্রতীকী ছবি।
স্টেশন মাস্টার মহিলা। স্টেশন ম্যানেজারও মহিলা। টিকিট কাউন্টার থেকে নিরাপত্তা বাহিনী— সেখানেও মহিলারাই। আগেই দেশের তিনটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব মহিলা রেলকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বার রাজ্যে প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হিজলি স্টেশনের যাবতীয় কাজও পরিচালনা করবেন মহিলারাই।
আজ, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-খুরদা রোড শাখার হিজলি স্টেশনের দায়িত্ব মহিলা কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শুধু স্টেশন পরিচালনা নয়, আজ থেকে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের রেক মেরামতির কাজেও লাগানো হবে ‘মহিলা ব্রিগেড’কে। ট্রেনের প্রতিটি কামরার চাকা থেকে কলকব্জা খুলে পরিষ্কার করা, বিদ্যুতের ওয়্যারিং দেখভাল করা, রেক মেরামতির কাজ করবেন মহিলারাই। এই প্রথম পুরোপুরি মহিলাদের দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হচ্ছে বলে রেল সূত্রে দাবি। নারীশক্তিকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ বলে জানাচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলছেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে তথা রাজ্যে প্রথম মহিলা নিয়ন্ত্রিত স্টেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে হিজলি স্টেশন।” উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মার কথায়, ‘‘একসময়ে বলা হত, হাতুড়ি ঠোকা, অ্যাক্সেল টানাটানি করা মেয়েদের কম্ম নয়! আমরা এ সব পার করেছি। পুরুষকর্মী ছাড়াই মহিলারা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবেন।’’
হিজলি স্টেশন পরিচালনার জন্য ২৫ জন মহিলা রেল কর্মী নিয়োগ করা হয়। দু’জন স্টেশন ম্যানেজার ও একজন স্টেশন মাস্টার। বাকিরা স্টেশনের বিভিন্ন কাজ করবেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাছাই করা ২০ জন মহিলা কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চলতি বছরের প্রথমেই। আজ, বৃহস্পতিবারই প্রশিক্ষণ শেষ হচ্ছে। আজই কাজ শুরু করবে দলটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy