অযোধ্যায় সফরে যোগী। -পিটিআই।
চাপের মুখে তিনি আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠলেন যোগী!
ক্ষমতাসীন হয়েও তিনি মাটির কাছাকাছি, মানুষের কাছাকাছি থাকতে চান, বোঝালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
তাঁর অফিসারদের বললেন, রাজ্যে তাঁর কোনও জায়গায় কোনও সফরের জন্য যেন বিশেষ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। ভিআইপি’দের সফরের জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সে সব তাঁর একেবারেই না-পসন্দ।
যোগী আদিত্যনাথের কথায়, ‘‘আমরা সেই ধরনের মানুষ, যাঁরা চেয়ার, আরামকেদারার চেয়ে মাটিতে বসতেই বেশি ভালবাসি। রাজ্যের মানুষকে সম্মান দিতে পারলেই মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানানো যায়। তার জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থার জাঁকজমকের দরকার নেই।’’
শুক্রবার তাঁর সচিবালয়ের অফিসারদের নিয়ে একটি বৈঠকে যোগী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁর সফরসূচির জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা, বিশেষ তদারকির প্রয়োজন নেই।
হঠাৎ তাঁর সচিবালয়ের অফিসারদের এ কথা বলতে হল কেন যোগী আদিত্যনাথের?
দিনকয়েক আগে বিএসএফের সদ্য শহিদ হওয়া হেড কনস্টেবল প্রেম সাগরের পরিবারের সঙ্গে দেওরিয়ায় দেখা করতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এয়ার কন্ডিশনার, দামি সোফা আর কার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রেম সাগরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই এসি, কার্পেট আর সোফা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনও সেখানে ছিলেন শহিদ বিএসএফ জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- পুলিশের দালালি বরদাস্ত নয়, বৈঠকে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
পরে শহিদ বিএসএফ জওয়ানের ভাই দয়াসাগর বলেন, ‘‘যোগী চলে যেতেই এসি, কার্পেট, সোফা সব সরিয়ে নিয়ে গেলেন অফিসাররা। আমরা কি মানুষ নই?’’
যোগী আদিত্যনাথের আরেকটি সফরেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তফশিলি মুশাহর সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে কয়েক দিন আগে কুশিনগরে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ওই সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন, তার জন্য যোগীর সফরের আগের দিন তাঁদের সাবান ও শ্যাম্পু দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy