Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National news

যোগীর রাজ্যে গরিবদের বরাদ্দ টাকায় রামের মূর্তি!

সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে মন্তব্য ভেসে আসছে,‘‘যোগীবোধহয় এই বার উত্তরপ্রদেশকে রামরাজ্য বানিয়েই ছাড়বেন।’’ কেউ আবার বলছেন, ‘‘গরিবদের মুখের খাবারছিনিয়ে নেওয়াটাই যদি রামরাজ্য হয়ে থাকে, তবে সেই রামরাজ্যের দরকারটা কী?’’

যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ১৫:০৪
Share: Save:

টাকা খরচ হওয়ার কথা গরিব মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা লাঘবের জন্য। কিন্তু সেই টাকায় অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে পেল্লায় রামমূর্তি গড়বেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এই নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে মন্তব্য ভেসে আসছে,‘‘যোগী বোধহয় এই বার উত্তরপ্রদেশকে রামরাজ্য বানিয়েই ছাড়বেন।’’ কেউ আবার বলছেন, ‘‘গরিবদের মুখের খাবার ছিনিয়ে নেওয়াটাই যদি রামরাজ্য হয়ে থাকে, তবে সেই রামরাজ্যের দরকারটা কী?’’ কিন্তু এর পরেও যোগী আদিত্যনাথ নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি চাইছেন, সমাজকল্যাণ খাতে শিল্প সংস্থাগুলো যে টাকা খরচ করে, তারা সেই টাকার একটা অংশ রামমূর্তি তৈরির জন্য দান করুক।

মূলত কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়ার জন্যই শিল্প সংস্থাগুলো সমাজকল্যাণ খাতে অর্থ খরচ করে। সেই অর্থ ব্যবহার করা হয় পিছিয়ে থাকা এলাকায় স্কুলের সংস্কার কিংবা দরিদ্র মানুষজনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য।

আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ‘রামজি’ হলেন অম্বেডকরও

আরো পড়ুন: ১৫ হাজারে বিক্রি হয়েছিল প্রশ্ন! নজরে কোচিং সেন্টার

যোগীর অতি সাধের রামমূর্তির জন্য টাকা দিতে গিয়ে যদি বেসরকারি সংস্থাগুলো সমাজকল্যাণে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়, তবে তো দরিদ্র মানুষের ক্ষতি। প্রভাব পড়বে উন্নয়নেও। সমাজবাদী পার্টি বলছে, ‘‘যোগীজির তো বন্ধু ব্যবসায়ীর সংখ্যা কম নয়। তাঁদের কাছ থেকে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে টাকা নিচ্ছেন না কেন?’’ জানা গিয়েছে, সরযূ নদীর তীরে ১০০ মিটার লম্বা রামমূর্তি তৈরির জন্য খরচ হবে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকা। যোগী চাইছেন, এর মধ্যে অন্তত ১০০ কোটি টাকা শিল্প সংস্থাগুলো দিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE