Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পণ না পেয়ে ব্লু ফিল্ম চক্রের কাছে স্ত্রীকে বিক্রি!

পণের দাবি মেটাতে পারেননি শ্বশুর। তাই স্ত্রীকে পর্নোগ্রাফি চক্রের কাছে বেচে দিল যুবক। ব্লু ফিল্মের দুনিয়ায় পা রাখার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালেন মিনা (নাম পরিবর্তিত)। হরিয়ানা থেকে শুরু হওয়া রুদ্ধশ্বাস দৌড় থামল বিহারে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:১১
Share: Save:

পণের দাবি মেটাতে পারেননি শ্বশুর। তাই স্ত্রীকে পর্নোগ্রাফি চক্রের কাছে বেচে দিল যুবক। ব্লু ফিল্মের দুনিয়ায় পা রাখার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালালেন মিনা (নাম পরিবর্তিত)। হরিয়ানা থেকে শুরু হওয়া রুদ্ধশ্বাস দৌড় থামল বিহারে। মাত্র দেড় মাস আগে বিয়ে দেওয়া মেয়ের পরিণতি দেখে হতচকিত মিনার বাবা।

৮ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল মিনার। মেয়ে যাতে সুখে থাকে, তার জন্য টিকু পাতিকার নামে এক সদ্য তরুণের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মিনার বাবা। সুদূর হরিয়ানায় শ্বশুরবাড়ি। মিনা টিকুর সঙ্গে সুখেই থাকবে, আশা ছিল মিনার বাবার। কিন্তু দেড় মাস কাটতে না কাটতেই বিধ্বস্ত, আতঙ্কিত অবস্থায় মেয়েকে বাড়ি ফিরতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন মিনার বাবা। তার পর মিনার মুখ থেকে সব শুনে গোটা পরিবারের মাথায় হাত।

আরও পড়ুন:

কোন কাপলদের প্রেম টেকে? জেনে নিন

বিহারের সারণ জেলার তারাইয়া থানা এলাকায় বাড়ি মিনার। তারাইয়া থানা টিকু পাতিকারের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পরই তাঁর বাবার কাছে পণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা এবং একটি দামী মোটরবাইক চায় টিকু। মিনার বাবা তা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ব্যবহার বদলে যায়। মিনাকে তাঁর বাবার দারিদ্র নিয়ে উঠতে-বসতে কটাক্ষ করতে শুরু করে টিকু ও তার পরিবার। গৃহবধূ মিনাকে চাষের কাজে মজুরের মতো খাটানো শুরু হয়। এতেও কাজ না হওয়ায়, মিনাকে বিক্রি করে পণের টাকা উসুল করার তোড়জোড় শুরু হয়। মিনা পুলিশকে জানিয়েছে, ননদের পরামর্শে এক পর্নোগ্রাফি চক্রের কাছে তাঁকে বেচে দেয় টিকু। ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিনাকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এক রাতে মিনা জানতে পারেন, পর দিন সকালেই তাঁকে তুলে দেওয়া হবে ব্লু ফিল্ম কারবারিদের হাতে। সেই রাতেই লুকিয়ে ঘর ছাড়েন মিনা। তার পর হাজারখানেক কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় পৌঁছন বিহারে।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিহারের অনেক দরিদ্র পরিবারই ঘরের মেয়ের সুখী দাম্পত্য জীবনের আশায় ভিনরাজ্যের অবস্থাপন্ন যুবকদের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়। কিন্তু হরিয়ানায় সক্রিয় একটি পর্নোগ্রাফি চক্র এর সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিয়ের নাম করে নারী পাচার চালিয়ে আসছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dowry Demand Porn Racket Wife sold
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE