Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কটাক্ষ করে প্যাঁচে নায়ডু, রাহুল রয়েছেন ছুটিতেই

তাঁর ‘ছুটি’ নিয়ে কটাক্ষ করে সংসদে বেকায়দায় পড়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। কিন্তু রাহুল গাঁধী কবে কংগ্রেসের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতে নেবেন তা আজও স্পষ্ট হল না। বাজেট অধিবেশনের সময়ে ‘দলের কৌশল ও ভবিষ্যৎ’ নিয়ে ভাবতে রাহুল গাঁধীর ছুটি নেওয়া নিয়ে জল্পনা হয়েছে বিস্তর। গত কাল লোকসভায় আলোচনার সময়ে বেঙ্কাইয়া বলেন, “কংগ্রেস সদস্যেরা নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। এখানে না পারলে দূরে গিয়ে করতে পারেন।” এই কটাক্ষে কার্যত রে-রে করে উঠেছে কংগ্রেস।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৩
Share: Save:

তাঁর ‘ছুটি’ নিয়ে কটাক্ষ করে সংসদে বেকায়দায় পড়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। কিন্তু রাহুল গাঁধী কবে কংগ্রেসের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতে নেবেন তা আজও স্পষ্ট হল না।

বাজেট অধিবেশনের সময়ে ‘দলের কৌশল ও ভবিষ্যৎ’ নিয়ে ভাবতে রাহুল গাঁধীর ছুটি নেওয়া নিয়ে জল্পনা হয়েছে বিস্তর। গত কাল লোকসভায় আলোচনার সময়ে বেঙ্কাইয়া বলেন, “কংগ্রেস সদস্যেরা নিজেদের কাজকর্ম নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। এখানে না পারলে দূরে গিয়ে করতে পারেন।” এই কটাক্ষে কার্যত রে-রে করে উঠেছে কংগ্রেস।

বিরোধীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, কেবল এই মন্তব্য নয়। সম্প্রতি সিপিআই, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিকে কটাক্ষ করেছেন বেঙ্কাইয়া। তাতে সংসদে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ঔদ্ধত্য ফুটে বেরিয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। সংসদীয় মন্ত্রীর এই মনোভাব রীতিসম্মত নয় বলেই মনে করেছিলেন তাঁদের অনেকে।

তাই আজ সকাল দশটায় সেন্ট্রাল হলে বৈঠক করেন কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির মতো ৯টি দলের নেতারা। ঠিক হয়, সংসদীয় মন্ত্রীর এই মনোভাবের বিরোধিতা করা হবে। তার ফলেই আজ সংসদে বিরোধীদের মিলিত চাপের মুখে পড়েন বেঙ্কাইয়া। সংসদীয় মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে আজ মন্তব্য করেছিলেন সনিয়া গাঁধীও।

স্লোগান, চেঁচামেচির মধ্যেই বেঙ্কাইয়া বলেন, “আমি সংসদের রীতি-বহির্ভূত কোনও কথা বলিনি। কাউকে আঘাত দিতেও চাইনি।”

রাজনীতিকদের মতে, নানা বিষয়ে বিরোধীদের চাপের ফলে সংসদে ইতিমধ্যেই বেকায়দায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই বেঙ্কাইয়ার মন্তব্য নিয়ে আর বেশি জলঘোলা হতে দিতে চায়নি বিজেপি। ফলে, ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সংসদীয় মন্ত্রী।

কিন্তু রাহুল কবে দলের দায়িত্ব নেবেন তা আজও স্পষ্ট করেননি সনিয়া। শুধু বলেছেন, “দিন স্থির হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।” দলীয় সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের অধিবেশন হতে পারে। সেখানেই কংগ্রেসের শীর্ষ পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাহুলের অভিষেক হতে পারে।

তবে তাতে খটকা একটাই। কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন বাধ্যতামূলক করতে চাইছেন রাহুল। তাই ব্লক স্তর থেকে দলের সভাপতি পদ পর্যন্ত মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচনের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। এখন সভাপতি পদে তিনি নিজেই যদি নির্বাচিত না হয়ে মনোনীত হন, তাহলে কেমন দেখাবে? অথচ সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে নতুন এআইসিসি-র কমিটি গঠন করতে হবে।

সব রাজ্যে প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। চেষ্টা হচ্ছে এপ্রিলের মধ্যেই সেই কাজ সেরে ফেলার। একান্তই তা না সম্ভব হলে রাহুলের অভিষেক জুলাই বা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও গড়াতে পারে।

এখন অবশ্য রাহুল ছুটিতেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rahul gandhi parliament
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE