ডাইনি অপবাদে অত্যাচার ও হত্যা রুখতে নয়া আইন করতে চলেছে অসম সরকার। নতুন আইনে কোনও ব্যক্তিকে ডাইনি অপবাদ দিলে, তাকে মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহ করলে ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে। নতুন আইনে অভিযুক্তের তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে। আর হত্যার ঘটনা ঘটলে যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা তো আইনে রয়েছেই।
আজ দিসপুর সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন। সেখানে ডাইনি অপবাদে নিগ্রহ ও হত্যা রোধে নয়া আইন আনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত খসড়া বিলটিও করে ফেলেছে স্বরাষ্ট্র দফতর।
নয়া আইনে ডাইনি অপবাদে হওয়া নিগ্রহ বা হত্যার তদন্তে মানুষ বা কোনও সামাজিক সংগঠনও পুলিশকে সাহায্য করতে পারবে। ডাইনি অপবাদে অত্যাচারিত ব্যক্তিকে বা তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও নতুন আইনে স্থান পাচ্ছে। যদি কোনও এলাকায় দলবদ্ধ ভাবে কাউকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে নিগ্রহ করা হয়, তবে অংশ নেওয়া সকলের উপর জরিমানা চাপাতে নতুন আইনে ‘গোষ্ঠীভিত্তিক জরিমানা’-র ধারাও থাকছে। বহু উপজাতি অধ্যুষিত অসমে সম্প্রতি ডাইনি অপবাদে নিগ্রহ বেড়েছে। পরিস্থিতি সামালতে রাজ্য পুরনো আইন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ্য থেকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নারী পাচারও অসমে বাড়ছে। তা আটকাতে স্বরাষ্ট্র দফতর কিছু পদক্ষেপ করছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে নথিভুক্ত হতে হবে। সব কর্মীর নাম-ঠিকানা থানায় দিতে হবে। চাকরির জন্য কাউকে ভিন্ রাজ্যে পাঠাতে গেলে চাকুরি প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের সম্মতি পত্র পুলিশকে দিতে হবে। না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy