শ্রম আইন সংশোধনী বিল বাতিলের দাবিতে সারা দেশে রাজনীতি নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন জোটবদ্ধ বিক্ষোভ দেখালেও শিলচরে বাম-ডান-মধ্যপন্থীরা কার্যত ত্রিধা বিভক্ত হয়ে গেলেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি বামপন্থীতেই সীমাবদ্ধ রইল। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মজদুর সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস) ক-দিন থেকেই শিলচরের বাম-প্রভাবিত সমন্বয় কমিটিকে এড়িয়ে চলছিল। আজও তারা বিক্ষোভে সামিল হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি-র ভূমিকা নিয়ে। কাল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পর আজ তাদের কী হল?
এসইউসিআই নেতা সুব্রত নাথ বলেন, বিএমএস-এর না আসার ক্ষেত্রে তাও একটি যুক্তি থাকতে পারে। তারা এখন শাসক শিবির। কিন্তু আইএনটিইউসি-র অবস্থান রহস্যজনক। কাল তাদের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। কে কত শ্রমিক-কর্মচারী জমায়েত করবেন, সে সব হিসেবেও অংশ নিলেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কী হল, বোঝা গেল না। শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষক সমন্বয় সমিতির সভাপতি
পরিতোষ দে বলেন, বিজেপি আমল বলে এই আন্দোলনে আইএনটিইউসিরই অধিক সক্রিয় হওয়ার কথা ছিল।
আইএনটিইউসি নেতা কিশোর ভট্টাচার্য অবশ্য এই সাংগঠনিক অনুপস্থিতির কোনও জুতসই কারণ দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “ক’দিন ধরেই শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। দৌড়ঝাপ করতে পারছি না। তাই এ বার আন্দোলন স্থগিতেরই পরামর্শ দিয়েছিলাম সবাইকে।” নেতার একার শরীর খারাপের জন্য শিলচরের পুরো সংগঠনই কর্মসূচিতে অংশ নিল না? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।
আজ শিলচরের কর্মসূচিতে অংশ নেয় সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি, এআইসিসিটিইউ সদস্যরা। ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জমা হয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, শ্রীনিবাস কর, সুব্রত নাথ ও অসীম নাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy