Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোট টানতে ভরসা সেই মোদী

কিরণ বেদীকে পাশে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামেই ভোট টানার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি। কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেও যে অরবিন্দ কেজরীবালের জনপ্রিয়তা ও তার বাড়বাড়ন্তে রাশ টানা যাচ্ছে না। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাল ভাবেই টের পাচ্ছেন। এবং সেটা বুঝেই দিল্লি নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাজেট নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেও অরুণ জেটলি ও আরও পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ময়দানে নেমে পড়েছেন। আগামিকাল নিজে সভা করবেন মোদী। তার আগে আজ তাঁর নামেই ভোট টানার চেষ্টায় নামল দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৩
Share: Save:

কিরণ বেদীকে পাশে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামেই ভোট টানার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি। কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেও যে অরবিন্দ কেজরীবালের জনপ্রিয়তা ও তার বাড়বাড়ন্তে রাশ টানা যাচ্ছে না। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাল ভাবেই টের পাচ্ছেন। এবং সেটা বুঝেই দিল্লি নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাজেট নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেও অরুণ জেটলি ও আরও পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ময়দানে নেমে পড়েছেন। আগামিকাল নিজে সভা করবেন মোদী। তার আগে আজ তাঁর নামেই ভোট টানার চেষ্টায় নামল দল।

বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, লোকসভার পর সব ক’টি বিধানসভা নির্বাচনই হয়েছে মোদীর নামে। দিল্লিবাসীরও সে কথা মনে রেখে ভোট দেওয়া দরকার। কেন্দ্রে ও রাজ্যে এক দলের সরকার হলেই রাজধানীর উন্নয়ন হবে।

কিরণকে দলের মুখ করায় দু’টি সমস্যা তৈরি হয়েছে। এক, তিনি কেজরীবালের মতো আবেগ টানতে পারছেন না। দুই, ভোটের আগে আচমকা তাঁকে দলে এনে সোজা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এবং সেটা আরও উস্কে দিয়েছে খোদ কিরণেরই ব্যবহার।

এই অবস্থায় অমিত শাহের নির্দেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় আজ দলের নেতা-কর্মীদের চিঠি লিখে আহ্বান জানিয়েছেন, সমস্ত গ্লানি ভুলে সকলে যেন দলের কাজের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, কিরণ যে ভাবে প্রচার করছেন করুন। কিন্তু তাঁকে দিয়ে যেহেতু প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না, তাই মোদীর নামেই ফের ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হবে। মোদী নিজেও বাড়তি সময় দেবেন দিল্লি জয়ে।

কথা ছিল, মোদী আর চারটি সভা করবেন ভোটের আগে। সেটি বাড়িয়ে সাতটি করা হয়েছে। এর আগে প্রথম জনসভায় কেজরীবালকে সরাসরি আক্রমণ করে মোদীই আম আদমি পার্টির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে বিজেপি নেতারা মনে করছেন। আগামিকালের সভায় কী রণকৌশল নেন তিনি, সেটাই দেখার।

কেজরীবালকে চাপে রাখতে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে রোজ পাঁচটি প্রশ্ন তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আজ ছিল তার দ্বিতীয় দিন। মোদী সরকারের মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজও সাংবাদিক বৈঠক করে পাঁচটি প্রশ্ন রাখেন।

কেজরীবাল কী করে দুবাই, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে সমর্থন পাচ্ছেন? এই সূত্রে কেজরীবালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগও আনেন সীতারামন।

বরাবর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সওয়াল করে আসা কেজরীবাল নিজেই কেন এখনও লোকসভা ভোটের হিসেব জমা দেননি নির্বাচন কমিশনে?

কেন মহিলারা আম আদমি পার্টি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? কেনই বা কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার পর থেকে তাঁকে ‘সুযোগসন্ধানী’ আখ্যা দিয়ে এক জন মহিলাকে অপমান করা হচ্ছে?

নির্বাচন কমিশন বা আদালতের মতো সাংবিধানিক সংস্থাকে কেন মর্যাদা দেন না কেজরীবাল?

সরকারে এসেও কেন লোকায়ুক্তকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেননি আপ শীর্ষ নেতৃত্ব?

এ সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া অবশ্য আজ ফের বলেন, “বিজেপি আড়াল থেকে প্রশ্ন করছে কেন? তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদী আসুন না খোলা মঞ্চে কেজরীবালের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

delhi election kiran bedi modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE