Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে নিন কয়েকটি জরুরি তথ্য

পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সারা বছর কাজের চাপে সময় না পেলেও এই সময়টাতে নিশ্চয়ই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বেরিয়ে পড়ার আগে কয়েকটি জিনিস মনে রাখা জরুরি। ট্রেন বা প্লেন ছাড়ার আগে এক বার চোখ বুলিয়ে নিন।পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সারা বছর কাজের চাপে সময় না পেলেও এই সময়টাতে নিশ্চয়ই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বেরিয়ে পড়ার আগে কয়েকটি জিনিস মনে রাখা জরুরি। ট্রেন বা প্লেন ছাড়ার আগে এক বার চোখ বুলিয়ে নিন।

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:১৫
Share: Save:

পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সারা বছর কাজের চাপে সময় না পেলেও এই সময়টাতে নিশ্চয়ই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বেরিয়ে পড়ার আগে কয়েকটি জিনিস মনে রাখা জরুরি। ট্রেন বা প্লেন ছাড়ার আগে এক বার চোখ বুলিয়ে নিন।

সার্ভিস বুক করার আগের সতর্কতা

কোনও সার্ভিস বুক করার আগে তার ক্যানসেলেশন এবং রিফান্ড পলিসি দেখে নিন।

সস্তায় নন-রিফান্ডেবল টিকিট বা হোটেল বুক করার সময় সতর্ক থাকুন।

যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাজনৈতিক ডামাডোল চললে বেড়ানো বাতিল হতে পারে। সে রকম মানসিক প্রস্তুতি রাখুন।

সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। অন্তত চার মাস আগে পরিকল্পনা শুরু করুন। যাতে বেড়ানোর তারিখ এগিয়ে এলে কোনও সমস্যা না হয়।

পুজোর সময় যে কোনও টুরিস্ট স্পটেই ভিড় বেশি থাকে। তাই যাঁরা নির্জনতা পছন্দ করেন তাঁদের এ সময় বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান না করাই ভাল।

প্রত্যন্ত জনপদকে সম্মান

আপনার গন্তব্য শহরকেন্দ্রিক না হলে যে প্রত্যন্ত এলাকায় যাচ্ছেন সেখানকার মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল থাকুন।

কোনও আদিবাসী জনপদে বেড়াতে গেলে তাদের রীতি-নীতি, আচার-ব্যবহারকে সম্মান করুন।

কোনও ঝর্না বা পবিত্র গাছ যদি দেখতে যান, আর সেখানে যদি জুতো খুলে ঢোকার নিয়ম থাকে সেটাই মেনে চলুন। বেড়াতে গিয়ে কোনও রকম তর্কে জড়াবেন না।

জেনে নিন, প্রাচীন কোনও মন্দিরে ঢোকার আগে গায়ে সুগন্ধী দেওয়া যাবে কি না।

স্থানীয় মানুষদের গুরুত্ব

শপিং করার সময় স্থানীয় জিনিস কেনার চেষ্টা করুন।

স্থানীয় মানুষদের গাইড হিসাবে সফরে সঙ্গে নিন। তাতে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আপনার ‘কমিউনেকশন গ্যাপ’ থাকবে না।

স্পটে পৌঁছে স্থানীয় হোটেল মালিক বা গাইডের ব্যবহার খারাপ মনে হলে বিষয়টি অন্য ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি এক পাহাড়ি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন। সেখানে স্নানের জন্য আধ বালতি জল পেয়েছেন। আর তাতেই আপনার মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। আপনি টাকাও দিচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজন মতো জল পাচ্ছেন না। ভেবে দেখুন, ওই অর্ধেক বালতির জলে আপনার স্নান না-ও হতে পারে। তবে পাহা়ড়ি মানুষদের ওই জলটুকুই অনেক দূর থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তাই টাকা দিয়ে সবটা কেনা সম্ভব নয়।

জঙ্গলে মঙ্গল

জঙ্গলে বেড়াতে গেলে গাছের রঙের পোশাক পরুন।

জঙ্গলের নির্জনতা বজায় রাখুন।

উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরবেন না। তাতে বন্যপ্রাণীরা অনেক দূর থেকে আপনাকে দেখতে পাবে। ফলে আরও দূরে পালিয়ে যাবে তারা।

বন্যপ্রাণীদের দেখতে না পেলে জঙ্গলে দাঁড়িয়েই জোরে জোরে কোনও মন্তব্য করবেন না। মনে রাখবেন, তারা আপনাকে দেখা দিতে বাধ্য নয়।

কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, বন্যপ্রাণীরা গ্রীষ্মের ভোর বা বিকেল আর শীতের পড়ন্ত বেলায় গভীর জঙ্গলের আওতা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। সে সময় তারা জল খেতে সল্টপিটে আসে। আর শীতকালে তাদের রোদ পোহাতেও দেখা যায়। তাই জঙ্গলে বেড়াতে গেলে সাফারি বুক করার সময় এটা মাথায় রাখতে পারেন।

দূষণ থেকে দূরে

প্লাস্টিক দূষণ করবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলুন।

এমন কিছুর চাহিদা রাখবেন না যেটা প্রত্যন্ত এলাকায় পাওয়া যায় না।

তথ্য সহায়তা: অসিত বিশ্বাস (হেল্প ট্যুরিজিম) এবং নন্দিনী সেন (দেশ দুনিয়া)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE