পুজো আসে, পুজো যায়। সঙ্গে ওতঃপ্রত ভাবে জড়িয়ে থাকে বাঙালির আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা। কিন্তু যে প্রশ্নটা থেকেই যায় তা হল - আমরা, বাঙালিরা দুর্গাপুজোর বিষয়ে কেন এতটা মাত্রায় কল্পনাপ্রবণ? এই প্রশ্নটা বিশেষ করে অবাঙালিদের কাছ থেকে বার বার ধেয়ে আসে। অথচ সবসময় উত্তর সেই একই থাকে - পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উৎসব হতে গেলে যে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার, দুর্গাপুজোয় সেই সবকটিই আছে। বরং অনেক বেশি আছে। আর এছাড়াও এই পুজো নিয়ে বাঙালির পাগল হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে বৈকি!
প্রথমত, এটি এমন একটি উৎসব যা সমগ্র কলকাতাকে নিমেষে চাঙ্গা করে তোলে। সমস্ত কিছু থমকে গিয়ে আপামর জনতা মেতে ওঠে পুজোর আনন্দে। উপরন্তু এই উৎসব কোনও জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ বৈষম্য মানে না। সারা শহর জুড়ে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে মিলিত হয়ে এই উৎসবের লহমায় ভেসে যায়। এই পুজোর প্রভাব এতটাই যে বাঙালির দৌলতে তা দেশের সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে পর্যন্ত নিজের জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে বাঙালিরা মনে করে, যদি কোনও ব্যক্তি, কোনও কারণে দুর্গাপুজো মিস করেন, তা হলে সেই ব্যক্তি নিজের জীবন থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় বাদ দিয়ে ফেলেছেন।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পুজোর এই অভিজ্ঞতাকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য নিয়ে এসেছে অন্য পুজো নামে একদম নতুন একটি অ্যাপ যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেই পুজোর আবেগকে অনুভব করতে পারবেন। মূলত হাতের মুঠোফোনের মাধ্যমে পুজোর আবেগ আস্বাদন করানোই এই অ্যাপের উদ্দেশ্য। আপনি হয়তো মণ্ডপ, রাস্তার আলোর রোশনাই, পুজোর শহরের ঝলমলে রূপ - সমস্তটা সহজেই কলকাতার রাস্তায় অনুভব করতে পারছেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য বাঙালি আছেন যারা না চাইলেও এই উৎসবের উষ্ণতার ছোঁয়া থেকে বিরত থেকে যান। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সময় তারা ফিরতে পারেন না কলকাতায়। আর তাদের জন্যই অন্য পুজো অ্যাপটি একদম যথার্থ।
কলকাতার একটি সৃজনশীল সংস্থা ঢিকচিক এই অ্যাপটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যার পরিচালনায় রয়েছেন খেয়া চট্টোপাধ্যায়, আদিত্য সেনগুপ্ত, ভিস্যুয়াল আর্টিস্ট ঋক ধর, অরিন্দম ধর এবং অংশুমান ধর। এদের কারণেই অন্য পুজো ভুমিষ্ঠ হয়েছে বাঙালির মন জয় করতে। খেয়ার মতে অন্য পুজো হলো এমন একটি অ্যাপ যা একদম নিজের মতোই। যে অ্যাপটি বিশ্বের সকল মানুষকে দুর্গাপুজোর এক অনন্য অভিজ্ঞতার স্বাদ দেবে।
আরও পড়ুন: গতি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘তিতলি’
৩৬০ ডিগ্রি ইন্টারেক্টিভ এই অ্যপ্লিকেশন তৈরির উদ্যোগ যে সত্যিই অভিনব, তা এককথায় মেনে নিয়েছেন খেয়াও। টেকনো ইন্ডিয়ার এই প্রযুক্তি আগামী দিনে সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে। খেয়া আরও জানাচ্ছেন যে, তারা বাঙালির সংস্কৃতিকে প্রযুক্তির সঙ্গে এমনভাবে মেলাতে চেয়েছিলেন যে তা শুধুমাত্র দুর্গা পূজোর ঐতিহ্যকেই সমর্থন করবে না বরং তার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করবে প্রযুক্তির নতুন রূপগুলিও যা বিশ্বব্যাপী সমস্ত জনসাধারণকে সংস্কৃতির অবিচ্ছিন্ন এক তারে বেঁধে ফেলবে। সেই সঙ্গে ঢিকচিক প্রথাগত প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ভেঙে ফেলে এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছিল যা ব্যতিক্রমী, পরীক্ষামূলক এবং একই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে পারবে। অন্য পুজোর পথ চলার গল্পটা সেখান থেকেই শুরু।
আপনি বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে ছবি তুলুন এবং হ্যাশ ট্যাগ #onyopujo লিখে আপলোড করে দিন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলিতে। সেরা ছবি সমাদৃত হবে বিশ্বজুড়ে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন - https://play.google.com/store/apps/details?id=com.TechnoIndiaGroup.OnyoPujoAR
অ্যাপল স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন - https://itunes.apple.com/fr/app/onyo-pujo-ar/id1438714905?l=en&mt=8
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy