Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Watching porn in incognito

নিশ্চিন্ত মনে পর্ন দেখেন ইনকগনিটোতে? গুগ্‌ল, ফেসবুক কিন্তু দেখতে পাচ্ছে সব

ইনকগনিটো মোডে পর্ন দেখলেও তার উপর গুগ্‌ল যেমন নজরদারি চালায়, তেমনি থার্ড পার্টি ট্র্যাকাররাও হাতিয়ে নেয় তথ্য।

ইনকগনিটো মোড সুরক্ষিত নয়। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।

ইনকগনিটো মোড সুরক্ষিত নয়। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৯ ১১:৩০
Share: Save:

লুকিয়ে লুকিয়ে পর্ন দেখেন নাকি? ভাবছেন, আপনি যা দেখছেন তা কেউ টেরও পাচ্ছে না!

অনেকেই গুগ্‌ল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করার সময় ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করেন। মনে করেন, কোন সাইটে গিয়ে কখন কী সার্চ করছেন, কী দেখছেন— তা কেউ জানতে পারছে না। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ভাবনা। গুগ্‌ল কিন্তু সমস্ত গতিবিধির উপর নজর রাখে। গুগ্‌লের কাছে থাকা সে সব তথ্য থার্ড পার্টি কুকিস সংগ্রহ করে নেয়। ফলে ইউজারের যাবতীয় তথ্য তৃতীয় পক্ষ জেনে যাচ্ছে। আর সে সবের উপরে ভিত্তি করেই ইউজারের কাছে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে।

সম্প্রতি কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে মাইক্রোসফট একটি সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২২ হাজার ৪৮৪টি পর্নোগ্রাফি সাইট দেখার সময় ইউজারের ৯৩ শতাংশ তথ্যই থার্ড পার্টির মাধ্যমে ‘ফাঁস’ হয়ে গিয়েছে। ইউজাররা কোন পর্নস্টারের কী ধরনের ভিডিয়ো দেখতে ভালবাসেন, কোন সময়ে দেখতে বেশি পছন্দ করেন— সে সব তথ্যও পর্ন সাইটগুলোকে দিয়ে দিচ্ছে থার্ড পার্টি ট্র্যাকাররা।

আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত কথা শুনছে, স্বীকার করে নিল গুগল!

ধরা যাক কোনও ইউজার বিশেষ কোনও পর্নস্টারের ভিডিয়ো দেখেছেন। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৪.৯৭ শতাংশ পর্ন সাইটগুলো ইউজারের কাছে ফের ওই পর্ন স্টারের ভিডিয়োর প্রেফারেন্স ‘আপনার পছন্দ’ হিসাবে পাঠাচ্ছে। তাঁর মধ্যে বয়স, লিঙ্গ, সেক্সুয়াল প্রেফারেন্সের মতো বিষয়গুলিও থাকে। বেশির ভাগ পর্ন সাইটগুলো এনক্রিপ্টেড থাকে না। মাত্র ১৭ শতাংশ পর্ন সাইট এনক্রিপটেড— যেখানে ভিডিয়ো দেখার জন্য লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রয়োজন। অর্থাৎ আপনাকে ওই সাইটে সাইন ইন করতে হবে।

তাদের কোনও ধরনের পরিষেবাতেই গুগ্‌ল পর্নকে আদৌ প্রাধান্য দেয় না। কিন্তু গুগ্‌ল ক্রোম ব্যবহার করে কোন ইউজার কত ক্ষণ কী দেখবেন, তা সে পর্নই হোক না কেন— সে ব্যাপারেও তারা কোনও নিয়ন্ত্রণ করে না। ওয়েবএক্সরে সফটওয়্যারের মাধ্যমে মাইক্রোসফট এবং দুই বিশ্ববিদ্যালয় ওই সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেখানে তারা ১০টি থার্ড পার্টি ট্র্যাকারকে চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে পর্ন ওয়েবসাইট ট্র্যাক করে এমন তিনটি ট্র্যাকারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে— এক্সোক্লিক, জুসিঅ্যাডস এবং ইরোঅ্যাডভারটাইসিং। এই ট্র্যাকার চিহ্নিত করণের কাজ ৭৪ শতাংশ করেছে ফেসবুক এবং গুগ্‌ল। আর ২৪ শতাংশ করেছে ওর ওরাকল সার্চ ইঞ্জিন।

কাজেই ইনকগনিটো মোডে পর্ন দেখলেও তার উপর গুগ্‌ল যেমন নজরদারি চালায়, তেমনি থার্ড পার্টি ট্র্যাকাররাও হাতিয়ে নেয় তথ্য। ফলে, সাধু সাবধান!

আরও পড়ুন: অ্যাপের আড়ালে নজরদারি, প্লে স্টোর থেকে সরল সাতটি অ্যাপ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Google Facebook Tech
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE