Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
NASA

চন্দ্রযানের বড় সাফল্য, চাঁদের পিঠে বরফের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

চন্দ্রপৃষ্ঠের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে এই বরফ। ভারতের পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রায়ন ১-এর তোলা ছবি থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

নাসার পাঠানো ছবি। চাঁদের দক্ষিণ মেরু (বাঁ দিক) ও চাঁদের উত্তর মেরুতে (ডান দিক) ‘সারফেস ওয়াটার আইস’-এর অস্তিত্বের (নীল অংশ) কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নাসার পাঠানো ছবি। চাঁদের দক্ষিণ মেরু (বাঁ দিক) ও চাঁদের উত্তর মেরুতে (ডান দিক) ‘সারফেস ওয়াটার আইস’-এর অস্তিত্বের (নীল অংশ) কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ২৩:৩৯
Share: Save:

চাঁদের পৃষ্ঠে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে ‘ওয়াটার আইস’ বা বরফ। এই বরফ গলেই পরবর্তীতে জল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, এমনটাই জানালেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রপৃষ্ঠের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতেই নাকি রয়েছে এই বরফ। ভারতের পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রযান-১-এর তোলা ছবি থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালে চন্দ্রযান-১-র তোলা ছবি থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে।

‘প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’ পত্রিকায় এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। চাঁদের কালো অংশ রয়েছে বরফ, এমনটাই জানাল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। চন্দ্রযান-১-এর ‘দ্য মুন মিনারোলজি ম্যাপার’ যন্ত্রে এই বরফের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে। চাঁদের মাটি থেকে মাত্র কয়েক মিলিমিটার উচ্চতায় ওই হিমায়িত জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে এ বার চাঁদে জলের সন্ধানে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের কাজেও গতি আসবে বলে দাবি করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফ রয়েছে সেটা একই জায়গায় জমায়েত হয়ে রয়েছে। আর উত্তর মেরুতে থাকা বরফ অনেকটা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। চাঁদের ওই অন্ধকার অংশে তাপমাত্রা কখনই মাইনাস ১৫৭ ডিগ্রির উপরে ওঠে না। ওই এলাকাও সূর্যের আলো কখনও প্রবেশ করতে পারে না। একেই সাধারণ ভাষায় চাঁদের কলঙ্ক হিসাবে ধরা হয়। এখানে আগেও বরফের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, তবে এবার বিষয়টা আরও স্পষ্ট হল।

আরও পড়ুন: আগে যাচ্ছে ইজরায়েল, ‘চন্দ্রযান-২’ উৎক্ষেপণের দিন ফের পিছল​

তবে চন্দ্রযান-১ দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের যান্ত্রিক সমস্যায় ভুগছে। ২০০৯-এর ২৮ অগাস্টের পর থেকে ওই মহাকাশযানের রেডিও সিগন্যাল আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বাতিল চন্দ্রযানের পাঠানো তথ্যেই মিলেছে বরফের অস্তিত্বের সন্ধান।

সম্প্রতি, নাসার বিশেষ রাডারে ধরা পড়ে চন্দ্রযান-১-এর সেই ছবি। আর সেই মহাকাশযান এখন চাঁদের চারপাশে ঘুরে-বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর এটি মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি এখনও চাঁদের ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে ঘুরপাক খাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাজ পড়ার ৩ ঘণ্টা আগেই এ বার আসবে এসএমএস অ্যালার্ট!​

চাঁদের পৃষ্ঠে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে এই ‘ওয়াটার আইস’। এর থেকে পরবর্তীতে জল তৈরি হওয়ার আশাও রয়েছে। জলের উপস্থিতিতে হয়তো চাঁদ বাসযোগ্য হবে। ‌এই বরফের রেশ ধরে চাঁদের পৃষ্ঠদেশে যদি জলের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে চন্দ্রাভিযান সহজতর হবে। অন্যদিকে, ফের চাঁদে অভিযানের পথে তোড়জোড় চলছে ভারতের। চন্দ্রযান-২-এর প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এর আগে মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরু, বামন গ্রহ সেরেসেও ‘সারফেস ওয়াটার আইস’-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE