শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু সপ্তম নেভিগেশন স্যাটেলাইটের। ছবি: পিটিআই।
জিপিএস ব্যবস্থায় সংয়ম্ভর হয়ে গেল ভারত। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই যেখানে আমেরিকার জিপিএস ব্যবস্থার সাহায্যে কাজ চালায়, সেখানে ভারত এ বার কাজ করতে পারবে সম্পূরণ নিজস্ব জিপিএস-এর সাহায্যেই। এই নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থাটি গড়ে তোলার জন্য সপ্তম তথা শেষ উপগ্রহটি আজ, বৃহস্পতিবারই মহাকাশে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছে। অচেনা জায়গায় হোক বা দুর্গম পাহাড়ে, জঙ্গলে হোক বা গভীর সমুদ্রে— জিপিএস ব্যবস্থার সুবিধা থাকলে পথ হারানোর ভয় নেই। নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতেও কোনও সমস্যা নেই। জিপিএস ব্যবস্থা চালু করার জন্য যে উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হয়, তাকে বলা হয় নেভিগেশন স্যাটেলাইট। আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাস দিতেও এই স্যাটেলাইট খুব জরুরি। সম্পূর্ণ নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মোট সাতটি নেভিগেশন স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর প্রয়োজন ছিল ভারতের। ছ’টি আগেই পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ইসরো সপ্তম উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠিয়েছে। ইসরো সূত্রের খবর, কক্ষপথে পৌঁছে এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে কাজ করতে শুরু করে দেবে এই উপগ্রহ। তার সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়ে যাবে ভারতের নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন:
ভূমিকম্পের নিখুঁত পূর্বাভাস এখন কী ভাবে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারতের নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাবিক’। এই ব্যবস্থার সুবিধা ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকেও দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ইসরোর মহাকাশযান পিএসএলভি-সি৩৩ রওনা দেয় সপ্তম নেভিগেশন স্যাটেলাইট আইআরএনএসএস-১জি-কে নিয়ে। এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারতের খরচ হল ১৪২০ কোটি টাকা। ভারত হয়ে উঠল পৃথিবীর পঞ্চম দেশ, যাদের নিজস্ব জিপিএস ব্যবস্থা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy