এমনই দেখতে সেই গ্রহ। ছবি: এএফপি
কিছু দিন আগেই খোঁজ মিলেছিল পৃথিবীর মতো গ্রহের। এ বার খোঁজ মিলল ইউরেনাসের মতো এক গ্রহের। সূর্যের থেকে ৭০ গুণ বড় এক নক্ষত্রের থেকে ৩৭ কোটি মাইল দূরে ঘুরে চলেছে সে। আর এই গ্রহ খুঁজে পাওয়ার পিছনে লুকিয়ে আছে এক অতি বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। এমনই বিরল এই মহাজাগতিক ঘটনা যে ১০ লক্ষ বছরে এক বার মাত্র ঘটতে পারে। সেই ঘটনাকে কাজে লাগিয়েই বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে সন্ধান মিলেছে এই ইউরেনাসের মতো গ্রহটির। নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, আর হাওয়াই-এর কেক মানমন্দির কেন্দ্র আলাদা ভাবে এই পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। মিলে গিয়েছে এই দুই কেন্দ্রের তথ্য।
আলো আমার আলো। এই মহাবিশ্বে কোনও কিছু সন্ধানের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই আলোর পিছনে ছুটে বেড়ান। কিন্তু সব আলোর তো এমন জোর নেই যে এই ধরাধামে পৌঁছবে। তা হলে অসীম অন্ধকারের ভিড়ে যারা গোপন হয়ে রইল তাদের সন্ধান মিলবে কী ভাবে? বিজ্ঞান কিন্তু হতাশার জায়গা নয়। নিয়ত নতুন পথ খুঁজে চলে সে। অসীম অন্ধকারের ভিতরে নিষ্প্রভ মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান পেতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খুঁজে নিয়েছেন ‘গ্র্যাভিটেশনাল মাইক্রোলেনসিং’ পদ্ধতি।
‘গ্র্যাভিটেশনাল মাইক্রোলেনসিং’ পদ্ধতি কাজ করে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার উপরে দাঁড়িয়ে। যেখানে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং একটি নিষ্প্রভ নক্ষত্র এক সরলরেখায় চলে আসে। নিষ্প্রভ নক্ষত্রটির মাধ্যাকর্ষণ উজ্জ্বল নক্ষত্রের থেকে আসা আলোর উপরে প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে নিষ্প্রভ নক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে সেই আলোর ঔজ্জ্বল্য আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই আলোতে দেখা মিলেছে নিষ্প্রভ নক্ষত্রটির চারপাশে ঘুরে চলা গ্রহের, যা আমাদের সৌরজগতের ইউরেনাসের মতো। তবে সৌরজগতের বৃহস্পতির মতোই প্রধাণত পাথর আর বরফ দিয়ে তৈরি এই গ্রহ। এই পাথর আর বরফের ভর পৃথিবীর ১০ গুণ। কিন্তু হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম নেই কিছুই। আর প্রাণ? নেই বলেই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy