মঙ্গলের সেই জেঝেরো ক্রেটার যেখানে নামবে নাসার রোভার। ছবি- নাসা
প্রাণের সন্ধানে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে আরও একটি অত্যাধুনিক রোভার মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা। আগামী বছরেই তা নামবে মঙ্গলের মাটিতে। লাল গ্রহের পিঠে জেঝেরো ক্রেটার এলাকায়। ২৮ মাইল চওড়া জেঝেরো ক্রেটারে কয়েকশো কোটি বছর আগে ছিল জলে ভরা বিশাল বিশাল হ্রদ। তাদের আশপাশে এখনও রয়েছে বালি ও পাথরের পাহাড়। যাদের সর্বাধিক উচ্চতা দেড় হাজার ফুটের কিছু বেশি।
এক কালে তরল অবস্থায় জল প্রচুর পরিমাণে ছিল বলেই নাসার নতুন রোভার খুঁজে দেখবে সেই এলাকায় বহু কোটি বছর আগে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না। দেখবে এখনও কোথাও পাওয়া যায় কি না সেই প্রাণের জীবাশ্ম বা এখনও সেখানে কোনও অণুজীবের অস্তিত্ব রয়েছে কি না।
মঙ্গলের এই এলাকায় এক কালে ছিল জলে ভরা হ্রদ। দেখুন ভিডিয়ো
নাসা জানাচ্ছে, মঙ্গলের এই জেঝেরো ক্রেটার এলাকায় বহু কোটি বছর আগে ছিল কোনও আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ। সেই আগ্নেয়গিরি আর হয়তো এখন নেই। আবার এও হতে পারে কোনও সুবিশাল গ্রহাণু বা অন্য কোনও মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কায় ওই বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলের পিঠে।
আরও পড়ুন- মেঘ ছাড়াই ‘ভুতুড়ে’ বৃষ্টি হয় শনির চাঁদে!
আরও পড়ুন- মঙ্গল গ্রহে বরফের নীচে আস্ত একটা লেক?
নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জুরবুচেন তাঁর টুইটে জানিয়েছেন, ‘‘যে হেতু ওই এলাকায় এক কালে জল তরল অবস্থায় ছিল প্রচুর পরিমাণে, তাই প্রাণের অস্তিত্ব লাল গ্রহে কোনও কালে ছিল কি না, তা জানতে বেছে নেওয়া হয়েছে জেঝেরো ক্রেটারকে। পৃথিবীর হ্রদে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ। তাই মঙ্গলের সেই হ্রদের কাদায় বা হ্রদের তলদেশে তাদের জীবাশ্মের হদিশ মিলতেই পারে। রোভারে সেই যন্ত্রপাতি থাকবে যা খুঁড়তে পারে সেই হ্রদগুলির তলদেশ বা তার আশপাশের এলাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy