Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বোতলের জলেও প্লাস্টিক!

ফ্রিডোনিয়ার নিউ ইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোপ্লাস্টিকের গবেষক শেরি ম্যাসনের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল একটি গবেষণা দল।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মায়ামি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০১:১২
Share: Save:

বোতলবন্দি জলেও বিপদ। তেমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সাম্প্রতিক গবেষণায়। এ বার নামীদামি ব্র্যান্ডের ‘মিনারেল ওয়াটার’-এ মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব। ওর্ব মিডিয়া নামে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত একটি অলাভজনক সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কাল ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

ফ্রিডোনিয়ার নিউ ইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোপ্লাস্টিকের গবেষক শেরি ম্যাসনের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল একটি গবেষণা দল। ওর্ব মিডিয়ার হয়ে তাঁরাই ব্রাজিল, চিন, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লেবানন, মেক্সিকো, তাইল্যান্ড, আমেরিকা আর ভারতের মতো ন’টি দেশের প্রায় আড়াইশোটি জলের বোতল পরীক্ষা করেন সম্প্রতি। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই জলের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব আছে। যে ক’টি ব্র্যান্ডের নাম গবেষণায় উঠে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতে বহুল ব্যবহৃত দু’টি ব্র্যান্ডও।

গবেষকদের মতে, বোতলের জলে যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে পলিপ্রপি-লেন, নাইলন ও পলিথাইলিন টেরেপথালেটের মতো রাসায়নিক। ম্যাসন জানাচ্ছেন, বোতলের জলে যে বিষাক্ত রাসায়নিকের অস্তিত্ব তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন, তার মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সেগুলি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার অংশবিশেষ, ফাইবার নয়। এক একটি বোতলে দশ হাজারেরও বেশি প্লাস্টিক কণার হদিস মিলেছে। প্রতি লিটারে হিসেব করলে যার গড় পরিমাণ হয় ১০.৪ শতাংশ।

পরিশোধিত জলের মতো কোনও পানীয়ে এই ধরনের বিষাক্ত জিনিস ঢুকছে কী করে? ম্যাসনরা জানাচ্ছেন, মূলত যে প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে বোতল বা তার ঢাকনা তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকেই জলে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিষ। এই ধরনের বিষাক্ত জল দীর্ঘদিন ধরে খেলে তার পরিণাম কী হতে পারে, স্পষ্ট করেননি গবেষকরা। তবে ক্যানসার, অটিজম, শুক্রাণু কমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ম্যাসনের কথায়, ‘‘বোতলবন্দি জলের থেকে কলের জল অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করি আমরা। প্লাস্টিকের বোতলের জলকে যত দ্রুত অতীত করা যায়, ততই মঙ্গল।’’

তবে ইউরোপীয় ‘ফুড সেফটি অথরিটি’র দাবি, মানব শরীরে প্লাস্টিকের কণা ঢুকলে তা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে হজম হয়ে যায়। শুধুমাত্র কিছু কণা পাকস্থলীতে থেকে যায়, যা পরবর্তীকালে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mineral Water Bottled water WHO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE