Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

লতানে গাছে অন্দরসজ্জা

মানি প্ল্যান্ট, মর্নিং গ্লোরি... নামের মতোই সুন্দর ঘরোয়া লতানে গাছেরামানি প্ল্যান্ট, মর্নিং গ্লোরি... নামের মতোই সুন্দর ঘরোয়া লতানে গাছেরা

বুগেনভিলিয়া

বুগেনভিলিয়া

রূম্পা দাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

বাড়িতে ঢোকার মুখেই পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ছে একগোছা সবুজ পাতা। আর একটু এগোতেই দেখা গেল ডালে ধরেছে ফুলের কুঁড়ি। বসন্ত এলেই পাপড়ি মেলে ফুটে উঠবে তারা। ক্লাইম্বার্স আর ক্রিপার্স এমনই। লতানে গাছ মন কেড়ে নেয় সহজে। বাড়ির পাঁচিল বা প্রবেশপথের দু’পাশে তো অবশ্যই, লতানে গাছ জায়গা করে নিয়েছে অভ্যন্তরেও। ফলে ইনডোর প্ল্যান্টসের মতোই লতানে গাছের সাজে বদলে যাচ্ছে অন্দরসজ্জা। যাঁদের বাড়িতে পাঁচিল কিংবা ঢোকার বড় সদর নেই, তাঁরা চাইলেই বারান্দার রেলিংয়ে, জানালার বাইরে রাখতেই পারেন এ ধরনের গাছ।


বুগেনভিলিয়া

যাঁরা গাছ ভালবাসেন, তাঁদের মধ্যে বুগেনভিলিয়ার প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ কমই আছেন। ম্যাজেন্টা, লাল, কমলা, গোলাপি, সাদা... হরেক রঙের রঙিন ডালি সাজায় এই গাছ। তবে সাধারণ ভাবে আমরা যাকে বুগেনভিলিয়ার ফুল বলে চিনি, তা আসলে পাতা। পাতার মতোই একসঙ্গে ফুটে থাকা এই সুন্দর রঙিন থোকাগুলোকে বলে ব্র্যাক্টস। বুগেনভিলিয়ার ফুল লুকিয়ে থাকে পাতার দলে। ফলে যা আমাদের নজর কাড়ে, তা আসলে ব্র্যাক্টস। যেহেতু গাছে কাঁটা থাকে, তাই পাঁচিলের পাশে, থামের গঠন বরাবর রাখলে ভাল। প্রাথমিক যত্ন নিয়ে গাছ বেড়ে গেলে পরে তেমন খেয়াল রাখার দরকার পড়ে না।

মর্নিং গ্লোরি

ধরুন শীতশেষে ঘুম ভাঙতেই কফিকাপ হাতে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎই চোখ চলে গেল ছোট ছোট বেগুনি রঙের ফুলের দিকে। সেই ফুলের স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। দেখতে যেমন সুন্দর, নামটাও তেমনই মিষ্টি— ‘মর্নিং গ্লোরি’! সকালবেলায় ফোটে বলেই এমন নাম। চোঙাকার, ট্রাম্পেটের মতো দেখতে ফুলগুলি। মর্নিং গ্লোরির ফুল সাদা, নীল, গোলাপি, বেগুনি রঙের হয়। দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক। তবে খেয়াল রাখবেন, গাছের মাটিতে যেন জল জমে না থাকে। আলো-হাওয়া দরকার হয় বলে বারান্দায় ভাল থাকে মর্নিং গ্লোরি।

মানি প্ল্যান্ট

ডেভিল্‌স আইভি, সিলভার ভাইন, গোল্ডেন পোথোস, হান্টার্স রোব... হরেক নাম থাকলেও মানি প্ল্যান্ট নামেই এই গাছের পরিচিতি বেশি। একটু বেশি উষ্ণতার অঞ্চলে ভালই বেঁচে থাকে মানি প্ল্যান্ট। খুব একটা যত্নআত্তির দরকার নেই। বেড়ে ওঠে তরতরিয়ে। সাদা, হলুদ, সবুজের নানা শেডের রং দেখা যায় পাতায়। প্রয়োজন মতো নিয়মিত জল দিলেই চলে। তবে বেড়ে ওঠার সময়ে লতানোর জন্য মাচা করে বা কঞ্চি পুঁতে দিতে পারেন। প্রায় পানপাতার মতো দেখতে মানি প্ল্যান্ট ঘরের ভিতরের দূষণ দূরে রাখে। এর সান্নিধ্যে মন শান্ত হয়।

ফ্লেম ভাইন

নীল-হলুদ বা স্নিগ্ধ রং ছাড়াও অনেকের কাছে কমলা বেশি প্রিয়। তাঁদের জন্যই প্রতি শীত ও বসন্তে পশরা সাজায় ফ্লেম ভাইন। এই গাছের ফুল আগুেন উজ্জ্বল কমলা। ট্রাম্পেটের আকারের ফুল ফুটে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে। নিয়মিত জল ও পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলোয় তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে ফ্লেম ভাইন।

এ ছাড়াও আছে উইস্টেরিয়া, মুন ফ্লাওয়ার, ক্লেমাতিস, ম্যান্ডেভিল... তবে যে গাছই লাগান, তার যত্ন প্রয়োজন। গাছের পাতা পরিষ্কার করা, শুকনো পাতা ছেঁটে ফেলা, সার দেওয়া ছাড়াও দরকার শর্তহীন ভালবাসা। ফুলে ফুলে বেড়ে উঠে লতানে গাছেরা হয়ে উঠবে দোসর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indoor Home Decoration Home Decor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE