ক্ষীর চকলেটের মনোহরা
সন্দেশ
কাঠের থালায় ১ কেজি ছানা ভাল করে বেটে নিন। ছানায় যেন কোনও দানা না থাকে। মিহি করে মাখা ছানার সঙ্গে ২০০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে এ বার কড়াইয়ে পাক দিন। চিনি গলে, ছানা ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। প্রাথমিক সন্দেশ তৈরি। এ বার এই সন্দেশের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে সমস্ত পদ।
ভাঁড়ে কেশর ভাপা
উপকরণ: ছানা ২ কেজি, গুঁড়ো চিনি ১৫০ গ্রাম, কাজু বাদাম ১৫ গ্রাম, পেস্তা ১৫ গ্রাম, কেশর অল্প।
প্রণালী: প্রথমে খলে কেশর ভাল করে পিষে নিন। একটি থালায় ছানা, চিনি, কাজু বাদাম কুচি, পেস্তা কুচি, কেশর একসঙ্গে মাখুন। মাটির ভাঁড়ে চেপে চেপে ছানার মণ্ড পুরে দিন। উপর থেকে কেশর ছড়ান।
জামাইষষ্ঠীর মিষ্টিভোজ
একটি বড় ডেকচিতে জল ফুটতে দিন। তার উপর একটি জালি থালা বসিয়ে ছানা ভরা ভাঁড়গুলো রাখুন। চাপা দিয়ে আধ ঘণ্টা মতো ভাপিয়ে নিন। ভাপানো হয়ে গেলে কিছু ক্ষণ রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন ভাঁড়ে কেশর ভাপা।
ক্ষীর চকলেটের মনোহরা
উপকরণ: সন্দেশ ২৫০ গ্রাম, ক্ষীর ৭৫ গ্রাম, হোয়াইট কম্পাউন্ড চকলেট অল্প, আমের এসেন্স অল্প।
প্রণালী: কড়াইয়ে সন্দেশ ও ক্ষীর একসঙ্গে ভাল করে নাড়ুন। ঘন হলে নামিয়ে নিন। ১০০ গ্রাম থেকে তিনটি করে ছানার বল তৈরি করুন। অন্য পাত্রে চকলেট গলিয়ে নিন। ছানার বলের উপরে গলানো চকলেট ছড়িয়ে ফ্রিজে ঢোকান। ঠান্ডা হয়ে গেলে বার করে নিন। বাকি চকলেটের মধ্যে আমের এসেন্স মিশিয়ে নিন। মনোহরার উপরে আম-চকলেট নিজের ইচ্ছে মতো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
হিমসাগর আম
উপকরণ: আমের পাল্প ১০০ গ্রাম, সন্দেশ ২৫০ গ্রাম, বাসন্তী ও সবুজ রং কয়েক ফোঁটা, পেস্তা কয়েকটি।
প্রণালী: আমের পাল্প ফোটাতে থাকুন। তাতে সন্দেশ দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এই সন্দেশ ঠান্ডা করে তিনটি সমান ভাগ করুন। একটি ভাগ বাসন্তী ও আর একটি ভাগ সবুজ রং দিয়ে মাখুন। বাকি ভাগটি সাদাই থাকবে। এ বার সন্দেশের সাদা, সবুজ ও হলুদ ভাগ তিনটি একসঙ্গে মাখুন। তা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে আমের আকার দিন। সেই সন্দেশের ভিতরে আমের পাল্প ভরে আবার সন্দেশ দিয়ে পূরণ করে দিন। বোঁটা হিসেবে পেস্তা লাগিয়ে দিন।
পেয়ারা সন্দেশ
উপকরণ: ৫০০ গ্রাম সন্দেশ, সবুজ রং কয়েক ফোঁটা, চারমগজ কয়েকটি, আতর কয়েক ফোঁটা।
প্রণালী: সন্দেশ ২৫০ গ্রাম করে সমান দু’ভাগে ভাগ করে নিন। একটি ভাগ সবুজ রং ও এসেন্স দিয়ে মেখে নিন। অন্যটি সাদাই থাকবে। এ বার সাদা ও সবুজ সন্দেশ থেকে দু’টি আলাদা আলাদা বল তৈরি করুন। সবুজ সন্দেশের বলের ভিতরে সাদা সন্দেশের বল পুর হিসেবে ভরে, আর এক বার গোল আকার দিন। এ বার বলের মাঝখান থেকে চার টুকরো করে কাটুন। পেয়ারার ফালি তৈরি হয়ে যাবে। পেয়ারা সন্দেশের গায়ে বীজ তৈরি করতে মিহি করে কুচোনো চারমগজ লাগিয়ে দিন।
জামাই মালাই
উপকরণ: সন্দেশ ৫০০ গ্রাম, সবুজ রং কয়েক ফোঁটা, কাঁচা আমের এসেন্স কয়েক ফোঁটা, পাকা আমের পাল্প ১০০ গ্রাম, রাবড়ি অল্প।
প্রণালী: আমের পাল্প ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। সন্দেশ সমান দু’ভাগে ভাগ করুন। একটি ভাগে সবুজ রং ও কাঁচা আমের এসেন্স মেশান। অন্য সাদা ভাগটির সঙ্গে অল্প রাবড়ি মিশিয়ে নিন। এ বার পরিবেশন করার স্বচ্ছ পাত্রে প্রথমে কাঁচা আমের সবুজ সন্দেশ, মাঝে রাবড়ি মাখা সাদা সন্দেশ এবং উপরে আমের পাল্প দিন। তিনটি স্তর যেন আলাদা বোঝা যায়। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন জামাই মালাই।
অনুলিখন: রূম্পা দাস
ছবি: দেবর্ষি সরকার
রুপোর বাসন: এস কে গিনি প্যালেস, কুমোরটুলি
আপনি কি নিজের অভিনব রান্নার রেসিপি পত্রিকায় প্রকাশ করতে চান? তবে সেই রান্নার ছবি তুলে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর-সহ মেল করুন এই মেল আইডিতে patrika@abp.inজামাইষষ্ঠীর মিষ্টিভোজ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy