• ৮০ সি সি ডি ধারা অনুযায়ী অতিরিক্ত কর ছাড় পাওয়া যাবে জাতীয় পেনশন প্রকল্পে (এন পি এস) ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বাত্সরিক জমার উপর।
• ৮০ ডি ধারায় স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা। অতি প্রবীণ নাগরিকরা ছাড় পাবেন ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিত্সা খরচের উপর।
• ৮০ ডি ডি বি ধারায় অতি প্রবীণ নাগরিকরা নির্দিষ্ট কিছু অসুখের চিকিত্সা বাবদ আগের ৬০ হাজার টাকার জায়গায় ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচে করছাড় পাবেন।
• ৮০ ডি ডি ধারায় নির্ভরশীল অক্ষম ব্যক্তির ভরণপোষণ এবং চিকিত্সা বাবদ ছাড়ের মাত্রা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। তীব্র অক্ষমতার ক্ষেত্রে এই ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হবে ১.২৫ লক্ষ।
• ৮০ ইউ ধারা অনুযায়ী একজন অক্ষম ব্যক্তি আগের ৫০ হাজার টাকার জায়গায় আগামী আর্থিক বছরে ছাড় পাবেন ৭৫ হাজার টাকার উপর। অক্ষমতা তীব্র হলে ছাড়ের মাত্রা বেড়ে হবে ১.২৫ লক্ষ টাকা।
• যাতায়াত-ভাতা বাবদ মাসিক ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৬০০ টাকা। অর্থাত্ বছরে ১৯,২০০ টাকা।
কতটা পারবেন সেটাই প্রশ্ন
অর্থমন্ত্রীর হিসেব মতো সাধারণ আয়ের মানুষেরা যে সুবিধা পেতে পারেন তার মোট মূল্য ৪,৪৪,২০০ টাকা (সঙ্গের সারণিতে হিসেব দেওয়া হয়েছে)। এক বার দেখে নেওয়া যাক এই সুবিধার কতটা এই সমস্ত করদাতারা ঘরে তুলতে পারেন।
৮০সি ধারায় ১.৫০ লক্ষ টাকা লগ্নি প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ হয়তো অনেকটাই করা যাবে।
পেনশন ফান্ডে তাঁরাই লগ্নি করার জন্য ঝুঁকবেন, যাঁদের বয়স তুলনায় কম।
গৃহঋণে ২ লক্ষ টাকা সুদের উপর করছাড়ের সুবিধা পেতে হলে আনুমানিক ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হবে। যার উপর ইএমআই পড়তে পারে কম-বেশি ২২ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম বাবদ খরচ হবে মাসে ২০০০ টাকারও বেশি।
অর্থাত্ পুরো ফায়দা তুলতে মাসে খরচ করতে হতে পারে ৪০ হাজারেরও বেশি টাকা। মাসে এত টাকা হয়তো সাধারণ আয়ের অনেকের পক্ষেই খরচ করা সম্ভব নয়।
আবার যাতায়াত-ভাতা বাবদ ছাড় তাঁরাই পাবেন, যাঁরা চাকরি করেন এবং সমপরিমাণ বা বেশি যাতায়াত-ভাতা পান। স্বনিযুক্ত করদাতারা এই ছাড় পাবেন না। অর্থাত্ দেখা যাচ্ছে, সব ক’টি ছাড়ের পুরো সুবিধা অনেকেই নিতে পারবেন না।
একদম নিচুতলার মানুষের জন্য কয়েকটি সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করার প্রয়াস দেখা গিয়েছে। তবে প্রস্তাবিত সুবিধার কতটা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করতে পারবেন, বছরে ১২ টাকা অথবা ৩৩০ টাকার প্রিমিয়ামের পলিসি বিক্রি করতে কত জন বিমা এজেন্ট সচেষ্ট হবেন, তা-ই এখন দেখার।
আশা না পুরিল
• করশূন্য আয়ের স্তর বাড়েনি (সঙ্গের সারণি দেখে নিন)
• ৮০সি ধারায় করছাড় বাড়েনি (বর্তমানে তা বছরে ১.৫০ লক্ষ টাকা)
• ভ্রমণ-ভাতা, অর্থাৎ এলটিএ উপর করছাড় একই আছে (চার বছরে দু’বার)
• পেনশনের উপর কোনও করছাড় বিবেচিত হয়নি
স্বস্তি পাবেন বিত্তবান
• সম্পদকর বরাবরের মতো তুলে দেওয়া হয়েছে এ বারের বাজেটে। এতে মস্ত বড় সুবিধা হল বিত্তবানদের। পরিবর্তে বাড়ানো হল প্রদেয় করের উপর সারচার্জ। তবে মাত্র ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১ কোটি টাকার বেশি আয় হলে প্রদেয় করের উপর আগে দিতে হত ১০ শতাংশ সারচার্জ। এ বার দিতে হবে ১২ শতাংশ। এতে বেশ খানিকটা সুবিধা হবে বিত্তবানদের।
একটি কাল্পনিক উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করা যাক। ধরা যাক, একজন ১ কোটি টাকার বেশি আয়ের ব্যক্তির কর বাবদ দায় ছিল ৩০ লক্ষ টাকা। যার উপর তাঁকে সারচার্জ বাবদ দিতে হত ৩ লক্ষ টাকা।
সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।