তুলনায় অল্প বয়স হলে, স্বল্প টাকায় বড় ধরনের লাইফ কভারেজ পাওয়া সম্ভব— এমন মানসিকতা সম্প্রতি জোরালো হয়েছে। পুরনো গ্রাহকরা তাদের কভারেজের পরিধি বাড়াতে চাইছেন, নতুনরা অনেকেই বিমা ক্ষেত্রে পা রাখছেন মেয়াদি প্রকল্পগুলি দিয়েই। এঁদের জন্য অনলাইনে পলিসি কেনা (অর্থাৎ ডিস্ট্রিবিউশন খরচ বাদ দিয়ে) একটি আলাদা আকর্ষণ।
প্রসঙ্গত, আজকাল মূল্যযুক্ত (ভ্যালু-আ্যডেড) পলিসি কিনছেন আরও বেশি সংখ্যক বিনিয়োগকারী। তাদের জন্য ‘রিটার্ন অফ প্রিমিয়াম’ ছাড়াও ‘লিমিটেড পে অপশন’ জাতীয় অন্যান্য সুযোগ এনে দিয়েছে বিমা সংস্থাগুলিও। এ ছাড়াও কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘প্রিমিয়াম ব্রেক’ বিকল্প পাওয়া যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কয়েক বছর (দু’একটিতে ১০ বছর) পর গ্রাহক বিমার কিস্তি না দিয়েও বিমা চালু রাখতে পারেন। এই সুযোগ সাধারণত বিমা চালু থাকাকালীন দু’বারের বেশি পাওয়া যায় না।
ইদানিং ৩০-৪০ বছর বয়সিরা মেয়াদি বিমা কেনার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। বিমা সংস্থারাও এদের ধরতে ব্যগ্র। সঞ্চয়ের জন্য নয়। শুধুই বিমার সুযোগ নিতে তাই অনেকেই এর দিকে ঝুঁকছেন। আর্থিক ঝুঁকি সামলানোর রাস্তা হিসাবেও অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এই ধরনের বিমা। যেমন ধরুন, বাচ্চার শিক্ষা খাতে খরচও বিমা পরিধির মধ্যে নিয়ে আসছেন অনেকেই। তবে তার জন্য বিমার কিস্তিও বেশি দিতে হবে।
ঠিক কতখানি কভারেজ হলে তা যথাযথ বলে গণ্য করা যাবে? সেটি গ্রাহকের মোট বার্ষিক রোজগারের অন্তত ১২ থেকে ১৫ গুণ হওয়া উচিত, এমনই অনেকে মনে করেন। এই হিসাব মতো, কোন ব্যক্তির মাসে এক লক্ষ টাকা রোজগার হলে, অর্থাৎ বছরে ১২ লক্ষ টাকা যদি তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মিত আসে, তা হলে কভারেজ অন্তত দেড় কোটি টাকা হলে ভাল হয়। কী ভাবে এই কভারেজ আসবে, মানে কত টাকার প্রিমিয়াম গুনতে হবে, তা নির্ভর করছে বয়স ও অন্য কয়েকটি জরুরি শর্তের উপর।
প্রধান শর্ত গুলি হল: এখনকার স্থায়ী রোজগার, ডেট অর্থাৎ বাজারে কত টাকা দেনা আছে, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং নির্ভরশীলদের (গ্রাহকের উপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল মানুষ) সংখ্যা। আজকাল নানারকম রাইডার নেওয়ার চল বেড়েছে, এবং কিস্তির বহর এই সমস্ত রাইডারের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। লাইফ কভার পরিমাণ এবং মেয়াদ, এ দুটিও অতি প্রয়োজনীয় শর্ত।