• পরিকাঠামো সংক্রান্ত ব্যবসা
• দ্রুত বিকিকিনির ভোগ্যপণ্য
• ব্যাঙ্কিং
ডেট ফান্ডস:
বিভিন্ন ঋণ পত্রেএই ধরনের তহবিল লগ্নি করে থাকে। আপনি যেমন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার করে বাড়ি বানান কিংবা গাড়ি কেনেন, ঠিক তেমনই বিভিন্ন সংস্থা ব্যবসার প্রয়োজনে বাজারে বন্ড বা ঋণ পত্র ছেড়ে টাকা তোলে।যেমন, কোম্পানি ডিবেঞ্চার্স,সরকারি বন্ড বা অন্য ফিক্সড ইনকাম অ্যাসেটে এমনটা করা হয়। তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম বলে পরিচিত এই ফান্ডগুলো থেকে রিটার্নের পরিমাণও নির্দিষ্ট থাকে। আবার, এই ফান্ডে বিনিয়োগে উৎস থেকে আয়কর বাদ দেওয়ার(টিডিএস)সুযোগ নেই। ফলে রিটার্নের অঙ্ক ১০ হাজার ছাড়ালে কর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বিনিয়োগকারীকেই।
মানি মার্কেট ফান্ডস:
এটা আবার একটু অন্য রকম। বিভিন্ন সংস্থা নগদের প্রয়োজন মেটাতে বাজার থেকে টাকা তোলে। এদের নামগুলোও আলাদা। যেমন টি-বিল, সিপি ইত্যাদি। এই ফান্ডও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবেই ধরা হয়। মূল ফারাক হল এদের সময়ের। সাধারণত এক বছরের কম সময়ের জন্য এগুলিকে বাজারে ছাড়া হয়। সুদের বদলে এগুলির যা দাম তার থেকে কম দামে বিক্রি করা হয়। ক্রেতার লাভ সময় শেষে কেনার দাম আর বেচার দামের ফারাক। ধরা যাক, আপনি যা কিনলেন ১০০ টাকা দামের বিল। কিন্তু তার দাম পড়ল ৮০ টাকা। সময় হলে যখন বিক্রি করবেন তখন পাবেন ১০০ টাকা। অর্থাৎ, আপনার লাভ হল ২০ টাকা। বিশেষত যাঁরা বাড়তি ফান্ড থেকে দ্রুত এবং মাঝারি মানের রিটার্নের আশায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ।
ব্যালেন্সড বা হাইব্রিড ফান্ডস:
এক্ষেত্রে ইক্যুইটি বা শেয়ার এবং ঋণপত্রে বিনিয়োগ করা হয়ঝুঁকি আর আয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে। এই সব বিনিয়োগে ফান্ড ম্যানেজাররা নজর রাখেন আপনার আয় বাড়ানোর উপর, কিন্তু এমন ভাবে যাতে আপনার মূলধনে টান না পড়ে বাজারের ওঠা-নামার কারণে। তাই কখনও ঋণপত্রে বেশি টাকা, কখনও বা শেয়ারে বেশি- এ ভাবেই ম্যানেজাররা আপনার টাকার বিনিয়োগ কৌশল পরিচালনা করে থাকেন।