Bollywood celebrities who got embarrassed by their fans dgtl
Bollywood
বলি সেলেবদের বিড়ম্বনা, কী কী না কাণ্ড ঘটান অন্ধ ভক্তরা!
বলিউড সেলেবদের ফ্যানরা কীই না করে থাকেন!
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ১৩:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
কী বিড়ম্বনা রে ভাই! কেউ পেয়েছেন বিয়ের প্রস্তাব, কারও বাবা-মাকেও ফোন করা হয়েছে। কেউ আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে দেখা করতে এসেছেন প্রিয় তারকার সঙ্গে। বলিউড সেলেবদের এরকমই কিছু ‘জাবরা’ ফ্যানদের কথা জেনে নেওয়া যাক।
০২১৭
সুস্মিতা সেন: ২০০৮ সালে হঠাত্ পরপর দামি উপহার পেতে শুরু করেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী। অজ্ঞাতপরিচয়ধারী ওই ফ্যান এরপর পাঠান বিয়ের পোশাক ও গয়না। এরপরই আসে হুমকি চিঠি-সহ অশ্লীল মেসেজ। বিয়ে না করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বঙ্গতনয়াকে! পুলিশে অভিযোগ করতে বাধ্য হন সুস্মিতা।
০৩১৭
জন আব্রাহাম: ‘দোস্তানা’ ছবির পর এক জন পুরুষ অনুরাগী নিয়মিত ফলো করতেন জনকে। বাড়ির ল্যান্ডলাইনে ফোনও করেছিলেন। বাধ্য হয়ে পুলিশে জানান জন।
০৪১৭
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া: ২০১৪ সালে তখন বার্সেলোনায় শুটিংয়ে ব্যস্ত পিগি চপস। সেই সময়ে তাঁর মুম্বইয়ের আবাসনের বাইরে দিনের পর দিন এক যুবককে দেখা যেত। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে এক দিন ধরেন। ওই ফ্যানের সঙ্গে থাকত মিষ্টির প্যাকেট, ফুল ও বালা!
০৫১৭
হৃত্বিক রোশন: অ্যানা নামে এক রুশ তরুণী রোজ হৃত্বিকের জুহুর বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেন। অন্ধেরির অফিসেও পৌঁছে যান তিনি। তাঁকে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শেষে পুলিশ এসে বিষয়টি সামলায়।
০৬১৭
ক্যাটরিনা কইফ: ২০০৯ সালে টানা নয় মাস এক ফ্যান অনুসরণ করেছিলেন বলিউডের বার্বি ডলকে। শুটিং থেকে বাড়ি সর্বত্র তাঁকে দেখা যেত। ক্যাটের ফ্ল্যাটের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই ফ্যান। ক্যাটরিনা যদিও ফ্যানের নামে পুলিশে অভিযোগ জানাননি।
০৭১৭
শাহিদ কপূর: অভিনেতা রাজকুমারের মেয়ে বাস্তবিকা পণ্ডিত প্রিয় অভিনেতাকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দেওয়া শুরু করেন! শাহিদের পাড়ায় ফ্ল্যাট পর্যন্ত কিনে নেন তিনি। সর্বত্র ফলো করা শুরু করেন শাহিদকে। বাধ্য হয়ে পুলিশে নালিশ করেন শাহিদ।
০৮১৭
দিয়া মির্জা: ২০০৯ সালে এক নামী চিকিৎসক ফলো করতেন দিয়াকে। আংটি আর ফুল উপহার পাঠিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। প্রথমে পাত্তা না দিলেও পরে পুলিশে অভিযোগ করেন দিয়া।
০৯১৭
অক্ষয় কুমার: আক্কির সঙ্গে দেখা করতে লখনউয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এক তরুণী। ২০০৯ সালে আক্কির গাড়ি নিয়মিত ফলো করেও তাঁর দেখা না পেয়ে নিজের কবজি ভেঙে ফেলেছিলেন নিজেই। অক্ষয় হাসপাতালে পৌঁছে দেন তাঁকে।
১০১৭
কঙ্গনা রানাওয়াত: ২০১০ সালে কঙ্গনার জিমে পৌঁছে যান এক ফ্যান। নিয়মিত কঙ্গনাকে দিয়ে আসতে শুরু করেন ফুল। উপহার পাঠান। মেলবক্স ভরে যায় প্রেমপত্রে। বিরক্ত হয়ে পুলিশের সাহায্য নেন নায়িকা।
১১১৭
রবিনা টন্ডন: ‘খিলাড়ি গার্ল’-কে নিজের স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিলেন এক ফ্যান। রবিনার স্বামী ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাডানির গাড়িতে এবং রবিনার বাড়িতেও ঢিল ছোড়া শুরু করেন। কারণ অন্য পুরুষের সঙ্গে রবিনাকে তিনি দেখতে পারতেন না! এ ক্ষেত্রেও পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন রবিনা।
১২১৭
অভিষেক বচ্চন: ‘দশ বাহানে করকে লে গ্যয়ে দিল’-এর একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার নিজেকে অভিষেকের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। নিজের কবজি ভেঙে অভিষেককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি!
১৩১৭
করিনা কপূর: নিয়মিত দামি উপহার পাঠাতেন বেবোর এক ফ্যান। ডিজাইনার শাড়ি, ল্যাপটপ কিছুই বাদ ছিল না। বেবো অবশ্য বিষয়টা খুব একটা পাত্তা দেননি।
১৪১৭
শ্রুতি হাসান: নিয়মিত শ্রুতির ফ্ল্যাটের বেল বাজাতেন এক ফ্যান। শ্রুতির ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে তাঁর গলা টিপে ধরতেও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও মতে ফ্যানের হাত ছাড়িয়ে পালান শ্রুতি। পড়ে দেখা যায়, সে শ্রুতির ছবির স্পট বয়!
১৫১৭
সেলিনা জেটলি: ‘লাভ হ্যাজ নো বাউন্ডারি’ ছবির শুটিংয়ের সময় ২০০৭ সালে সেলিনার দিকে এগিন যান এক তরুণ। পুলিশে অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
১৬১৭
তুষার কপূর: নয়াদিল্লির তরুণী শিখা ২০১২ সালে তুষারকে ফলো করা শুরু করেন। কেক আর ফুল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করতেন তাঁর জন্য। তুষারকে দেখার জন্য সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকতেন!
১৭১৭
রাজেশ খন্না: এক তরুণী নাকি নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে পাঠাতেন রাজেশকে। বহু বার রাজেশকে ফলো করেছেন তিনি!