Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
bollywood

ফিল্ম শেষ না করে চলে যান বিনোদ খন্না, অক্ষয়ের হাত ধরে বলিউডে ফেরেন বিপর্যস্ত বাঙালি প্রযোজক

এর পর তিনি ঠিক করেন ছবির প্রযোজনা আর করবেন না। পরিচালনা বরং করতে পারেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০৯:৪৩
Share: Save:
০১ ১০
বহিরাগত অক্ষয় কুমারের পক্ষে বলিউডে কেরিয়ার করা খুব সহজ ছিল না। অনেকেই জানেন, প্রমোদ চক্রবর্তীর সুবাদে তিনি অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন।

বহিরাগত অক্ষয় কুমারের পক্ষে বলিউডে কেরিয়ার করা খুব সহজ ছিল না। অনেকেই জানেন, প্রমোদ চক্রবর্তীর সুবাদে তিনি অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন।

০২ ১০
কিন্তু এই প্রশ্নও উঠতে পারে। প্রমোদের জন্য তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন? নাকি, তাঁর জন্যই প্রমোদের ভাগ্যের বন্ধ দরজা খুলে যায়?

কিন্তু এই প্রশ্নও উঠতে পারে। প্রমোদের জন্য তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন? নাকি, তাঁর জন্যই প্রমোদের ভাগ্যের বন্ধ দরজা খুলে যায়?

০৩ ১০
মার্শাল আর্টে দক্ষ অক্ষয় বহু জায়গায় নিজের পোর্টফোলিয়ো জমা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি জমা পড়েছিল প্রমোদের অফিসেও। প্রমোদ ছিলেন মুম্বইয়ের নামী পরিচালক ও প্রযোজক। কিন্তু ১৯৮৪-র পর দীর্ঘ দিন তিনি কাজের বাইরে ছিলেন।

মার্শাল আর্টে দক্ষ অক্ষয় বহু জায়গায় নিজের পোর্টফোলিয়ো জমা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি জমা পড়েছিল প্রমোদের অফিসেও। প্রমোদ ছিলেন মুম্বইয়ের নামী পরিচালক ও প্রযোজক। কিন্তু ১৯৮৪-র পর দীর্ঘ দিন তিনি কাজের বাইরে ছিলেন।

০৪ ১০
১৯৮৪ তে প্রমোদ একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন। ‘জাগীর’ নামে সেই ছবিতে তিনি বিনোদ খন্না, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্রকে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুটিং শুরুর ঠিক আগে বিনোদ খন্না বলিউড ছেড়ে ওশো রজনীশের আশ্রমে চলে যান। ফলে ‘জাগীর’ শেষ করতে বিপাকে পড়েছিলেন প্রমোদ।

১৯৮৪ তে প্রমোদ একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন। ‘জাগীর’ নামে সেই ছবিতে তিনি বিনোদ খন্না, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্রকে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুটিং শুরুর ঠিক আগে বিনোদ খন্না বলিউড ছেড়ে ওশো রজনীশের আশ্রমে চলে যান। ফলে ‘জাগীর’ শেষ করতে বিপাকে পড়েছিলেন প্রমোদ।

০৫ ১০
অমিতাভও এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ান। পরে মিঠুন-ধর্মেন্দ্র-ড্যানিকে নিয়ে ছবির কাজ শেষ করেন প্রমোদ। সেই ছবি বক্স অফিসে সফল হলেও ইন্ডাস্ট্রির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। ছবির কাজ শেষ করা নিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন, তার জন্য ঠিক করেন ছবির প্রযোজনা আর করবেন না। পরিচালনা বরং করতে পারেন।

অমিতাভও এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ান। পরে মিঠুন-ধর্মেন্দ্র-ড্যানিকে নিয়ে ছবির কাজ শেষ করেন প্রমোদ। সেই ছবি বক্স অফিসে সফল হলেও ইন্ডাস্ট্রির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। ছবির কাজ শেষ করা নিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন, তার জন্য ঠিক করেন ছবির প্রযোজনা আর করবেন না। পরিচালনা বরং করতে পারেন।

০৬ ১০
১৯৯১ সালে প্রমোদ পান অক্ষয়ের পোর্টফোলিয়ো। তিনি তার পরেও দোটানায় ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অক্ষয়ের ছবি দেখিয়ে আলোচনা করেন। 

১৯৯১ সালে প্রমোদ পান অক্ষয়ের পোর্টফোলিয়ো। তিনি তার পরেও দোটানায় ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অক্ষয়ের ছবি দেখিয়ে আলোচনা করেন। 

০৭ ১০
শোনা যায়, প্রমোদের স্ত্রী লক্ষ্মী উৎসাহ দিয়েছিলেন অক্ষয়কে নায়ক করে ছবি তৈরি করার জন্য।

শোনা যায়, প্রমোদের স্ত্রী লক্ষ্মী উৎসাহ দিয়েছিলেন অক্ষয়কে নায়ক করে ছবি তৈরি করার জন্য।

০৮ ১০
এর পর প্রমোদের পরিচালনায় অক্ষয়কুমারকে নায়ক করে ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় ‘দীদার’। নায়িকা ছিলেন করিশ্মা কপূর। 

এর পর প্রমোদের পরিচালনায় অক্ষয়কুমারকে নায়ক করে ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় ‘দীদার’। নায়িকা ছিলেন করিশ্মা কপূর। 

০৯ ১০
‘সৌগন্ধ’ ছবি ঘটনাচক্রে আগে মুক্তি পেলেও অক্ষয় সবার প্রথমে সই করেছিলেন ‘দীদার’-এই।

‘সৌগন্ধ’ ছবি ঘটনাচক্রে আগে মুক্তি পেলেও অক্ষয় সবার প্রথমে সই করেছিলেন ‘দীদার’-এই।

১০ ১০
এই ছবির দৌলতে দীর্ঘ আট বছর পরে আবার প্রমোদ চক্রবর্তীকে প্রযোজক হিসেবে পেয়েছিল বলিউড। অন্য দিকে, তিনিও সঞ্জয় দত্ত ও সানি দেওলের মতো স্টারকিডদের রমরমার সময়ে বলিউডকে উপহার দিয়েছিলেন ঝকঝকে নতুন একটি মুখ।

এই ছবির দৌলতে দীর্ঘ আট বছর পরে আবার প্রমোদ চক্রবর্তীকে প্রযোজক হিসেবে পেয়েছিল বলিউড। অন্য দিকে, তিনিও সঞ্জয় দত্ত ও সানি দেওলের মতো স্টারকিডদের রমরমার সময়ে বলিউডকে উপহার দিয়েছিলেন ঝকঝকে নতুন একটি মুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE