Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Entertainment news

কুলিগিরি, বাসের টিকিট কেটে জীবন কাটত, সেই থালাইভাই আজ ৪০০ কোটির মালিক!

আসল নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। তবে জনপ্রিয় রজনীকান্ত নামে। জানেন কি তামিল ছবির এই সুপারস্টার এক সময় খাবার জোগাড়ের জন্য নানা ছোটখাটো কাজ করেছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৫৮
Share: Save:
০১ ১৩
আসল নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। তবে জনপ্রিয় রজনীকান্ত নামে। জানেন কি তামিল ছবির এই সুপারস্টার এক সময় খাবার জোগাড়ের জন্য নানা ছোটখাটো কাজ করেছেন?

আসল নাম শিবাজি রাও গায়কোয়াড়। তবে জনপ্রিয় রজনীকান্ত নামে। জানেন কি তামিল ছবির এই সুপারস্টার এক সময় খাবার জোগাড়ের জন্য নানা ছোটখাটো কাজ করেছেন?

০২ ১৩
কখনও কুলি হয়ে জিনিসপত্র বয়ে দিয়েছেন, কখনও বাসের টিকিট কেটেছেন কন্ডাক্টর হয়ে। উপার্জনের জন্য একসময় এ সব কিছুই করতে হয়েছে তাঁকে। আর আজ তিনি অন্তত ৪০০ কোটি টাকার মালিক! ২০১০ সালে ফোর্বস সূত্রে জানা যায়, তখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সম্পত্তির এই হিসাব বর্তমানে আরও বেড়েছে।

কখনও কুলি হয়ে জিনিসপত্র বয়ে দিয়েছেন, কখনও বাসের টিকিট কেটেছেন কন্ডাক্টর হয়ে। উপার্জনের জন্য একসময় এ সব কিছুই করতে হয়েছে তাঁকে। আর আজ তিনি অন্তত ৪০০ কোটি টাকার মালিক! ২০১০ সালে ফোর্বস সূত্রে জানা যায়, তখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সম্পত্তির এই হিসাব বর্তমানে আরও বেড়েছে।

০৩ ১৩
‘থালাইভা’ রজনীকান্তের জন্ম ১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুর এক মরাঠি পরিবারে। মা সারাদিন সংসারের কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। আর বাবা রামোজি রাও ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল।

‘থালাইভা’ রজনীকান্তের জন্ম ১৯৫০ সালে বেঙ্গালুরুর এক মরাঠি পরিবারে। মা সারাদিন সংসারের কাজকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। আর বাবা রামোজি রাও ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল।

০৪ ১৩
চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন রজনীকান্ত। ১৯৫৬ সালে রজনীকান্ত যখন সবে ছ’বছরের তাঁর বাবা চাকরি থেকে অবসর নেন। ছয়জনের সংসারে পেনশনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে বাবা রামোজির।

চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন রজনীকান্ত। ১৯৫৬ সালে রজনীকান্ত যখন সবে ছ’বছরের তাঁর বাবা চাকরি থেকে অবসর নেন। ছয়জনের সংসারে পেনশনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে বাবা রামোজির।

০৫ ১৩
সপরিবারে বেঙ্গালুরু শহর ছেড়ে কাছেই হনুমন্থনগর বস্তিতে ঘর বেঁধে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। খুব কম বয়সে মাকেও হারিয়েছিলেন রজনীকান্ত। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁদের সংসার দেখার মতো কেউ ছিল না। পরিবারটা প্রায় ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল।

সপরিবারে বেঙ্গালুরু শহর ছেড়ে কাছেই হনুমন্থনগর বস্তিতে ঘর বেঁধে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। খুব কম বয়সে মাকেও হারিয়েছিলেন রজনীকান্ত। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁদের সংসার দেখার মতো কেউ ছিল না। পরিবারটা প্রায় ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল।

০৬ ১৩
বেঙ্গালুরুর একটা সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন রজনীকান্ত। তারপর তাঁর দাদা তাঁকে রামকৃষ্ণ মঠে ভর্তি করিয়ে দেন। ছোট থেকে ক্রিকেট, বাস্কেটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল, কিন্তু অভিনয়কে সে ভাবে ভালবাসতেন না। রামকৃষ্ণ মঠেই তাঁর অভিনয়ে হাতেখড়ি।

বেঙ্গালুরুর একটা সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন রজনীকান্ত। তারপর তাঁর দাদা তাঁকে রামকৃষ্ণ মঠে ভর্তি করিয়ে দেন। ছোট থেকে ক্রিকেট, বাস্কেটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল, কিন্তু অভিনয়কে সে ভাবে ভালবাসতেন না। রামকৃষ্ণ মঠেই তাঁর অভিনয়ে হাতেখড়ি।

০৭ ১৩
সংসারের টানাপড়েনে স্কুল পাশ করেই রজনীকান্ত চাকরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কখনও কুলিগিরি কখনও কাঠের মিস্ত্রি হয়ে কাজ করেছেন। তারপর বেঙ্গালুরু ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের বাস কনডাক্টরের কাজ পান।

সংসারের টানাপড়েনে স্কুল পাশ করেই রজনীকান্ত চাকরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কখনও কুলিগিরি কখনও কাঠের মিস্ত্রি হয়ে কাজ করেছেন। তারপর বেঙ্গালুরু ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের বাস কনডাক্টরের কাজ পান।

০৮ ১৩
এ সব কাজ করাকালীনও মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করতেন রজনীকান্ত। তবে অভিনয়ে জনপ্রিয় হওয়ার আগে বাস কন্ডাক্টর হিসাবেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

এ সব কাজ করাকালীনও মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করতেন রজনীকান্ত। তবে অভিনয়ে জনপ্রিয় হওয়ার আগে বাস কন্ডাক্টর হিসাবেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

০৯ ১৩
যে রুটের বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন রজনীকান্ত, সে বাসটা ধরার জন্যই অনেক সময় পাবলিক অপেক্ষা করতেন। কারণ, রজনীকান্ত বাসের মধ্যেও টিকিট সংগ্রহের সময় নিজের ইউনিক স্টাইল দেখিয়ে যাত্রীদের বিনোদন দিতেন।

যে রুটের বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন রজনীকান্ত, সে বাসটা ধরার জন্যই অনেক সময় পাবলিক অপেক্ষা করতেন। কারণ, রজনীকান্ত বাসের মধ্যেও টিকিট সংগ্রহের সময় নিজের ইউনিক স্টাইল দেখিয়ে যাত্রীদের বিনোদন দিতেন।

১০ ১৩
বাস কন্ডাক্টরের চাকরি করার সময় রজনীকান্ত কবি ও লেখক টপি মুনিয়াপ্পার পৌরাণিক কাহিনিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। সে সময়ই তিনি অভিনয়টা আরও ভাল করে শেখার জন্য মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।

বাস কন্ডাক্টরের চাকরি করার সময় রজনীকান্ত কবি ও লেখক টপি মুনিয়াপ্পার পৌরাণিক কাহিনিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। সে সময়ই তিনি অভিনয়টা আরও ভাল করে শেখার জন্য মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।

১১ ১৩
কাজ ছেড়ে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্তে বাড়ির লোকেদের একেবারেই সায় ছিল না। সে সময় তাঁর আর এক কন্ডাক্টর বন্ধু তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। তাঁকে আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন।

কাজ ছেড়ে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্তে বাড়ির লোকেদের একেবারেই সায় ছিল না। সে সময় তাঁর আর এক কন্ডাক্টর বন্ধু তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। তাঁকে আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন।

১২ ১৩
ফিল্ম ইনস্টিটিউটেই তামিল ফিল্ম পরিচালক কে বালাচন্দ্রের নজরে পড়ে যান তিনি। তাঁর পরামর্শেই তামিল ভাষা শেখেন রজনীকান্ত। ১৯৭৫ সালে কে বালাচন্দ্রের ফিল্ম ‘অপূর্বা রাগাঙ্গাল’ -এ প্রথম অভিনয় তাঁর।

ফিল্ম ইনস্টিটিউটেই তামিল ফিল্ম পরিচালক কে বালাচন্দ্রের নজরে পড়ে যান তিনি। তাঁর পরামর্শেই তামিল ভাষা শেখেন রজনীকান্ত। ১৯৭৫ সালে কে বালাচন্দ্রের ফিল্ম ‘অপূর্বা রাগাঙ্গাল’ -এ প্রথম অভিনয় তাঁর।

১৩ ১৩
তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। একটার পর একটা ফিল্মের অফার পেতে শুরু করেন তিনি। ২০০৭ সালে ‘শিবাজি’ ছবিতে ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা হন তিনি। সে বছর পারিশ্রমিকে প্রথম ছিলেন জ্যাকি চ্যান।

তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। একটার পর একটা ফিল্মের অফার পেতে শুরু করেন তিনি। ২০০৭ সালে ‘শিবাজি’ ছবিতে ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতা হন তিনি। সে বছর পারিশ্রমিকে প্রথম ছিলেন জ্যাকি চ্যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE