Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
bollywood

ঘর ভেঙেছিল পুরসভা, ফিজের অভাবে সাফ করতেন নাচের স্কুল, ঘিঞ্জি চাওলের ছেলে আজ সেরা কোরিয়োগ্রাফার

সেদিনই তিনি ঠিক করেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছবেন, যেখানে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হবে না। এগিয়ে চলার পথ বন্ধুর জেনেও পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। চলার পথে হাতিয়ার করেছিলেন নাচকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ১২:৪২
Share: Save:
০১ ১৮
দরিদ্র পরিবারে আট সন্তানের মধ্যে সবথেকে ছোট। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের নজর তাঁর উপর বিশেষ ছিল না। বড় হয়েছেন নিজের খেয়াল খুশিতেই। জীবনের প্রথম পর্বের দারিদ্র তাঁকে আরও এগিয়ে দিয়েছে স্বপ্নপূরণের পথে। তিনি টেরেন্স লুইস। বলিউডের প্রথম সারির এই কোরিয়োগ্রাফারের জীবনের বড় অংশ কেটেছে মুম্বইয়ের চাওলে।

দরিদ্র পরিবারে আট সন্তানের মধ্যে সবথেকে ছোট। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের নজর তাঁর উপর বিশেষ ছিল না। বড় হয়েছেন নিজের খেয়াল খুশিতেই। জীবনের প্রথম পর্বের দারিদ্র তাঁকে আরও এগিয়ে দিয়েছে স্বপ্নপূরণের পথে। তিনি টেরেন্স লুইস। বলিউডের প্রথম সারির এই কোরিয়োগ্রাফারের জীবনের বড় অংশ কেটেছে মুম্বইয়ের চাওলে।

০২ ১৮
লুইস পরিবার আদতে ম্যাঙ্গালোরের। টেরেন্সের জন্মের অনেক আগে তাঁরা চলে এসেছিলেন মুম্বই। বাণিজ্যনগরীতেই জন্ম টেরেন্সের। ১৯৭৫-এর ১০ এপ্রিল। সেন্ট টেরেসা বয়েজ হাই স্কুলের পরে তাঁর পড়াশোনা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। কলেজের পরে হোটেল ম্যানে‌জমেন্ট পাশ করেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন চাকরি করার পরে ছেড়ে দেন।

লুইস পরিবার আদতে ম্যাঙ্গালোরের। টেরেন্সের জন্মের অনেক আগে তাঁরা চলে এসেছিলেন মুম্বই। বাণিজ্যনগরীতেই জন্ম টেরেন্সের। ১৯৭৫-এর ১০ এপ্রিল। সেন্ট টেরেসা বয়েজ হাই স্কুলের পরে তাঁর পড়াশোনা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। কলেজের পরে হোটেল ম্যানে‌জমেন্ট পাশ করেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন চাকরি করার পরে ছেড়ে দেন।

০৩ ১৮
স্কুলজীবনে বন্ধুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন টেরেন্স। কিন্তু পারিবারিক অবস্থাকে তিনি সযত্নে লুকিয়ে রাখতেন। চাইতেন না আর্থিক দৈন্যের জন্য বন্ধুদের কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠতে।

স্কুলজীবনে বন্ধুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন টেরেন্স। কিন্তু পারিবারিক অবস্থাকে তিনি সযত্নে লুকিয়ে রাখতেন। চাইতেন না আর্থিক দৈন্যের জন্য বন্ধুদের কাছে হাসির পাত্র হয়ে উঠতে।

০৪ ১৮
আর্থিক ভাবে অনগ্রসর ছাত্রদের জন্য তাঁদের স্কুলে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা থাকত। টেরেন্স সেটা খেতেন, কিন্তু লুকিয়ে। বন্ধুদের জানতে দিতেন না। ছোট থেকেই চাইতেন পরিবারের দুর্দশা দূর করতে। একদিন সেই ইচ্ছে জাঁকিয়ে বসল মনে যখন চোখের সামনে দেখলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা হতে।

আর্থিক ভাবে অনগ্রসর ছাত্রদের জন্য তাঁদের স্কুলে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা থাকত। টেরেন্স সেটা খেতেন, কিন্তু লুকিয়ে। বন্ধুদের জানতে দিতেন না। ছোট থেকেই চাইতেন পরিবারের দুর্দশা দূর করতে। একদিন সেই ইচ্ছে জাঁকিয়ে বসল মনে যখন চোখের সামনে দেখলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা হতে।

০৫ ১৮
অন্ধেরীর চাওলের অপরিসর ঘরে টেরেন্সরা আট ভাইবোন থাকতেন বাবা মায়ের সঙ্গে।  টেরেন্সের দাদার বিয়ের পরে তাঁদের বাড়িতে একটি নতুন ঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে পুরসভা থেকে এসে সেই নির্মাণ ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল। পড়শিদের সামনে বাড়ির লোকের এই হেনস্থা হওয়া পরেও টেরেন্সকে দুঃস্বপ্নে তাড়া করত।

অন্ধেরীর চাওলের অপরিসর ঘরে টেরেন্সরা আট ভাইবোন থাকতেন বাবা মায়ের সঙ্গে। টেরেন্সের দাদার বিয়ের পরে তাঁদের বাড়িতে একটি নতুন ঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে পুরসভা থেকে এসে সেই নির্মাণ ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল। পড়শিদের সামনে বাড়ির লোকের এই হেনস্থা হওয়া পরেও টেরেন্সকে দুঃস্বপ্নে তাড়া করত।

০৬ ১৮
সেদিনই তিনি ঠিক করেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছবেন, যেখানে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হবে না। এগিয়ে চলার পথ বন্ধুর জেনেও পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। চলার পথে হাতিয়ার করেছিলেন নাচকে। তবে পড়াশোনাতেও মেধাবী ছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুলের দিনগুলিতে নাচের প্রতিযোগিতায় একের পর এক পুরস্কার তাঁর আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় নাচের দিকেই।

সেদিনই তিনি ঠিক করেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছবেন, যেখানে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হবে না। এগিয়ে চলার পথ বন্ধুর জেনেও পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। চলার পথে হাতিয়ার করেছিলেন নাচকে। তবে পড়াশোনাতেও মেধাবী ছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুলের দিনগুলিতে নাচের প্রতিযোগিতায় একের পর এক পুরস্কার তাঁর আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় নাচের দিকেই।

০৭ ১৮
স্কুলজীবনে একটি প্রতিযোগিতার বিচারক হয়ে এসেছিলেন কোরিয়োগ্রাফার পরমেশ শেঠী। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ইচ্ছে হয় টেরেন্সের। কিন্তু কোর্সের ফিজ দেওয়ার সাধ্য তাঁর পরিবারের ছিল না। টেরেন্সকে নাচ শেখাতে রাজি হন পরমেশ। কিন্তু বিনিময়ে তাঁকে বাড়তি কাজ করে দিতে হবে বলে জানান পরমেশ।

স্কুলজীবনে একটি প্রতিযোগিতার বিচারক হয়ে এসেছিলেন কোরিয়োগ্রাফার পরমেশ শেঠী। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ইচ্ছে হয় টেরেন্সের। কিন্তু কোর্সের ফিজ দেওয়ার সাধ্য তাঁর পরিবারের ছিল না। টেরেন্সকে নাচ শেখাতে রাজি হন পরমেশ। কিন্তু বিনিময়ে তাঁকে বাড়তি কাজ করে দিতে হবে বলে জানান পরমেশ।

০৮ ১৮
এক কথায় রাজি হয়ে যান টেরেন্স। বাকিরা যেখানে এক ঘণ্টা ক্লাস করতেন, টেরেন্স থাকতেন তিন ঘণ্টা। ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তাঁকে ক্লাসঘর পরিষ্কার করতে হত। পাশাপাশি, দেখতে হত নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিষয়টিও। তার বিনিময়েই তিনি নাচ শেখার সুযোগ পেতেন।

এক কথায় রাজি হয়ে যান টেরেন্স। বাকিরা যেখানে এক ঘণ্টা ক্লাস করতেন, টেরেন্স থাকতেন তিন ঘণ্টা। ক্লাস শুরুর আগে ও পরে তাঁকে ক্লাসঘর পরিষ্কার করতে হত। পাশাপাশি, দেখতে হত নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিষয়টিও। তার বিনিময়েই তিনি নাচ শেখার সুযোগ পেতেন।

০৯ ১৮
ধীরে ধীরে নাচের শো-এ অংশ নিয়ে নিজের হাতখরচ জমাতে থাকলেন টেরেন্স। তাঁর বাবা বলেছিলেন, স্কুল অবধি পড়ার খরচ দেবেন। এরপর কলেজ ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট অবধি পড়ার খরচ নিজেই ব্যবস্থা করে নেন টেরেন্স। কিন্তু চাকুরে জীবন তাঁর পছন্দ হল না। চাকরি ছেড়ে তিনি পুরো সময়টাই দিয়ে দিলেন নাচের জন্য।

ধীরে ধীরে নাচের শো-এ অংশ নিয়ে নিজের হাতখরচ জমাতে থাকলেন টেরেন্স। তাঁর বাবা বলেছিলেন, স্কুল অবধি পড়ার খরচ দেবেন। এরপর কলেজ ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট অবধি পড়ার খরচ নিজেই ব্যবস্থা করে নেন টেরেন্স। কিন্তু চাকুরে জীবন তাঁর পছন্দ হল না। চাকরি ছেড়ে তিনি পুরো সময়টাই দিয়ে দিলেন নাচের জন্য।

১০ ১৮
প্রথম দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং আগ্রহীদের বাড়িতে  গিয়ে নাচ শেখাতেন টেরেন্স। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন তিনি। কিছু দিন পর নিজেই স্কুল শুরু করলেন। কিন্তু এ বার তিনি ধাক্কা খেলেন। তাঁর স্কুলে ছাত্রছাত্রী একেবারেই হল না। ফলে পসার না জমায় বেশ কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তিনি স্কুল বন্ধ করে দিলেন।

প্রথম দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং আগ্রহীদের বাড়িতে গিয়ে নাচ শেখাতেন টেরেন্স। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন তিনি। কিছু দিন পর নিজেই স্কুল শুরু করলেন। কিন্তু এ বার তিনি ধাক্কা খেলেন। তাঁর স্কুলে ছাত্রছাত্রী একেবারেই হল না। ফলে পসার না জমায় বেশ কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তিনি স্কুল বন্ধ করে দিলেন।

১১ ১৮
বলিউডে কাজের যোগ্যতা সব দিক দিয়েই ছিল টেরেন্সর। তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত গুরু-শিষ্য পরম্পরা তাঁর ভাল লাগত না। বলিউডে সাধারণত একজন প্রধান কোরিয়োগ্রাফার থাকেন। তাঁর অধীনে থাকেন সহকারীরা। যখন প্রধান কোরিয়োগ্রাফার কাজ করছেন না, তখনই তাঁর অধীনস্থরা সুযোগ পান। এই ব্যবস্থা পছন্দ ছিল না টেরেন্সের।

বলিউডে কাজের যোগ্যতা সব দিক দিয়েই ছিল টেরেন্সর। তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত গুরু-শিষ্য পরম্পরা তাঁর ভাল লাগত না। বলিউডে সাধারণত একজন প্রধান কোরিয়োগ্রাফার থাকেন। তাঁর অধীনে থাকেন সহকারীরা। যখন প্রধান কোরিয়োগ্রাফার কাজ করছেন না, তখনই তাঁর অধীনস্থরা সুযোগ পান। এই ব্যবস্থা পছন্দ ছিল না টেরেন্সের।

১২ ১৮
সরাসরি ফিল্মে কাজ না করে টেরেন্স পরোক্ষভাবে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হলেন। সে সময় অ্যারোবিক্সের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আমেরিকায় গিয়ে টেরেন্স জ্যাজ, সালশা ও অ্যারোবিক্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেন। ফিটনেসের জন্য এ বার তাঁর দ্বারস্থ হলেন বলিউডের নায়িকারা।

সরাসরি ফিল্মে কাজ না করে টেরেন্স পরোক্ষভাবে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত হলেন। সে সময় অ্যারোবিক্সের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। আমেরিকায় গিয়ে টেরেন্স জ্যাজ, সালশা ও অ্যারোবিক্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে এলেন। ফিটনেসের জন্য এ বার তাঁর দ্বারস্থ হলেন বলিউডের নায়িকারা।

১৩ ১৮
মাধুরী দীক্ষিত, সুস্মিতা সেন, বিপাশা বসুকে অ্যারোবিক্স শেখাতেন টেরেন্স। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী এবং আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী রীনাও। সে সময় ‘লগান’-এর শুটিং চলছিল। ‘ও রে ছোড়ি’ গানের মধ্যে আমির খান এবং র‌্যাচেল শেলির একটি বলডান্সের সিকোয়েন্স ছিল। তার জন্য কোরিয়োগ্রাফার খুঁজছিলেন আমির। তাঁর কাছে টেরেন্সকে নিয়ে যান রীনা।

মাধুরী দীক্ষিত, সুস্মিতা সেন, বিপাশা বসুকে অ্যারোবিক্স শেখাতেন টেরেন্স। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী এবং আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী রীনাও। সে সময় ‘লগান’-এর শুটিং চলছিল। ‘ও রে ছোড়ি’ গানের মধ্যে আমির খান এবং র‌্যাচেল শেলির একটি বলডান্সের সিকোয়েন্স ছিল। তার জন্য কোরিয়োগ্রাফার খুঁজছিলেন আমির। তাঁর কাছে টেরেন্সকে নিয়ে যান রীনা।

১৪ ১৮
ছবির প্রযোজক আমির ও পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের কাছে সময় চেয়ে নেন টেরেন্স। নিজে আগে বল ডান্স ভাল করে শেখেন। তারপর ওই সিকোয়েন্সের কোরিয়োগ্রাফ করেন। ‘লগান’-এর পরে ‘ঝঙ্কার বিটস’, ‘নাচ’ ছবিতে কাজ করেন টেরেন্স লুইস।

ছবির প্রযোজক আমির ও পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের কাছে সময় চেয়ে নেন টেরেন্স। নিজে আগে বল ডান্স ভাল করে শেখেন। তারপর ওই সিকোয়েন্সের কোরিয়োগ্রাফ করেন। ‘লগান’-এর পরে ‘ঝঙ্কার বিটস’, ‘নাচ’ ছবিতে কাজ করেন টেরেন্স লুইস।

১৫ ১৮
কিন্তু আমির খানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার পরেও বলিউডের দরজা প্রশস্ত হয়নি টেরেন্সের জন্য। ‘গোলিয়োঁ কি রাসলীলা রামলীলা’ এবং ‘গোল্ড’ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফ করেন টেরেন্স। কিন্তু নিজের প্রতিভার সমতুল্য জায়গা তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পাননি।

কিন্তু আমির খানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার পরেও বলিউডের দরজা প্রশস্ত হয়নি টেরেন্সের জন্য। ‘গোলিয়োঁ কি রাসলীলা রামলীলা’ এবং ‘গোল্ড’ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফ করেন টেরেন্স। কিন্তু নিজের প্রতিভার সমতুল্য জায়গা তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পাননি।

১৬ ১৮
এর কারণ হিসেবে টেরেন্স দায়ী করেন পরিচিত ‘গুরশিষ্য’ প্রথাকেই। পরোক্ষভাবে স্বজনপোষণেরই নামান্তর এই রীতি। টেরেন্সের মত, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও ‘গুরু কোরিয়াগ্রোফার’ নেই। তাই তাঁর কাছে কাজ আসে না। তার জন্য অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই টেরেন্সের। কারণ ছবিতে সুযোগ না পেলেও টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো-এ বিচারক হিসেবে টেরেন্সের জায়গা বাঁধা। ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’, ‘নাচ বালিয়ে’,‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’, ‘ডান্স প্লাস’, ‘ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সার’-এর মতো শো-এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বিচারকের আসনে টেরেন্সের উপস্থিতি।

এর কারণ হিসেবে টেরেন্স দায়ী করেন পরিচিত ‘গুরশিষ্য’ প্রথাকেই। পরোক্ষভাবে স্বজনপোষণেরই নামান্তর এই রীতি। টেরেন্সের মত, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও ‘গুরু কোরিয়াগ্রোফার’ নেই। তাই তাঁর কাছে কাজ আসে না। তার জন্য অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই টেরেন্সের। কারণ ছবিতে সুযোগ না পেলেও টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো-এ বিচারক হিসেবে টেরেন্সের জায়গা বাঁধা। ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’, ‘নাচ বালিয়ে’,‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’, ‘ডান্স প্লাস’, ‘ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সার’-এর মতো শো-এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বিচারকের আসনে টেরেন্সের উপস্থিতি।

১৭ ১৮
সাক্ষাৎকারে টেরেন্স জানিয়েছেন, তিনি টেলিভিশনে কাজ করে খুশি। নতুন প্রজন্মকে নিজের হাতে সেই মঞ্চে তৈরি করে নিতে পারেন তিনি। ভাল সুযোগ পেলে ছবিতেও কাজ করবেন। কিন্তু তার জন্য নিজে কারও কাছে কাজ চাইতে পারবেন না। তাঁর কথায়, যখন হিন্দি ছবির নায়িকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষক ছিলেন, তখনও মুখ ফুটে কাজ চাননি। এখনও চাইতে পারবেন না।

সাক্ষাৎকারে টেরেন্স জানিয়েছেন, তিনি টেলিভিশনে কাজ করে খুশি। নতুন প্রজন্মকে নিজের হাতে সেই মঞ্চে তৈরি করে নিতে পারেন তিনি। ভাল সুযোগ পেলে ছবিতেও কাজ করবেন। কিন্তু তার জন্য নিজে কারও কাছে কাজ চাইতে পারবেন না। তাঁর কথায়, যখন হিন্দি ছবির নায়িকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষক ছিলেন, তখনও মুখ ফুটে কাজ চাননি। এখনও চাইতে পারবেন না।

১৮ ১৮
ছক ভাঙা কোরিয়োগ্রাফার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত টেরেন্স লুইস। বলা হয়, শামক ডাবর, গণেশ হেগড়ের মতো তিনিও স্বকীয়তায় বিশ্বাসী। অন্য ঘরানার কোরিয়োগ্রাফার হয়েই থাকতে চান টেরেন্স লুইস। নিজের অতীতকে তিনি ভুলে যাননি। বিশ্বাস করেন, অতীতের ক্ষত তীব্র ছিল বলেই আজকের জায়গায় পৌঁছতে পেরেছন তিনি।

ছক ভাঙা কোরিয়োগ্রাফার হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত টেরেন্স লুইস। বলা হয়, শামক ডাবর, গণেশ হেগড়ের মতো তিনিও স্বকীয়তায় বিশ্বাসী। অন্য ঘরানার কোরিয়োগ্রাফার হয়েই থাকতে চান টেরেন্স লুইস। নিজের অতীতকে তিনি ভুলে যাননি। বিশ্বাস করেন, অতীতের ক্ষত তীব্র ছিল বলেই আজকের জায়গায় পৌঁছতে পেরেছন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE