Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Hindi Movies

স্পটলাইট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন, মৃত্যুর তিন দিন পরে উদ্ধার হয়েছিল অশীতিপর নায়িকার দেহ

অভিনয় জগতকে বিদায় জানানোর আগে নলিনীকে শেষ বার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ‘বম্বে রেসকোর্স’ ছবিতে। এর আঠেরো বছর পরে তাঁকে আবার দেখা গিয়েছিল ‘নাস্তিক’ ছবিতে। সেটাই তাঁর সিনেমার শেষ কাজ।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ১২:৫৭
Share: Save:
০১ ১১
বাংলোর ঘরে তিন দিন ধরে পড়ে ছিলেন মৃত অবস্থায়। টের পাননি প্রতিবেশীরাও। তাঁর পোষা কুকুরদের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ৮৪ বছর বয়সি বৃদ্ধার দেহ। এতটাই করুণ ছিল অতীতের নায়িকা নলিনী জয়বন্তের মৃত্যু।

বাংলোর ঘরে তিন দিন ধরে পড়ে ছিলেন মৃত অবস্থায়। টের পাননি প্রতিবেশীরাও। তাঁর পোষা কুকুরদের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দরজার তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ৮৪ বছর বয়সি বৃদ্ধার দেহ। এতটাই করুণ ছিল অতীতের নায়িকা নলিনী জয়বন্তের মৃত্যু।

০২ ১১
অথচ চার ও পাঁচের দশকে তিনি ছিলেন দাপুটে অভিনেত্রী। তাঁর কেরিয়ার বেশি বড় নয়। কিন্তু যা কাজ করেছেন, তা ছিল নজরকাড়া। নলিনীর জন্ম ১৯২৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, আজকের মুম্বই, সে দিনের বম্বেতে। নূতন ও তনুজার মা শোভনা সমর্থের আত্মীয়া ছিলেন তিনি।

অথচ চার ও পাঁচের দশকে তিনি ছিলেন দাপুটে অভিনেত্রী। তাঁর কেরিয়ার বেশি বড় নয়। কিন্তু যা কাজ করেছেন, তা ছিল নজরকাড়া। নলিনীর জন্ম ১৯২৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, আজকের মুম্বই, সে দিনের বম্বেতে। নূতন ও তনুজার মা শোভনা সমর্থের আত্মীয়া ছিলেন তিনি।

০৩ ১১
পর্দায় আত্মপ্রকাশ মাত্র পনেরো বছর বয়সে। ১৯৪১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ‘বহেন’। ১৯৫০ সালে অশোক কুমারের সঙ্গে তাঁর দু’টি ছবি ‘সমাধি’ ও ‘সংগ্রাম’ বক্স অফিসে বেশ সফল হয়।

পর্দায় আত্মপ্রকাশ মাত্র পনেরো বছর বয়সে। ১৯৪১ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ‘বহেন’। ১৯৫০ সালে অশোক কুমারের সঙ্গে তাঁর দু’টি ছবি ‘সমাধি’ ও ‘সংগ্রাম’ বক্স অফিসে বেশ সফল হয়।

০৪ ১১
নলিনী-অশোক কুমার জুটিতে বাকি সফল ছবিগুলো হল ‘জলপরি’, ‘কাফিলা’, ‘সালোনি’ এবং ‘নাজ’। পাশাপাশি, পাঁচের দশকের মাঝামাঝি আরও বেশ কিছু ছবিতে নিজেকে বলিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। ‘রাহী’, ‘মুনিমজি’, ‘হম সব চোর হ্যায়’ এবং ‘কালাপানি’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কালাপানি’ ছবির জন্য তিনি সেরা সহঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

নলিনী-অশোক কুমার জুটিতে বাকি সফল ছবিগুলো হল ‘জলপরি’, ‘কাফিলা’, ‘সালোনি’ এবং ‘নাজ’। পাশাপাশি, পাঁচের দশকের মাঝামাঝি আরও বেশ কিছু ছবিতে নিজেকে বলিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। ‘রাহী’, ‘মুনিমজি’, ‘হম সব চোর হ্যায়’ এবং ‘কালাপানি’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কালাপানি’ ছবির জন্য তিনি সেরা সহঅভিনেত্রীর পুরস্কার পান।

০৫ ১১
অভিনয় জগতকে বিদায় জানানোর আগে নলিনীকে শেষ বার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ‘বম্বে রেসকোর্স’ ছবিতে। এর আঠেরো বছর পরে তাঁকে আবার দেখা গিয়েছিল ‘নাস্তিক’ ছবিতে। সেটাই তাঁর সিনেমার শেষ কাজ।

অভিনয় জগতকে বিদায় জানানোর আগে নলিনীকে শেষ বার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ‘বম্বে রেসকোর্স’ ছবিতে। এর আঠেরো বছর পরে তাঁকে আবার দেখা গিয়েছিল ‘নাস্তিক’ ছবিতে। সেটাই তাঁর সিনেমার শেষ কাজ।

০৬ ১১
মাত্র সতেরো বছর বয়সে নলিনীর প্রথম বিয়ে পরিচালক বীরেন্দ্র দেশাই-এর সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি । বিবাহবিচ্ছেদের পরে নলিনী বিয়ে করেছিলেন সহঅভিনেতা প্রভু দয়ালকে। দু’জনে জুটি বেঁধে অভিনয়ও করেছেন বেশ কিছু ছবিতে।

মাত্র সতেরো বছর বয়সে নলিনীর প্রথম বিয়ে পরিচালক বীরেন্দ্র দেশাই-এর সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি । বিবাহবিচ্ছেদের পরে নলিনী বিয়ে করেছিলেন সহঅভিনেতা প্রভু দয়ালকে। দু’জনে জুটি বেঁধে অভিনয়ও করেছেন বেশ কিছু ছবিতে।

০৭ ১১
১৯৮৩ সালে নলিনীর শেষ ছবি ‘নাস্তিক’ মুক্তি পেয়েছিল। সে বছরেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। এর পর থেকেই নিজেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, নলিনী সম্পর্ক রাখতেন না পরিজনদের সঙ্গেও। নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছিলেন। পড়শিদের সঙ্গেও ছিল না মেলামেশা।

১৯৮৩ সালে নলিনীর শেষ ছবি ‘নাস্তিক’ মুক্তি পেয়েছিল। সে বছরেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। এর পর থেকেই নিজেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই, নলিনী সম্পর্ক রাখতেন না পরিজনদের সঙ্গেও। নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছিলেন। পড়শিদের সঙ্গেও ছিল না মেলামেশা।

০৮ ১১
এরপর থেকে দীর্ঘ সাতাশ বছর মুম্বইয়ের চেম্বুরে নিজের পুরনো বাংলোয় নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন নলিনী। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। চিকিৎসকদের অনুমান, অন্তত তিন দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র হাতে তাঁর দেহ তুলে দিয়েছিল পুলিশ।

এরপর থেকে দীর্ঘ সাতাশ বছর মুম্বইয়ের চেম্বুরে নিজের পুরনো বাংলোয় নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন নলিনী। ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। চিকিৎসকদের অনুমান, অন্তত তিন দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র হাতে তাঁর দেহ তুলে দিয়েছিল পুলিশ।

০৯ ১১
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নলিনী। অভিনয়জীবনে  সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন। সাহসী পোশাকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আবার সেইসঙ্গেই অন্তর্মুখী ভাবমূর্তিও ধরে রেখেছিলেন তিনি। বেশি গসিপ শোনা না যায়নি তাঁকে নিয়ে। শুধু একবারই সে ধারার ব্যতিক্রম হয়েছিল।

লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নলিনী। অভিনয়জীবনে সময়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন। সাহসী পোশাকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আবার সেইসঙ্গেই অন্তর্মুখী ভাবমূর্তিও ধরে রেখেছিলেন তিনি। বেশি গসিপ শোনা না যায়নি তাঁকে নিয়ে। শুধু একবারই সে ধারার ব্যতিক্রম হয়েছিল।

১০ ১১
অশোক কুমারের সঙ্গে নলিনীকে জড়িয়ে কিছু রটনা গুঞ্জরিত হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে নলিনী কোনও দিন মুখ খোলেননি। দাদামণিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সব রটনাকে গুজব বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

অশোক কুমারের সঙ্গে নলিনীকে জড়িয়ে কিছু রটনা গুঞ্জরিত হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে নলিনী কোনও দিন মুখ খোলেননি। দাদামণিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সব রটনাকে গুজব বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

১১ ১১
কেরিয়ার সংক্ষিপ্ত হলেও দেব আনন্দ, অশোক কুমার, দিলীপ কুমারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন নলিনী জয়বন্ত। তাঁর রেখে যাওয়া ব্যাটন পরবর্তী সময়ে তুলে নিয়েছিলেন নূতন, মীনাকুমারী, মধুবালা, ওয়াহিদা রহমান, বৈজয়ন্তী মালার মতো অভিনেত্রীরা।

কেরিয়ার সংক্ষিপ্ত হলেও দেব আনন্দ, অশোক কুমার, দিলীপ কুমারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন নলিনী জয়বন্ত। তাঁর রেখে যাওয়া ব্যাটন পরবর্তী সময়ে তুলে নিয়েছিলেন নূতন, মীনাকুমারী, মধুবালা, ওয়াহিদা রহমান, বৈজয়ন্তী মালার মতো অভিনেত্রীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE