According to scientists these 11 Places may disappear Due To Global Warming dgtl
কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে এই জনপ্রিয় এলাকাগুলি
ভেনিস থেকে আলাস্কা, আল্পস থেকে মলদ্বীপ... তালিকায় রয়েছে এমন ১১টি এলাকা। দেখে নেওয়া যাক, গ্যালারি থেকে—
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
আলাস্কা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: আর হয়তো দেখা যাবে না অরোরা বোরেলিস। অন্তত বিজ্ঞানীদের একাংশ তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আলাস্কা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে হয়তো পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যাবে আলাস্কা।
০২১১
আল্পস পর্বতমালা-ইউরোপ: আল্পসের স্বর্গীয় সৌন্দর্য আর খুব বেশি দিন পৃথিবীর মানুষ দেখতে পাবেন কী না সন্দেহ। প্রকৃতিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে বরফ গলছে আল্পসের। ২০৫০ সালের মধ্যে সম্ভবত অবলুপ্ত হয়ে যাবে এই পর্বতমালার একাংশ।
০৩১১
ভেনিস-ইতালি: ভাবতেই খারাপ লাগে, ৮০ বছর পর পৃথিবীর অন্যতম সেরা রোমান্সের এই শহরের আর কোনও অস্বিত্বই থাকবেই না। ভয়ঙ্কর বন্যায় সমুদ্রের নীচে মুখ লুকাতে পারে এই শহর। তেমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
০৪১১
দ্য ডেড সি-ইজরায়েল ও জর্ডনের সীমান্ত: সাঁতার না জানলেও দিব্যি ভেসে থাকা যায় এই সমুদ্রে। ডেড সি-র জনপ্রিয়তা এখানেই। ৩৫ বছরের মধ্যেই সম্ভবত ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে এই সমুদ্র।
০৫১১
মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো-তানজানিয়া: বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৯১২ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বরফ গলেছে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর। আগামী ২০ বছর পর কিলিমাঞ্জারোর বেশির ভাগের চিহ্ন নাও থাকতে পারে এই পৃথিবীতে।
০৬১১
সেসেলস: ৪৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৫৫টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত সেসেলস। নবদম্পতিদের কাছে হট ফেভারিট হনিমুন ডেস্টিনেশন এই সেসেলস। কিন্তু মারাত্মক ভূমিক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দ্বীপপুঞ্জ। ফলে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে হয়তো হারিয়ে যাবে সেসেলস।
০৭১১
মলদ্বীপ-ভারত মহাসাগর: অন্যতম পছন্দের হনিমুন ডেস্টিনেশনগুলির মধ্যে অন্যতম এই মলদ্বীপ। আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের করাল গ্রাসে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারে মলদ্বীপও।
০৮১১
চিনের প্রাচীর-চিন: বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের তালিকার মধ্যে রয়েছে ২০০০ বছরের পুরনো চিনের প্রাচীর। কিন্তু ভয়ঙ্কর ভূমিক্ষয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই প্রাচীন ঐতিহ্য। এরই মধ্যে এই দেওয়ালের তিন ভাগের দু’ভাগ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ২০ বছরের মধ্যে হয়তো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই প্রাচীর।
০৯১১
দ্য গ্রেট বেরিয়ার রিফ-অস্ট্রেলিয়া: ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম কোরাল রিফ এটি। বিরল প্রজাতির অসংখ্য প্রাণীর বাস এখানে। কিন্তু বিশ্ব-উষ্ণায়নের ছোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই এলাকা। প্রকৃতিবিদদের মতে, ১০০ বছর পর আর হয়তো দেখাই যাবে না প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টিটি।
১০১১
গ্লেসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক, মন্টানা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্ব-উষ্ণায়নের করাল গ্রাসে এই গ্লেসিয়ার্স পার্কে এখন গ্লেসিয়ার্সের অস্বিত্ব আর নেই বললেই চলে। এই পার্কে ১৫০টি গ্লেসিয়ার্স ছিল এক সময়। এখন এর সংখ্যা মাত্র ২৫টি। ১৫ বছর পর সম্ভবত আর একটিও গ্লেসিয়ার দেখা যাবে না এই পার্কে।
১১১১
অরাল সি-কাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সীমান্ত: এক সময় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম লেক ছিল এটি। ১৯৬০ থেকে গোটা জলাশয়টিই ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। ২০০৭ সালে দেখা যায়, আগের থেকে অন্তত ১০ শতাংশ শুকিয়ে গিয়েছে অরাল সি। খুব শীঘ্রই হয়তো এর অস্বস্তিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে।