Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
humans dug

মাটি খুঁড়ে কতটা নীচে নামতে পেরেছে মানুষ...

মাটির কত নীচে প্রবেশ করেছে মানুষ?

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:২২
Share: Save:
০১ ১৪
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মাটিতে গর্ত খুঁড়েছে, জল তুলেছে, এমনকি ভূগর্ভস্থ শহরও নির্মাণ করেছে। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের ঠিক কতটা নীচে নামতে পেরেছে মানুষ? জানলে চমকে যাবেন।

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মাটিতে গর্ত খুঁড়েছে, জল তুলেছে, এমনকি ভূগর্ভস্থ শহরও নির্মাণ করেছে। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের ঠিক কতটা নীচে নামতে পেরেছে মানুষ? জানলে চমকে যাবেন।

০২ ১৪
একটা কফিনের গর্ত মোটামুটি ৬ ফুট গভীর হয়।

একটা কফিনের গর্ত মোটামুটি ৬ ফুট গভীর হয়।

০৩ ১৪
অলিম্পিকের সাঁতারের পুলের গভীরতা প্রায় ১০ ফুট।

অলিম্পিকের সাঁতারের পুলের গভীরতা প্রায় ১০ ফুট।

০৪ ১৪
নাইল ক্রোকোডাইল নামে বিশেষ প্রজাতির কুমির প্রায় ৩৯ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়তে পারে।

নাইল ক্রোকোডাইল নামে বিশেষ প্রজাতির কুমির প্রায় ৩৯ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়তে পারে।

০৫ ১৪
প্যারিসের ক্যাটাকম্ব সংগ্রহশালাটি মূল শহরের মাটির তলায় একটি সুড়ঙ্গের আকারে গড়ে তোলা। প্রায় ষাট লক্ষ মানব কঙ্কাল দিয়ে এটি গড়ে তোলা হয়েছে মাটির ৬৫ ফুট গভীরে।

প্যারিসের ক্যাটাকম্ব সংগ্রহশালাটি মূল শহরের মাটির তলায় একটি সুড়ঙ্গের আকারে গড়ে তোলা। প্রায় ষাট লক্ষ মানব কঙ্কাল দিয়ে এটি গড়ে তোলা হয়েছে মাটির ৬৫ ফুট গভীরে।

০৬ ১৪
তুরস্কের প্রাচীন শহর দেরিনকুইউ মাটি থেকে ২৭৯ ফুট গভীরে অবস্থিত।

তুরস্কের প্রাচীন শহর দেরিনকুইউ মাটি থেকে ২৭৯ ফুট গভীরে অবস্থিত।

০৭ ১৪
পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রিনব্রায়ার ব্যাঙ্কার মাটি থেকে প্রায় ৭২০ ফুট গভীরে অবস্থিত। আপৎকালীন সময়ে কংগ্রেসকে সুরক্ষিত রাখতেই এটি তৈরি।

পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রিনব্রায়ার ব্যাঙ্কার মাটি থেকে প্রায় ৭২০ ফুট গভীরে অবস্থিত। আপৎকালীন সময়ে কংগ্রেসকে সুরক্ষিত রাখতেই এটি তৈরি।

০৮ ১৪
উডিংডিন ওয়েল প্রায় ১,২৮৫ ফুট গভীরে অবস্থিত। এটি হ্যান্ড-মেড ওয়েল। ইংল্যান্ডের ব্রাইটনে ১৮৫৮-১৮৬২ সালের মধ্যে কোনও রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই এটি খনন করা হয়েছিল। একটা গোটা আইফেল টাওয়ার প্রবেশ করতে পারবে এর মধ্যে।

উডিংডিন ওয়েল প্রায় ১,২৮৫ ফুট গভীরে অবস্থিত। এটি হ্যান্ড-মেড ওয়েল। ইংল্যান্ডের ব্রাইটনে ১৮৫৮-১৮৬২ সালের মধ্যে কোনও রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই এটি খনন করা হয়েছিল। একটা গোটা আইফেল টাওয়ার প্রবেশ করতে পারবে এর মধ্যে।

০৯ ১৪
চিলের সান খোসের স্বর্ণখনি। আস্ত বুর্জ খলিফা ধরে যাবে এই খনির মধ্যে। প্রায় ২,৭২২ ফুট গভীর এই খনি। ২০১০ সালে এই সোনার খনির দুর্ঘটনায় ৩৩ জন কর্মী ৬৯ দিন পর্যন্ত আটকা পড়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাঁদের সফল ভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এটি মানুষের খনন করা গভীরতম খনি নয়।

চিলের সান খোসের স্বর্ণখনি। আস্ত বুর্জ খলিফা ধরে যাবে এই খনির মধ্যে। প্রায় ২,৭২২ ফুট গভীর এই খনি। ২০১০ সালে এই সোনার খনির দুর্ঘটনায় ৩৩ জন কর্মী ৬৯ দিন পর্যন্ত আটকা পড়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাঁদের সফল ভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে এটি মানুষের খনন করা গভীরতম খনি নয়।

১০ ১৪
বিশ্বের গভীরতম প্রাকৃতিক গুহা জর্জিয়ার ভেরিওভকিনা গুহা, জর্জিয়ার ক্রুবেরা গুহা দ্বিতীয় গভীরতম গুহা। ভেরিওভকিনা গুহা প্রায় ৭,২৩০ ফুট আর ক্রুবেরা ৭,২০৮ ফুট গভীরে অবস্থিত। আধুনিক কোনও যন্ত্রপাতি ছাড়াই ভেরিওভকিনায় নামা সম্ভব বলে দাবি করেছেন একাধিক অভিযাত্রী।

বিশ্বের গভীরতম প্রাকৃতিক গুহা জর্জিয়ার ভেরিওভকিনা গুহা, জর্জিয়ার ক্রুবেরা গুহা দ্বিতীয় গভীরতম গুহা। ভেরিওভকিনা গুহা প্রায় ৭,২৩০ ফুট আর ক্রুবেরা ৭,২০৮ ফুট গভীরে অবস্থিত। আধুনিক কোনও যন্ত্রপাতি ছাড়াই ভেরিওভকিনায় নামা সম্ভব বলে দাবি করেছেন একাধিক অভিযাত্রী।

১১ ১৪
সুইজারল্যান্ডের গোথার্ড বেস টানেল সবচেয়ে গভীর রেলওয়ে সুড়ঙ্গ। মাটি থেকে প্রায় ৭,৫০০ ফুট গভীরে অবস্থিত এটি।

সুইজারল্যান্ডের গোথার্ড বেস টানেল সবচেয়ে গভীর রেলওয়ে সুড়ঙ্গ। মাটি থেকে প্রায় ৭,৫০০ ফুট গভীরে অবস্থিত এটি।

১২ ১৪
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে গভীরতার নিরিখ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পোনেং সোনার খনিটি সবচেয়ে গভীর খনি। মাটির প্রায় ৪ কিলোমিটার অর্থাত্ প্রায় ১৩ হাজার ফুট নীচে রয়েছে এটি।

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে গভীরতার নিরিখ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পোনেং সোনার খনিটি সবচেয়ে গভীর খনি। মাটির প্রায় ৪ কিলোমিটার অর্থাত্ প্রায় ১৩ হাজার ফুট নীচে রয়েছে এটি।

১৩ ১৪
সবচেয়ে গভীর তৈল খনি জেড-৪৪ চায়ভো ওয়েল। বর্তমানে এটির গভীরতা প্রায় ৪০,০০০ ফুট। পূর্ব রাশিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় এটি অবস্থিত।

সবচেয়ে গভীর তৈল খনি জেড-৪৪ চায়ভো ওয়েল। বর্তমানে এটির গভীরতা প্রায় ৪০,০০০ ফুট। পূর্ব রাশিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় এটি অবস্থিত।

১৪ ১৪
সোভিয়েত ইউনিয়নের কোলা সুপারডিপ বোরহোল প্রকল্প। ১৯৭০ সাল থেকে খনন করা হচ্ছে এটি। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভূ-পৃষ্ঠের উপরের ত্বক তথা ক্রাস্ট ভেদ করে দ্বিতীয় স্তর ম্যান্টল পর্যন্ত পৌঁছানো। বর্তমানে এটিই পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে মানুষের তৈরি সবচেয়ে গভীর গর্ত। ৪০,২৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত এখনও প্রবেশ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

সোভিয়েত ইউনিয়নের কোলা সুপারডিপ বোরহোল প্রকল্প। ১৯৭০ সাল থেকে খনন করা হচ্ছে এটি। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভূ-পৃষ্ঠের উপরের ত্বক তথা ক্রাস্ট ভেদ করে দ্বিতীয় স্তর ম্যান্টল পর্যন্ত পৌঁছানো। বর্তমানে এটিই পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে মানুষের তৈরি সবচেয়ে গভীর গর্ত। ৪০,২৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত এখনও প্রবেশ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE