এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
মানুষ যত বেশি যন্ত্র সভ্যতাকে আপন করে নিয়েছে, ততই বদলেছে কাজের ধরন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে একটা সময় আসতে চলেছে, যখন পৃথিবী থেকে বেশ কিছু চাকরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কিছু চাকরি।
০২১৩
পোস্টম্যান: ডাকহরকরা। অমলরা আর অপেক্ষা করে না চিঠির। চিঠি লেখার চল প্রায় উঠে গিয়েছে। সারা বিশ্ব এখন সংযুক্ত ডিজিটাল মাধ্যমে। জানাচ্ছে ফোর্বস পত্রিকা।
০৩১৩
ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত কাজ: ব্যাঙ্কে ক্যাশিয়ার বা বিলিং বিভাগের কাজও যন্ত্রই সামলে নেবে। এই কাজগুলি আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। লাইন দিয়ে দাঁড়ানোর দিন প্রায় ফুরিয়ে আসতে চলেছে।
০৪১৩
লাইব্রেরিয়ান: পাঠাগারে গিয়ে বই পড়ার অভ্যাস কম আসছে, বলছে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট। সেখানেই বলা হচ্ছে, বইয়ের তালিকা বেছে নেওয়ার দিকটিও ম্যানুয়ালি করে দেবে যন্ত্র।
০৫১৩
ম্যানুফ্যাকচারার: মানুষের জায়গা নিচ্ছে অটোমেশন। শ্রমিককে পারিশ্রমিক দিতে হয়। যন্ত্রকে দিতে হয় না। কারখানায় কাজের জন্য রোবটকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে যা আরও বাড়বে।
০৬১৩
বিমান চালক: অটোমেশনের দৌলতে বিমান চালক বা এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের কাজও যন্ত্র বা যন্ত্রমানবই সামলে নেবে, বলছে নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট।
০৭১৩
সার্ভেয়ার ও ম্যাপিং টেকনিশিয়ান: রোবটিক ও অন্যান্য যন্ত্র জায়গা নেবে এই পেশার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে, মানচিত্র তৈরির জন্য।
০৮১৩
গাড়ি চালক: লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানাচ্ছে, অটোমেটেড গাড়ি বাজারে এলে প্রায় ৫০ লক্ষ গাড়ি চালক শুধু আমেরিকায় চাকরি হারাতে পারেন। একই কথা প্রযোজ্য বাস ও ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রেও।
০৯১৩
রেফারি: একটি বেসরকারি আন্তর্জাতিক চ্যানেলের সমীক্ষা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে রেফারিং সিস্টেম পুরোটাই কম্পিউটার চালিত হয়ে যাবে।
ছাপাখানা বা সংবাদপত্র: সংবাদমাধ্যম ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। টুইটার বা ফেসবুক থেকে খবর পেতে মানুষ তুলনামূলক বেশি আগ্রহী। তাই মনে করা হচ্ছে, সংবাদপত্র ধীরে ধীরে অন্য আকার নেবে।
১২১৩
অনুবাদক: যন্ত্র ও সার্চ ইঞ্জিনের দৌলতে কাজ হারাতে পারেন বিশ্বের অসংখ্য অনুবাদক। মেশিন ট্রান্সলেশন ইন্ডাস্ট্রি সেই জায়গাটি নেবে।
১৩১৩
ঘড়ি সারাই মিস্ত্রি: ঘড়ির থেকে সময় দেখার বদলে সময় দেখতে পছন্দ করেন মোবাইলে, বলছে মার্কিন এক সংস্থার রিপোর্ট। রিপোর্টে প্রকাশ, যাঁরা ঘড়ি পরেন, ঘড়ি মেরামতের বদলে নতুন ঘড়ি কিনতেই তাঁরা বেশি পছন্দ করছেন। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।