Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International news

হিটলারের ‘নেকড়ের ডেরা’ থেকে উদ্ধার ঘড়ি, লাইটার, সানগ্লাস! লাইটার জ্বালানোর চেষ্টা করতেই...

তাঁর গুপ্তচররা নাকি প্রতিবেশী দেশ ও শত্রুপক্ষের সমস্ত গোপন খবর আনতে ছিল ওস্তাদ। অনেকেই তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী করে থাকেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:০০
Share: Save:
০১ ১৩
তাঁর দাপটে এক সময় সারা বিশ্ব কাঁপত। জার্মানিতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই জুটত কঠোর শাস্তি। তাঁর গুপ্তচররা নাকি প্রতিবেশী দেশ ও শত্রুপক্ষের সমস্ত গোপন খবর আনতে ছিল ওস্তাদ। অনেকেই তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী করে থাকেন।

তাঁর দাপটে এক সময় সারা বিশ্ব কাঁপত। জার্মানিতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই জুটত কঠোর শাস্তি। তাঁর গুপ্তচররা নাকি প্রতিবেশী দেশ ও শত্রুপক্ষের সমস্ত গোপন খবর আনতে ছিল ওস্তাদ। অনেকেই তাঁকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী করে থাকেন।

০২ ১৩
নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কার কথা হচ্ছে। অ্যাডল্ফ হিটলার। ১৯৪১ সালে ‘অপারেশন বারবোসা’ নামে সোভিয়েত ইউনিয়ন দখলের জন্য আক্রমণ চালান তিনি। সেই সময় তিনি একটি গোপন ঘাঁটি তৈরি করেন পোলান্ডে। লোকচক্ষুর আড়ালে শ্রোকো-র গভীর জঙ্গলে একটি হৃদের ধারে তৈরি করেন আস্তানা।

নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কার কথা হচ্ছে। অ্যাডল্ফ হিটলার। ১৯৪১ সালে ‘অপারেশন বারবোসা’ নামে সোভিয়েত ইউনিয়ন দখলের জন্য আক্রমণ চালান তিনি। সেই সময় তিনি একটি গোপন ঘাঁটি তৈরি করেন পোলান্ডে। লোকচক্ষুর আড়ালে শ্রোকো-র গভীর জঙ্গলে একটি হৃদের ধারে তৈরি করেন আস্তানা।

০৩ ১৩
এই ঘাঁটিটাই উলভ’স লেয়ার বা নেকড়ের ডেরা নামে পরিচিত। এই ঘাঁটিতে এখন সাধারণ মানুষ ঘুরতে যান প্রতি বছরই। দর্শকদের আগ্রহ দেখে এই বিশাল অঞ্চলকে একটি থিম পার্কে পরিণত করার পরিকল্পনাও করেছে পোলিশ সরকার। পার্কের থিম হবে ‘নাজি সময়কাল ও হিটলার’।

এই ঘাঁটিটাই উলভ’স লেয়ার বা নেকড়ের ডেরা নামে পরিচিত। এই ঘাঁটিতে এখন সাধারণ মানুষ ঘুরতে যান প্রতি বছরই। দর্শকদের আগ্রহ দেখে এই বিশাল অঞ্চলকে একটি থিম পার্কে পরিণত করার পরিকল্পনাও করেছে পোলিশ সরকার। পার্কের থিম হবে ‘নাজি সময়কাল ও হিটলার’।

০৪ ১৩
সম্প্রতি সেই ‘নেকড়ের ডেরা’ থেকে উদ্ধার হল হিটলারের ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী। পোল্যান্ডে অবস্থিত এই নাৎসি হেডকোয়ার্টার্সের একটি বড় অংশে ১৯৪৪ সালের পর থেকে কারও পা পড়েনি।

সম্প্রতি সেই ‘নেকড়ের ডেরা’ থেকে উদ্ধার হল হিটলারের ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী। পোল্যান্ডে অবস্থিত এই নাৎসি হেডকোয়ার্টার্সের একটি বড় অংশে ১৯৪৪ সালের পর থেকে কারও পা পড়েনি।

০৫ ১৩
সম্প্রতি এই সামগ্রীগুলি উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া হিটলারের সময়কালের একটি লাইটার আজও কাজ করছে।

সম্প্রতি এই সামগ্রীগুলি উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া হিটলারের সময়কালের একটি লাইটার আজও কাজ করছে।

০৬ ১৩
আর কী কী পাওয়া গিয়েছে হিটলারের এই ডেরা থেকে? উদ্ধার হাওয়া সামাগ্রীর মধ্যে রয়েছে একটি গ্যাস লাইটার, হাত ঘড়ি, কিছু বুরুশ, চিরুনি, সানগ্লাস, দাড়ি কাটার রেজার, ক্ষুর।

আর কী কী পাওয়া গিয়েছে হিটলারের এই ডেরা থেকে? উদ্ধার হাওয়া সামাগ্রীর মধ্যে রয়েছে একটি গ্যাস লাইটার, হাত ঘড়ি, কিছু বুরুশ, চিরুনি, সানগ্লাস, দাড়ি কাটার রেজার, ক্ষুর।

০৭ ১৩
এ ছাড়াও কিছু প্লেট, প্রসাধনী সামগ্রী-সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর বেশির ভাগই সেলুনে ব্যবহার্য সামগ্রী।

এ ছাড়াও কিছু প্লেট, প্রসাধনী সামগ্রী-সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর বেশির ভাগই সেলুনে ব্যবহার্য সামগ্রী।

০৮ ১৩
উদ্ধার হওয়া এই লাইটার-সহ বেশির ভাগ সামগ্রীর একটি বিষয় একই ছিল। সব কিছুতেই কোনও না কোনও নাৎসি চিহ্ন দেওয়া রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া এই লাইটার-সহ বেশির ভাগ সামগ্রীর একটি বিষয় একই ছিল। সব কিছুতেই কোনও না কোনও নাৎসি চিহ্ন দেওয়া রয়েছে।

০৯ ১৩
পোল্যান্ডের এই ডেরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেনন পিয়োট্রোয়িজ জানিয়েছেন, এই ধরনের যে কোনও আবিষ্কারই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সব সামগ্রী থেকে তখনকার দিনের জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি দিকগুলিও জানা যায়।

পোল্যান্ডের এই ডেরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জেনন পিয়োট্রোয়িজ জানিয়েছেন, এই ধরনের যে কোনও আবিষ্কারই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সব সামগ্রী থেকে তখনকার দিনের জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি দিকগুলিও জানা যায়।

১০ ১৩
বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ঘাঁটিতেই ৮৫০ দিন ছিলেন হিটলার। গোপন ঘাঁটিতে হামলার যাবতীয় পরিকল্পনা হত এখান থেকেই। ৬১৮ একরের জমির উপর অবস্থিত এই গোপন ঘাঁটিতে ছিল শ’দুয়েক বাড়ি, দু’টি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং একটি রেলওয়ে স্টেশন।

বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ঘাঁটিতেই ৮৫০ দিন ছিলেন হিটলার। গোপন ঘাঁটিতে হামলার যাবতীয় পরিকল্পনা হত এখান থেকেই। ৬১৮ একরের জমির উপর অবস্থিত এই গোপন ঘাঁটিতে ছিল শ’দুয়েক বাড়ি, দু’টি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং একটি রেলওয়ে স্টেশন।

১১ ১৩
ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখার জন্য ওই অঞ্চলের চারপাশে পোঁতা ছিল ল্যান্ডমাইন, যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর জন্যও প্রস্তুত থাকত বাহিনী।

ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখার জন্য ওই অঞ্চলের চারপাশে পোঁতা ছিল ল্যান্ডমাইন, যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর জন্যও প্রস্তুত থাকত বাহিনী।

১২ ১৩
এই সদর দফতরে বসেই হিটলার তাঁর শীর্ষ অনুচরদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ ও ইউরোপ থেকে ইহুদিদের নির্মূল করার।

এই সদর দফতরে বসেই হিটলার তাঁর শীর্ষ অনুচরদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ ও ইউরোপ থেকে ইহুদিদের নির্মূল করার।

১৩ ১৩
তাঁর সঙ্গে এখানে দেখা করতে আসতেন বেনিতো মুসোলিনির মতো ব্যক্তিত্বরাও। ১৯৪৪ সালে তাঁরই এক সহচর হিটলারকে হত্যার চেষ্টা করেন এই ঘাঁটিতেই।

তাঁর সঙ্গে এখানে দেখা করতে আসতেন বেনিতো মুসোলিনির মতো ব্যক্তিত্বরাও। ১৯৪৪ সালে তাঁরই এক সহচর হিটলারকে হত্যার চেষ্টা করেন এই ঘাঁটিতেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE