Northern Bald Ibis bird was taught to migrate by following aeroplane dgtl
wild life
৪০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া পাখিকে ফিরিয়ে আনছে ইউরোপ
৪০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া পাখিকে ফিরিয়ে আনছে ইউরোপ, তাও মাইগ্রেশন শিখিয়ে।
সংবাদ সংস্থা
লন্ডনশেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
৪০০ বছর আগে ইউরোপ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল এই পাখি। ১৭০০ শতক নাগাদ দেখা মিলত এদের। কিন্তু আবার এদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পরিযায়ী পাখি নাকি পথ ভুলে গিয়েছিল। পথ চিনে কী ভাবে ফিরে আসবে তারা?
০২১২
নর্দার্ন ব্যাল্ড আইবিস নামের এই পাখিটিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন এক দল বিজ্ঞানী। বহু বছর ধরে সেই চেষ্টাই চলছে। আসলে শিকার এবং মারাত্মক শীতল আবহাওয়ার কারণেই পাখিটি ইউরোপ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
০৩১২
এদের ওয়ালড্রাপও বলা হয়ে থাকে। অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ডে এক সময় যাদের দেখা মিলত। পরে তাদের স্থান ছিল শুধুমাত্র চিড়িয়াখানায়। এর পর একদিন আচমকাই দেখা গেল এক অন্যরকম দৃশ্য।
০৪১২
এই পাখিগুলি নিজের পথ চিনে নিতে পারছে না। ইউরোপ ছাড়াও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা ও পশ্চিম এশিয়ায় পাওয়া যেত তাদের। কিন্তু সেখান থেকে ইউরোপে যেতে পারছে না তারা। তখন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
০৫১২
আইবিসকে যত্ন নিয়ে আবারও ‘ওয়াইল্ড লাইফ’-এ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন করিন্না ইস্টেরার নামে এক পাখি বিশারদ। রয়েছেন অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও। নিজের মেগাফোন দিয়ে তিনি সংযোগও করেন পাখিগুলির সঙ্গে।
০৬১২
২০০২ সাল নাগাদ এই বিরল প্রজাতির পাখির ছোট্ট একটা প্রজনন ক্ষেত্র পাওয়া গিয়েছিল সিরিয়াতে। কিন্তু লেবাননের দ্য সোসাইট ফর দ্য প্রোটেকশন অফ নেচার ২০১৫ সাল নাগাদ জানায়, আইএস আক্রমণের কারণে এই এলাকাতেও আর পাখির খোঁজ মিলছে না।
০৭১২
ওই কাস্তেচরা বা আইবিস পাখিগুলির উপর নজর রাখার জন্য কর্মীরাও পালিয়ে গিয়েছে। পথ চিনে ইথিওপিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল পাখিগুলির।
০৮১২
এ বার আইবিস পাখিকে পথ চিনিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন বিজ্ঞানীরা। মাইক্রোলাইট বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের ওড়ার পথের সামনে দিয়ে। যাতে তারা পথ চিনে পাড়ি দিতে পারে ইতালি-সহ অন্য ইউরোপীয় শহরে। বলা ভাল পাখিগুলি ‘ফলো’ করছে বিমানকে।
০৯১২
জীববিজ্ঞানী জোহানেস ফ্রিৎজ পাখিগুলির পথ প্রদর্শকের দায়িত্ব নিয়েছেন। আসলে ‘ফ্লাই অ্যাওয়ে হোম’ ছবিই ছিল তাঁদের অনুপ্রেরণা। রয়েছে চিড়িয়াখানায় জন্মানো আইবিস পাখিকে আবারও ‘ওয়াইল্ড’-এ ফিরিয়ে আনার ভাবনা।
১০১২
১০ বছর ধরে এই কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। পথ চিনিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন প্রাচীন পাখিগুলিকে। ব্যবহার করা হচ্ছে জিপিএস ট্র্যাকারও। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী আবার এই ট্র্যাকার ইত্যাদি ব্যবহারের পক্ষপাতী নন।
১১১২
এক্কেবারে ‘ভি’ আকারে উড়ে যায় কাস্তেচরা অর্থাৎ আইবিস পাখির ঝাঁক। চেষ্টা করা হচ্ছে বিদ্যুতের তার, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদির হাত থেকে যাতে বিরল প্রজাতির পাখিগুলিকে বাঁচানো যায়। কিছু পাখি যদিও মাঝপথে ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু ৮৪টি পাখিকে মধ্য ইউরোপে ফিরিয়ে এনেছেন বিজ্ঞানীরা।
১২১২
আইবিস অর্থাৎ জেরোনটিকাস এরেমিতাকে আবারও আল্পস পর্বতের চূড়ায় দেখা যাবে, আশায় বিজ্ঞানীরা। ১৫৫৭ সালে সুইস প্রকৃতিবিদ কনরাড জেসনার যেমনটা লিখেছিলেন তাঁর বইয়ে।