Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Antarctica

লম্বায় ৪০ ফুট, ১৫ টন ওজন, বিশাল এই প্রাণীর জীবাশ্ম কি লক নেস মনস্টারের?

অতলান্তিক মহাসাগরের একটি নির্জন দ্বীপ সেইমোর। দ্বীপের গভীরে থাকা বরফের স্তূপ থেকে খোঁজ মিলেছিল আশ্চর্য এক প্রাণীর জীবাশ্মের। অনেক বছর ধরে এই জীবাশ্মকে নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। সম্প্রতি সেই জল্পনার ইতি টেনে রহস্যভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪১
Share: Save:
০১ ১৩
অতলান্তিক মহাসাগরের একটি নির্জন দ্বীপ সেইমোর। দ্বীপের গভীরে থাকা বরফের স্তূপ থেকে খোঁজ মিলেছিল আশ্চর্য এক প্রাণীর জীবাশ্মের। অনেক বছর ধরে এই জীবাশ্মকে নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। সম্প্রতি সেই জল্পনার ইতি টেনে রহস্যভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা।

অতলান্তিক মহাসাগরের একটি নির্জন দ্বীপ সেইমোর। দ্বীপের গভীরে থাকা বরফের স্তূপ থেকে খোঁজ মিলেছিল আশ্চর্য এক প্রাণীর জীবাশ্মের। অনেক বছর ধরে এই জীবাশ্মকে নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। সম্প্রতি সেই জল্পনার ইতি টেনে রহস্যভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা।

০২ ১৩
১৯৮৯ সালে প্রথম এই জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেন পারদু ইউনিভার্সিটির উইলিয়াম জিন্সেমিয়েস্টার। খারাপ পরিবেশ থাকার দরুন বহু বছর লেগে যায় এটি সম্পূর্ণ খুঁড়ে বার করতে। ২০১৭ সালে সম্পূর্ণ ভাবে এই জীবাশ্মটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

১৯৮৯ সালে প্রথম এই জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেন পারদু ইউনিভার্সিটির উইলিয়াম জিন্সেমিয়েস্টার। খারাপ পরিবেশ থাকার দরুন বহু বছর লেগে যায় এটি সম্পূর্ণ খুঁড়ে বার করতে। ২০১৭ সালে সম্পূর্ণ ভাবে এই জীবাশ্মটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

০৩ ১৩
জীবাশ্মের প্রাণীটি ছিল ৪০ ফুট লম্বা এবং ১৫ টন ওজনের এবং প্রায় ৭০ হাজার বছরের পুরনো। জীবাশ্ম সন্ধানীরা প্রথমে এই বিশাল সামুদ্রিক জীবকে লক নেস মনস্টার বলে ভেবেছিলেন। যে প্রাণীর অস্তিত্ব আজ পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।

জীবাশ্মের প্রাণীটি ছিল ৪০ ফুট লম্বা এবং ১৫ টন ওজনের এবং প্রায় ৭০ হাজার বছরের পুরনো। জীবাশ্ম সন্ধানীরা প্রথমে এই বিশাল সামুদ্রিক জীবকে লক নেস মনস্টার বলে ভেবেছিলেন। যে প্রাণীর অস্তিত্ব আজ পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।

০৪ ১৩
বিজ্ঞানীরা জানান, এটি একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ, যার চারটি ফ্লিপার ছিল। এরা এলসমোসোসরিড নামক সরীসৃপ পরিবারের সদস্য।

বিজ্ঞানীরা জানান, এটি একটি সামুদ্রিক সরীসৃপ, যার চারটি ফ্লিপার ছিল। এরা এলসমোসোসরিড নামক সরীসৃপ পরিবারের সদস্য।

০৫ ১৩
গবেষকদের দাবি, প্রাণীটি অ্যারিস্টোন্যাক্টস বংশের অন্তর্গত, যা অন্যান্য এলাসোসোসৌরের থেকে সামান্য আলাদা কারণ এদের গলা তুলনামূলক অনেক লম্বা। এই বিশাল গলার জন্যই একে লক নেস দানব বলে মনে করা হয়েছিল।

গবেষকদের দাবি, প্রাণীটি অ্যারিস্টোন্যাক্টস বংশের অন্তর্গত, যা অন্যান্য এলাসোসোসৌরের থেকে সামান্য আলাদা কারণ এদের গলা তুলনামূলক অনেক লম্বা। এই বিশাল গলার জন্যই একে লক নেস দানব বলে মনে করা হয়েছিল।

০৬ ১৩
এলাসোসোসৌর গোত্রের এত বড় এলাসমসাউর জাতীয় সরীসৃপের খোঁজ এর আগে কখনও মেলেনি। এটিই প্রথম আবিষ্কৃত সম্পূর্ণ সরীসৃপ জীবাশ্ম। অনেক বছর ধরে জলে থাকার দরুন এর শরীরের অনেক অংশ ক্ষয়ে গিয়েছে।

এলাসোসোসৌর গোত্রের এত বড় এলাসমসাউর জাতীয় সরীসৃপের খোঁজ এর আগে কখনও মেলেনি। এটিই প্রথম আবিষ্কৃত সম্পূর্ণ সরীসৃপ জীবাশ্ম। অনেক বছর ধরে জলে থাকার দরুন এর শরীরের অনেক অংশ ক্ষয়ে গিয়েছে।

০৭ ১৩
গবেষকেরা এটাও মনে করছেন যে, যখন ডাইনোসর পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তখনও কোনও ভাবে এই প্রাণীটি নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।

গবেষকেরা এটাও মনে করছেন যে, যখন ডাইনোসর পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তখনও কোনও ভাবে এই প্রাণীটি নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।

০৮ ১৩
এলাসমসাউর হল প্লিজিওসৌরদের উপজাতি। এদের গলার পরিমাপ অসম্ভব লম্বা এবং এর সম্পূর্ণ উচ্চতা ২০ ফুট। বিশালাকৃতি এই প্রাণীগুলি জলে বসবাস করত এবং শ্বাস নেওয়ার জন্য জলের উপরে আসত।

এলাসমসাউর হল প্লিজিওসৌরদের উপজাতি। এদের গলার পরিমাপ অসম্ভব লম্বা এবং এর সম্পূর্ণ উচ্চতা ২০ ফুট। বিশালাকৃতি এই প্রাণীগুলি জলে বসবাস করত এবং শ্বাস নেওয়ার জন্য জলের উপরে আসত।

০৯ ১৩
বিজ্ঞানীদের মতে, এলাসমসাউরা প্লিজিওসৌর উপজাতির সঙ্গে নতুন করে পরিবার গঠন করে যা ক্রিটেসিয়াস যুগে বিশালাকৃতি এই সামুদ্রিক জীব তৈরি করেছিল।

বিজ্ঞানীদের মতে, এলাসমসাউরা প্লিজিওসৌর উপজাতির সঙ্গে নতুন করে পরিবার গঠন করে যা ক্রিটেসিয়াস যুগে বিশালাকৃতি এই সামুদ্রিক জীব তৈরি করেছিল।

১০ ১৩
প্লিজিওসৌর হল সামুদ্রিক সরীসৃপ, যা ২১.৫ কোটি থেকে ৮ কোটি বছর আগে বসবাস করত।

প্লিজিওসৌর হল সামুদ্রিক সরীসৃপ, যা ২১.৫ কোটি থেকে ৮ কোটি বছর আগে বসবাস করত।

১১ ১৩
এই দীর্ঘ গলা বিশিষ্ট সামুদ্রিক জীবটি আদতে কী? তা নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি ছিল, এরা নেসি প্রজাতির অন্তর্গত। আবার কেউ বলেছিলেন, এরা প্লিজিওসৌর। এমনকি এরা আদতেও এলসমোসোসরিডের অন্তর্গত ছিল কিনা তা নিয়েও ছিল জল্পনা।

এই দীর্ঘ গলা বিশিষ্ট সামুদ্রিক জীবটি আদতে কী? তা নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি ছিল, এরা নেসি প্রজাতির অন্তর্গত। আবার কেউ বলেছিলেন, এরা প্লিজিওসৌর। এমনকি এরা আদতেও এলসমোসোসরিডের অন্তর্গত ছিল কিনা তা নিয়েও ছিল জল্পনা।

১২ ১৩
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক জস জর্মান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে জানিয়েছেন যে,'অনেক বছর ধরে জানা অসম্ভব ছিল যে এই নতুন খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মটি আদতে এলসমোসোসরির অন্তর্গত ছিল নাকি প্লিজিওসৌরদের অন্য কোনও উপজাতি ছিল।

এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক জস জর্মান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে জানিয়েছেন যে,'অনেক বছর ধরে জানা অসম্ভব ছিল যে এই নতুন খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মটি আদতে এলসমোসোসরির অন্তর্গত ছিল নাকি প্লিজিওসৌরদের অন্য কোনও উপজাতি ছিল।

১৩ ১৩
তাঁর মতে, যেহেতু এই সামুদ্রিক জীবটির লম্বা গলা, তার থেকে গবেষকদের মোটামুটি একমত হয়েছেন যে, এটি একটি প্লিজিওসৌর।

তাঁর মতে, যেহেতু এই সামুদ্রিক জীবটির লম্বা গলা, তার থেকে গবেষকদের মোটামুটি একমত হয়েছেন যে, এটি একটি প্লিজিওসৌর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE