Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Rome

রোমে মাটির নীচে হদিশ মিলল সম্রাট নিরোর আমলের গোপন কুঠুরির

প্রায় দু’হাজার বছর আগে সেটি তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ১৪:৪৪
Share: Save:
০১ ০৯
রোমে মাটির তলায় গোপন কুঠুরির হদিশ মিলল। আজ থেকে প্রায় দু’হাজার বছর আগে সেটি তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

রোমে মাটির তলায় গোপন কুঠুরির হদিশ মিলল। আজ থেকে প্রায় দু’হাজার বছর আগে সেটি তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

০২ ০৯
রোমে ঐতিহাসিক নির্মাণ কেন্দ্রে মেরামতির কাজ চলছিল। খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে সম্প্রতি সেখানেই হদিশ এই গোপন কুঠুরির হদিশ পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ওই কুঠুরির দেওয়ালে নরঘোটক-সহ নানা পৌরাণিক জীবের ছবি আঁকা রয়েছে। রয়েছে ফুল-পাতা, সাপ এবং পাখির ছবিও।

রোমে ঐতিহাসিক নির্মাণ কেন্দ্রে মেরামতির কাজ চলছিল। খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে সম্প্রতি সেখানেই হদিশ এই গোপন কুঠুরির হদিশ পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ওই কুঠুরির দেওয়ালে নরঘোটক-সহ নানা পৌরাণিক জীবের ছবি আঁকা রয়েছে। রয়েছে ফুল-পাতা, সাপ এবং পাখির ছবিও।

০৩ ০৯
দেওয়ালের গায়ে এই ধরনের চিত্র বা ফ্রেস্কো বহু বছর আগে আঁকা। ছবিগুলির রং খানিকটা ফিকে হয়ে গেলেও, সেগুলি ভাল অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। পঞ্চম রোমান সম্রাট নিরোর যে চোখ ধাঁধানো প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন, এই কুঠুরি তারই একটি অংশ বলে ধারণা তাঁদের।

দেওয়ালের গায়ে এই ধরনের চিত্র বা ফ্রেস্কো বহু বছর আগে আঁকা। ছবিগুলির রং খানিকটা ফিকে হয়ে গেলেও, সেগুলি ভাল অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। পঞ্চম রোমান সম্রাট নিরোর যে চোখ ধাঁধানো প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন, এই কুঠুরি তারই একটি অংশ বলে ধারণা তাঁদের।

০৪ ০৯
৫৪ থেকে ৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রোমের শাসক ছিলেন সম্রাট নিরো। তবে পূর্বসূরিদের মতো তাঁর ভাবমূর্তি একেবারেই উজ্জ্বল নয়। বরং অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের হোতা বলে পরিচিত। এমনকি ক্ষমতার লোভে নিজের মা এগ্রিপিনাকেও পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিষ খাইয়ে হত্যা করেছিলেন সত্ভাই  ব্রিতানিকাসকেও।

৫৪ থেকে ৬৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রোমের শাসক ছিলেন সম্রাট নিরো। তবে পূর্বসূরিদের মতো তাঁর ভাবমূর্তি একেবারেই উজ্জ্বল নয়। বরং অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের হোতা বলে পরিচিত। এমনকি ক্ষমতার লোভে নিজের মা এগ্রিপিনাকেও পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিষ খাইয়ে হত্যা করেছিলেন সত্ভাই ব্রিতানিকাসকেও।

০৫ ০৯
৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছিল রোম সাম্রাজ্য। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ছ’দিন ধরে জ্বলতে থাকা সেই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল সবকিছু। তার মধ্যেও নাকি  নিরোকে অস্বাভাবিকরকম নির্বিকার থাকতে দেখা গিয়েছিল।

৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছিল রোম সাম্রাজ্য। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ছ’দিন ধরে জ্বলতে থাকা সেই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল সবকিছু। তার মধ্যেও নাকি নিরোকে অস্বাভাবিকরকম নির্বিকার থাকতে দেখা গিয়েছিল।

০৬ ০৯
রোমের অধিবাসীদের দাবি, বিশাল এলাকা জুড়ে চোখ ধাঁধানো প্রাসাদ গড়তে চেয়েছিলেন সম্রাট নিরো। তাই নিজেই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। যে কারণে আগুন নেভার সঙ্গে সঙ্গেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নির্মাণকার্য শুরু করে দেন। প্রাসাদ তৈরির খরচ তুলতে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি করের বোঝাও চাপিয়ে দেন বলে অভিযোগ নিরোর বিরুদ্ধে।

রোমের অধিবাসীদের দাবি, বিশাল এলাকা জুড়ে চোখ ধাঁধানো প্রাসাদ গড়তে চেয়েছিলেন সম্রাট নিরো। তাই নিজেই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। যে কারণে আগুন নেভার সঙ্গে সঙ্গেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নির্মাণকার্য শুরু করে দেন। প্রাসাদ তৈরির খরচ তুলতে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি করের বোঝাও চাপিয়ে দেন বলে অভিযোগ নিরোর বিরুদ্ধে।

০৭ ০৯
এ ছাড়াও ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে যে, চোখের সামনে রোম যখন পুড়ছিল, তখন প্রাসাদে দাঁড়িয়ে বেহালা বাজাচ্ছিলেন নিরো। পরে তত্কালীন সংখ্যালঘু  খ্রিস্টানদের ঘাড়ে অগ্নিকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেন তিনি। তার জন্য কিছু খ্রিস্টানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যাও করেছিলেন।

এ ছাড়াও ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে যে, চোখের সামনে রোম যখন পুড়ছিল, তখন প্রাসাদে দাঁড়িয়ে বেহালা বাজাচ্ছিলেন নিরো। পরে তত্কালীন সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের ঘাড়ে অগ্নিকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেন তিনি। তার জন্য কিছু খ্রিস্টানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যাও করেছিলেন।

০৮ ০৯
অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ধ্বংসস্তূপের উপরই স্বপ্নের দোমাস অরিয়া বা স্বর্ণগৃহ নির্মাণ করেন। হাতির দাঁত এবং মূল্যবান রত্ন দিয়ে সাজান প্রাসাদটিকে। কিন্তু তার অল্পদিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। দেশের সেনেট তাঁকে জনগণের শত্রু ঘোষণা করে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ধ্বংসস্তূপের উপরই স্বপ্নের দোমাস অরিয়া বা স্বর্ণগৃহ নির্মাণ করেন। হাতির দাঁত এবং মূল্যবান রত্ন দিয়ে সাজান প্রাসাদটিকে। কিন্তু তার অল্পদিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ চরমে পৌঁছয়। দেশের সেনেট তাঁকে জনগণের শত্রু ঘোষণা করে।

০৯ ০৯
প্রাণে বাঁচতে প্রথমে পালিয়ে গেলেও, পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন নিরো। তাঁর মৃত্যুর পর পরবর্তী শাসকরা ওই প্রাসাদ ভেঙে ফেলেন। তার পরিবর্তে সেখানে তৈরি হয় গ্ল্যাডিয়েটরদের জন কলোসিয়াম। সাধারণ মানুষের জন্য বিশাল স্নানাগারও তৈরি হয়। গোপন কুঠুরিটি ওই প্রাসাদেরই অংশ বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের।

প্রাণে বাঁচতে প্রথমে পালিয়ে গেলেও, পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন নিরো। তাঁর মৃত্যুর পর পরবর্তী শাসকরা ওই প্রাসাদ ভেঙে ফেলেন। তার পরিবর্তে সেখানে তৈরি হয় গ্ল্যাডিয়েটরদের জন কলোসিয়াম। সাধারণ মানুষের জন্য বিশাল স্নানাগারও তৈরি হয়। গোপন কুঠুরিটি ওই প্রাসাদেরই অংশ বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ববিদদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE