টিভি এখন আর মোটেই ‘বোকা বাক্স’ নেই। স্মার্ট টিভি, এলইডি, ওএলইডি, ৪কে, এইচডিআর-এর মতো নানান টিভি বাজারে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে টিভি ইন্ডাস্ট্রি আরও উন্নত হচ্ছে। তাই টিভি কেনার আগে কয়েকটা জিনিস একটু দেখে নেওয়া ভাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
স্ক্রিন সাইজ: এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টিভি কোথায় রাখবেন, কত জন মিলে দেখতে চান সেই মতো টিভির সাইজ ঠিক করুন। কত দূরে বসে দেখবেন, সেটা ভেবে সাইজ দেখে নিন।
০২১০
স্ক্রিন রেজোলিউশন: টিভির ছবি কতটা শার্প হবে, সেটা বোঝা যাবে রেজোলিউশন দেখলে। আজকাল নানা রেজোলিউশনে টিভি মেলে। ৭২০ পিক্সেল, ১০৮০ পিক্সেল বা ফুল এইচডি। আজকাল এইচডি টিভির থেকে আল্ট্রা এইচডি টিভি বানাচ্ছেন অনেক নির্মাতা। তবে ফুল এইচডি ১০৮০ পিক্সেল-টাই বাজারে সব চেয়ে বেশি চলে। তবে আরও ভাল পেতে গেলে ট্রাই করুন ৪কে।
০৩১০
এইচডিএমআই পোর্টস: সাউন্ডবার, ক্রোমকাস্ট বা রকু-সেট জলদি হবে যদি বেশি এইচডিএমআই পোর্টস থাকে। যদি ৪কে আলট্রা এইচডি কিনে থাকেন, তাহলে টিভির পোর্ট এইচডিএমআই ২.০ সাপোর্ট করে কিনা দেখবেন। টিভিতে ন্যূনতম ৩টি পোর্ট রয়েছে কি না দেখবেন।
০৪১০
রিফ্রেশ রেটস: স্ক্রিনে প্রতি সেকেন্ডে ইমেজ কতবার রিফ্রেশ হচ্ছে, সেটাকে বলে রিফ্রেশ রেট। হার্ৎজ দিয়ে এটা পরিমাপ করা যায়। ৬০, ১২০ এমনকী ১৪৪ হার্ৎজেরও টিভি রয়েছে। রিডিউস মোশন ব্লার আর ইমেজের মধ্যে অনায়াস ফ্লো ভাল হবে তখনই, যখন রিফ্রেশ রেটের পরিমাণ বাড়বে।
০৫১০
স্পিকার্স: আজকাল বেশির ভাগ টিভিরই স্পিকার খুব উন্নতমানের নয়। খুব দামি টিভি ছাড়া দেখা যায়, পিকচার কোয়ালিটি হয়ত ভাল, কিন্তু টিভির আওয়াজ তেমন ভাল নয়। বড় টিভির সঙ্গে আলাদা স্পিকার নেওয়াই ভাল।
০৬১০
ফিচার্স: আসল ফিচার্সের থেকে স্মার্ট ফিচার্স নিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাঁওতাবাজি চলে। তাই টিভির বেসিক ফিচার্স, যেমন, পিকচার কোয়ালিটি, সাউন্ড, পোর্টের সংখ্যা ইত্যাদি ভাল করে দেখে নিন।
০৭১০
ব্যাকলাইটিং টেকনোলজি: এলসিডি টিভি কেনার প্ল্যানিং করছেন? তাহলে এর কাজকর্ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভাল। কারণ স্ক্রিনের কনট্রাস্টের ওপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যাক লাইট নিয়ে মাঝে মধ্যেই সমস্যা হয়। আর কনট্রাস্টের জন্য টিভিতে ভাল ব্যাকলাইট দরকার। কেনার সময় দেখে নেবেন।
০৮১০
কালার ডেপথ: দামী টিভি কিনতে গেলে দেখে নেবেন, তা ৮ বিট্স পার চ্যানেল বা তার বেশির কি না। বিশেষ করে ওই পার চ্যানেলের বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। ফটো রিয়েলিস্টিক ইমেজ কি আপনার বাছাই করা টিভি দিতে পারছে, দেখে নেবেন।
০৯১০
কার্ভড কি না: কার্ভড টিভি এখনও সে ভাবে জনপ্রিয় হয়নি। এটা আপনার চোখের দেখার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। ফ্ল্যাট টিভির দেখেও ছবি শার্প হয়। তবে সমস্যা হল, সামনা সামনি ঠিকঠাক জায়গায় না বসলে ছবি ঘেঁটে যাবে।
১০১০
স্মার্ট টিভি: ইন্টারনেট কানেক্ট করা যাবে এর সঙ্গে। ওয়াইফাই দিয়ে নেটফ্লিক্সের মতো কিছু অ্যাপও কানেক্ট করা যায়। তারের ঝামেলা না পোষালে স্মার্ট টিভি ঘরে আনুন।