Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Children

সন্তান অমনোযাগী? এ সব উপায়ে সহজেই দূর করুন এই সমস্যা

মনঃসংয়োগের অভাব প্রভাব ফেলে পরীক্ষার ফলেও। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সন্তানের অন্যমনস্কতা কাটবে সহজেই। জেনে নিন সে সব।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ১১:৩৭
Share: Save:
০১ ০৮
পড়াশোনা হোক বা অন্য কোনও কাজ, মনঃসংযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানের অন্যমনস্ক হাবভাব নাজেহাল করে অভিভাবকদের। মনঃসংয়োগের অভাব প্রভাব ফেলে পরীক্ষার ফলেও। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সন্তানের অন্যমনস্কতা কাটবে সহজেই। জেনে নিন সে সব। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।

পড়াশোনা হোক বা অন্য কোনও কাজ, মনঃসংযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সন্তানের অন্যমনস্ক হাবভাব নাজেহাল করে অভিভাবকদের। মনঃসংয়োগের অভাব প্রভাব ফেলে পরীক্ষার ফলেও। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সন্তানের অন্যমনস্কতা কাটবে সহজেই। জেনে নিন সে সব। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।

০২ ০৮
সন্তান যখন কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন ঠিক কোন পর্যায়ে এসে সে মনঃসংযোগ হারাচ্ছে তা লক্ষ করুন। বুঝে নিন কোন কাজে সে বেশি আগ্রহী। তার আগ্রহ ও অমনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রগুলো বুঝলে সহজেই তাকে বুঝতে পারবেন। সন্তানের মনঃসংযোগ বাড়াতে কোনও মনোবিদের সাহায্য নিতে গেলে আপনার এই বুঝতে পারাটুকু কাজে আসবে। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তান যখন কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন ঠিক কোন পর্যায়ে এসে সে মনঃসংযোগ হারাচ্ছে তা লক্ষ করুন। বুঝে নিন কোন কাজে সে বেশি আগ্রহী। তার আগ্রহ ও অমনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রগুলো বুঝলে সহজেই তাকে বুঝতে পারবেন। সন্তানের মনঃসংযোগ বাড়াতে কোনও মনোবিদের সাহায্য নিতে গেলে আপনার এই বুঝতে পারাটুকু কাজে আসবে। ছবি: শাটারস্টক।

০৩ ০৮
সন্তান যখন কোনও জরুরি কাজ বা লেখাপড়ায় ব্যস্ত, তখন তার সামনে বসে টিভি দেখা, গান শোনা অথবা মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। মনোবিদদের মতে, এ সব ছোটদের মনঃসংযোগ নষ্ট করে। বরং সে সময় নিজেও কোনও বই পড়ুন অথবা সেলাইফোঁড়াই, লেখালিখি করুন— যাতে শিশুর চারপাশে একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

সন্তান যখন কোনও জরুরি কাজ বা লেখাপড়ায় ব্যস্ত, তখন তার সামনে বসে টিভি দেখা, গান শোনা অথবা মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। মনোবিদদের মতে, এ সব ছোটদের মনঃসংযোগ নষ্ট করে। বরং সে সময় নিজেও কোনও বই পড়ুন অথবা সেলাইফোঁড়াই, লেখালিখি করুন— যাতে শিশুর চারপাশে একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৪ ০৮
অনেক অভিভাবক সন্তানের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তার হাতে মোবাইল তুলে দেন। নিজেরাই তাকে মোবাইল গেমে ব্যস্ত রাখেন। চিকিৎসকদের মতে, এটি শিশুর মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আনে। গেমের দ্রুততার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলি অতি সক্রিয় হয়, যাতে একটানা কিছুতে মন বসানোর অভ্যাস কমে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

অনেক অভিভাবক সন্তানের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তার হাতে মোবাইল তুলে দেন। নিজেরাই তাকে মোবাইল গেমে ব্যস্ত রাখেন। চিকিৎসকদের মতে, এটি শিশুর মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আনে। গেমের দ্রুততার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে মস্তিষ্কের কোষগুলি অতি সক্রিয় হয়, যাতে একটানা কিছুতে মন বসানোর অভ্যাস কমে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৫ ০৮
সন্তানের জন্য প্রতি দিনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। কেবল পড়াশোনা নয়, নানা সৃজনশীল কাজ ও বাড়ির টুকটাক কাজও থাকুক তাতে। এতে তার মধ্যে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার একটা অভ্যাস তৈরি হবে। নানা কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এমন পরিবেশও সে পাবে না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

সন্তানের জন্য প্রতি দিনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। কেবল পড়াশোনা নয়, নানা সৃজনশীল কাজ ও বাড়ির টুকটাক কাজও থাকুক তাতে। এতে তার মধ্যে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার একটা অভ্যাস তৈরি হবে। নানা কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এমন পরিবেশও সে পাবে না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৬ ০৮
এই রুটিনে সন্তানের পছন্দের কাজ, এমনকি দৌড়োদৌড়ি করে খেলা ও টিভি দেখার জন্যও কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। এতে তার মন আনন্দে থাকবে। এ ছাড়া রুটিন প্রতি দিন একই রকম না রেখে প্রায়ই তার রদবদল ঘটান। তাতে একই রুটিনে অভ্যস্ত হতে গিয়ে সন্তান যান্ত্রিক হয়ে উঠবে না, ক্লান্তও হবে না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

এই রুটিনে সন্তানের পছন্দের কাজ, এমনকি দৌড়োদৌড়ি করে খেলা ও টিভি দেখার জন্যও কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। এতে তার মন আনন্দে থাকবে। এ ছাড়া রুটিন প্রতি দিন একই রকম না রেখে প্রায়ই তার রদবদল ঘটান। তাতে একই রুটিনে অভ্যস্ত হতে গিয়ে সন্তান যান্ত্রিক হয়ে উঠবে না, ক্লান্তও হবে না। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৭ ০৮
বড় কোনও কাজকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে দিন। এতে সন্তানের উপর চাপ পড়বে না, সে সহজেই কাজটি পালন করতে পারবে। দরকারে আপনিও সেই কাজে তাকে সাহায়্য করুন। সন্তানকে বাড়ির হালকা কিছু কাজ করতে দিন। তাকে বুঝতে দিন, এই কাজটা তারই, তাকেই করতে হবে। এতে দিনে দিনে কাজের গুরুত্ব বুঝে মনোযোগী হয়ে উঠবে। ছবি: শাটারস্টক।

বড় কোনও কাজকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে দিন। এতে সন্তানের উপর চাপ পড়বে না, সে সহজেই কাজটি পালন করতে পারবে। দরকারে আপনিও সেই কাজে তাকে সাহায়্য করুন। সন্তানকে বাড়ির হালকা কিছু কাজ করতে দিন। তাকে বুঝতে দিন, এই কাজটা তারই, তাকেই করতে হবে। এতে দিনে দিনে কাজের গুরুত্ব বুঝে মনোযোগী হয়ে উঠবে। ছবি: শাটারস্টক।

০৮ ০৮
ভাল কাজ করলে বা মন দিয়ে কোনও কাজ শেষ করতে পারলে তার প্রশংসা করুন। মনোবিজ্ঞান বলে, ছোটরা তার অভিভাবকদের মুখে প্রশংসা শুনতে চায়। এতে আরও মন দিয়ে কাজ করার প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে। কাজ ও মনঃসংযোগ দুইয়ের গুরুত্বই বুঝে জীবনে চলার পথ সুন্দর করে তুলতে পারবে। ছবি: শাটারস্টক।

ভাল কাজ করলে বা মন দিয়ে কোনও কাজ শেষ করতে পারলে তার প্রশংসা করুন। মনোবিজ্ঞান বলে, ছোটরা তার অভিভাবকদের মুখে প্রশংসা শুনতে চায়। এতে আরও মন দিয়ে কাজ করার প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে। কাজ ও মনঃসংযোগ দুইয়ের গুরুত্বই বুঝে জীবনে চলার পথ সুন্দর করে তুলতে পারবে। ছবি: শাটারস্টক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE