Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
garden

কিচেন গার্ডেন করার শখ আছে? তা হলে এ ভাবেই শুরু করুন সহজে

আজকাল বিশাল বাগানঘেরা বাড়ি আর কোথায়ই বা! তা বলে কি বাগান করার শখ শিকেয় তুলে রাখতে হবে? মোটেই না। বরং দেখে নিন কিচেন গার্ডেন শুরু করার সহজ কিছু উপায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৯
Share: Save:
০১ ০৮
ফল-ফসলের বাগান করতে পছন্দ করেন। অথচ আজকাল বিশাল বাগানঘেরা বাড়ি আর কোথায়ই বা! তা বলে কি বাগান করার শখ শিকেয় তুলে রাখতে হবে? মোটেই না। বরং দেখে নিন কিচেন গার্ডেন শুরু করার সহজ কিছু উপায়। তারপর সবুজ গাছপালায় সাজিয়ে তুলুন নিজের ফ্ল্যাট বা বাড়িকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

ফল-ফসলের বাগান করতে পছন্দ করেন। অথচ আজকাল বিশাল বাগানঘেরা বাড়ি আর কোথায়ই বা! তা বলে কি বাগান করার শখ শিকেয় তুলে রাখতে হবে? মোটেই না। বরং দেখে নিন কিচেন গার্ডেন শুরু করার সহজ কিছু উপায়। তারপর সবুজ গাছপালায় সাজিয়ে তুলুন নিজের ফ্ল্যাট বা বাড়িকে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০২ ০৮
কিচেন গার্ডেন করার আগে বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু জায়গা বেছে নিন। বাড়ির সব জায়গাই কিন্তু কিচেন গার্ডেনের জন্য উপযুক্ত নয়। গাছ বেড়ে ওঠার জন্য আলো যেমন প্রয়োজন, তেমনই কিন্তু ছায়াও খুব দরকারি। তাই জায়গা বাছার সময় এই দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখুন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

কিচেন গার্ডেন করার আগে বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু জায়গা বেছে নিন। বাড়ির সব জায়গাই কিন্তু কিচেন গার্ডেনের জন্য উপযুক্ত নয়। গাছ বেড়ে ওঠার জন্য আলো যেমন প্রয়োজন, তেমনই কিন্তু ছায়াও খুব দরকারি। তাই জায়গা বাছার সময় এই দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখুন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৩ ০৮
হাওয়া, আলো এগুলোর সঙ্গে নজর রাখুন কিচেন গার্ডেনের জন্য বাছা জায়গায় জমা জল সরে যাওয়ার পদ্ধতিও যেন থাকে। তেমন জায়গার অভাব হলে বারান্দা, রোদ-বাতাস ঢোকে এমন জানলার ধার, এমনকি ছাদেও ছোট আকারে বানাতে পারেন কিচেন গার্ডেন। —ফাইল চিত্র।

হাওয়া, আলো এগুলোর সঙ্গে নজর রাখুন কিচেন গার্ডেনের জন্য বাছা জায়গায় জমা জল সরে যাওয়ার পদ্ধতিও যেন থাকে। তেমন জায়গার অভাব হলে বারান্দা, রোদ-বাতাস ঢোকে এমন জানলার ধার, এমনকি ছাদেও ছোট আকারে বানাতে পারেন কিচেন গার্ডেন। —ফাইল চিত্র।

০৪ ০৮
প্রথম দিকে সহজ পরিচর্যা ও দ্রুত ফলনশীল কিছু গাছের চারা কিনুন। পুদিনা পাতা, পার্শলে পাতা, লেটুস, পেঁয়াজ, টম্যাটো, লঙ্কা, বেগুন, উচ্ছে এ সবের বনসাই করুন। এ সব পাতা ও ফসল উৎপন্ন করার পরিশ্রম কম।  সময়ও লাগে কম। প্রথম দিকে সাফল্য এলে গাছের প্রতি নেশা ও বাগানের শখও বাড়বে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

প্রথম দিকে সহজ পরিচর্যা ও দ্রুত ফলনশীল কিছু গাছের চারা কিনুন। পুদিনা পাতা, পার্শলে পাতা, লেটুস, পেঁয়াজ, টম্যাটো, লঙ্কা, বেগুন, উচ্ছে এ সবের বনসাই করুন। এ সব পাতা ও ফসল উৎপন্ন করার পরিশ্রম কম। সময়ও লাগে কম। প্রথম দিকে সাফল্য এলে গাছের প্রতি নেশা ও বাগানের শখও বাড়বে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৫ ০৮
অনেকেই ফ্ল্যাটে থাকেন, স্কোয়্যার ফুটের অঙ্কে জায়গাও থাকে না বেশি। সে ক্ষেত্রে লম্বালম্বি কোনও জায়গা বাছার কথা ভাবুন। বারান্দার কোণায় র‌্যাক করে সেখানে গাছ রাখুন। পাঁচিল ঘেঁষে বেড়া দিয়ে বা লাঠিজাতীয় জিনিস রেখে তার উপরও পরপর রাখতে পারেন গাছ। এতে জায়গা বাঁচে, ঘন হয়ে থাকা গাছ সৌন্দর্যও বাড়ায়। ছবি: শাটারস্টক।

অনেকেই ফ্ল্যাটে থাকেন, স্কোয়্যার ফুটের অঙ্কে জায়গাও থাকে না বেশি। সে ক্ষেত্রে লম্বালম্বি কোনও জায়গা বাছার কথা ভাবুন। বারান্দার কোণায় র‌্যাক করে সেখানে গাছ রাখুন। পাঁচিল ঘেঁষে বেড়া দিয়ে বা লাঠিজাতীয় জিনিস রেখে তার উপরও পরপর রাখতে পারেন গাছ। এতে জায়গা বাঁচে, ঘন হয়ে থাকা গাছ সৌন্দর্যও বাড়ায়। ছবি: শাটারস্টক।

০৬ ০৮
ছোট আকারে বাগান করার জায়গা মিললে প্রথমেই ঠিক করে নিন কোন ফসলের জন্য কতটুকু জায়গা বরাদ্দ করবেন। প্রতিটি সব্জির জন্য ১৫-২০ শতাংশ জায়গা নিন। অনেকটা জায়গা লাগে এমন গাছ বাদ দিয়ে বরং, কম জায়গায় ফলনশীল ফসলের কথা ভাবুন। বিট, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কার কথা ভাবতে পারেন এ ক্ষেত্রে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

ছোট আকারে বাগান করার জায়গা মিললে প্রথমেই ঠিক করে নিন কোন ফসলের জন্য কতটুকু জায়গা বরাদ্দ করবেন। প্রতিটি সব্জির জন্য ১৫-২০ শতাংশ জায়গা নিন। অনেকটা জায়গা লাগে এমন গাছ বাদ দিয়ে বরং, কম জায়গায় ফলনশীল ফসলের কথা ভাবুন। বিট, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কার কথা ভাবতে পারেন এ ক্ষেত্রে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

০৭ ০৮
সাকসেশন প্ল্যান্টিংয়ের কথা ভাবুন। একই জমিতে অনেক গাছকে নিয়ম করে এক একটা সারি বা এলাকা ভিত্তিক উপায়ে ভাগ করে নেওয়া সাকসেশন প্ল্যান্টিংয়ের একটা ধরন। এমন ধরনের প্ল্যান্টিংয়ের মজা হল এক সঙ্গে অনেক ফসল মেলে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।

সাকসেশন প্ল্যান্টিংয়ের কথা ভাবুন। একই জমিতে অনেক গাছকে নিয়ম করে এক একটা সারি বা এলাকা ভিত্তিক উপায়ে ভাগ করে নেওয়া সাকসেশন প্ল্যান্টিংয়ের একটা ধরন। এমন ধরনের প্ল্যান্টিংয়ের মজা হল এক সঙ্গে অনেক ফসল মেলে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।

০৮ ০৮
বীজের গুণাগুণের উপরও গাছ নির্ভর করে। তাই নার্শারি থেকে বেছে কিনে আনুন স্বাস্থ্যকর ফসলওয়ালা গাছ। বীজ থেকে দুর্বল গাছ জন্মানোর চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে। কবে গাছ বেরবে সেই অপেক্ষারও প্রয়োজন পড়বে না। এর পর সেই ফসলের বীজ পুঁতুন মাটিতে। মাঝে মাঝেই মাটি খুঁড়ে দিন। জল-সার দিন যেটুকু প্রয়োজন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

বীজের গুণাগুণের উপরও গাছ নির্ভর করে। তাই নার্শারি থেকে বেছে কিনে আনুন স্বাস্থ্যকর ফসলওয়ালা গাছ। বীজ থেকে দুর্বল গাছ জন্মানোর চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে। কবে গাছ বেরবে সেই অপেক্ষারও প্রয়োজন পড়বে না। এর পর সেই ফসলের বীজ পুঁতুন মাটিতে। মাঝে মাঝেই মাটি খুঁড়ে দিন। জল-সার দিন যেটুকু প্রয়োজন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE