Some ways to introduce your life partner to the people in your family dgtl
relationship
পরিবারের সঙ্গে প্রিয়জনের প্রথম আলাপের টেনশন? এ বার মুশকিল আসান
এ সব ক্ষেত্রে অনেক সময়েই ফার্স্ট ইম্প্রেশনই লাস্ট ইম্প্রেশন হয়ে দাঁড়ায়! তাই মাথায় রাখুন এ সব।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ১২:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
প্রেমটা কি মেনে নেবে পরিবার? বাড়ির সকলের সঙ্গে আদৌ প্রিয় জন মিশতে পারবে তো? কেমন হবে তাদের সমীকরণ— এ সব কিন্তু এই প্রজন্মের কাছে মোটেও ‘অমূলক ভাবনা’ নয়। আর কে না জানে, এ সব ক্ষেত্রে অনেক সময়েই ফার্স্ট ইম্প্রেশনই লাস্ট ইম্প্রেশন হয়ে দাঁড়ায়! তাই প্রিয় জনের সঙ্গে বাবা-মায়ের আলাপের দিন মেনে চলুন কিছু জরুরি টিপস। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
০২১১
ইমপ্রেস নয়: যে যেমন সে তেমনই। তাই ইমপ্রেস করার অকারণ চেষ্টা কিন্তু বোকামি। বরং প্রিয় জন বা বাবা-মা— প্রত্যেকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যেমন প্রথম দিন থেকেই তা স্পষ্ট হোক। কারও কোনও বদভ্যাস থাকলে তা না ঢেকে বরং তা থেকে সরে আসতে তাকে সাহায্য করুন। কাউকে ইমপ্রেস করতে মিথ্যে ইমেজ তৈরির চেয়ে তা ঢের উপকারী। ছবি: শাটারস্টক।
০৩১১
বাড়ি গোঁড়া, সঙ্গী আধুনিক: হতেই পারে এমন। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে যদি সঙ্গীর জীবনশৈলীতে আপত্তি না থাকে, তা হলে দু’টিকে ব্যালান্স করার দায়িত্বও আপনার। অন্যের ভাবনা বা অভ্যেস না বদলে চেষ্টা করুন এমন কিছু করতে যাতে সংঘাত কম আসে। এলেও সামলে নিতে পারেন। প্রথম দিন থেকেই দু’-পক্ষের কাছে স্পষ্ট হোক দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গি। ছবি: শাটারস্টক।
০৪১১
নাস্তিক সঙ্গী: এ অবাস্তব নয় মোটেই। কারও ধর্মীয় বিশ্বাসকেই জোর করে বদলাবেন না। বরং নজর রাখুন যেন দু’-পক্ষই নিজের বাঁচিয়ে এক সঙ্গে আনন্দে থাকতে পারে। নাস্তিক সঙ্গীর কাছে পুজোকে উপস্থাপন করুন ধর্মীয় বেড়াজালের ঊর্ধ্বে, কাছের মানুষদের আনন্দোৎসব হিসেবে। বাড়িতেও বলুন সঙ্গীর ভাবনা, যাতে তাঁর ইচ্ছেও কোথাও মর্যাদা পায়। ছবি: নিজস্ব।
০৫১১
পোশাক: অনেকেই সঙ্গীকে বাধ্য করেন বাড়ির পছন্দ মতো পোশাক পরতে। সেটা না করাই বাঞ্ছনীয়। বরং সঙ্গী পরুক, যাতে সে স্বচ্ছন্দ এবং যা সে ভবিষ্যতে পরবেই। এতে প্রথম থেকেই স্পষ্ট হবে সকলের অবস্থান। একান্তই মুশকিল হবে বুঝলে, প্রথম দিনই বাড়িতে জানিয়ে রাখুন এ ক্ষেত্রে অমিলের কথা, আর মাঝামাঝি কোনও অবস্থানে আসার চেষ্টা করুন। ছবি: শাটারস্টক।
০৬১১
ম্যানার্স: কাছের মানুষদের সঙ্গে আটপৌরে সংসারে কেউ গুড মর্নিং, থ্যাঙ্ক ইউ-এর ম্যানার্স মেনে চলে না। তবু মানতেই হয় কিছু বেসিক ম্যানার্স। প্রথম দিন থেকেই দু’পক্ষের তরফে সেটা শুরু হোক। সঙ্গীকে অভ্যর্থনা জানানো থেকে বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন— হাত ধরে চলুক দু’টোই। এড়িয়ে চলুন তর্কও। এতে তিক্ততা আসে প্রথমেই। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।
০৭১১
প্রণামে অস্বস্তি: এই প্রজন্মের অনেকেরই তা আছে। আবার বাবা-মায়ের অনেকেই এই মনোভাবে ঔদ্ধত্য দেখেন। আপনার বাড়িও এমন গোঁড়া হলে, কাউকে আঘাত না দিয়ে এখানে একটু বুদ্ধি খাটান, সঙ্গীকে বলুন, প্রথম দিন প্রণামটুকু সারতে, আর তখনই সুন্দর করে জানিয়ে রাখুন যে, সে আসলে এটা পছন্দ করে না, কেবল প্রথম দিন বলেই…। ছবি: নিজস্ব।
০৮১১
মিথ্যে তথ্য নয়: কোনও বিষয়েই দু’পক্ষের কাছে কোনও মিথ্যে তথ্য জানাবেন না। এক সঙ্গে থাকতে থাকতে এক দিন না এক দিন সব তথ্যই সকলের সামনে আসবে। তখন অকারণ সমস্যায় পড়বেন। ছবি: শাটারস্টক।
০৯১১
দেখা করান বাড়িতেই: যে বাড়িতে সঙ্গীকে নিয়ে থাকবেন বা সঙ্গীর যাতায়াত থাকবে, দেখা হোক সেখানেই। বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখান, যাতে তিনি নিজেকেও বাড়ির সদস্য বলে ভাবতে পারেন। আজকাল অনেক অভিভাবক আগে থেকেই বিয়ের পর ছেলে-মেয়ের আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন, তেমন হলেও প্রথম দেখা হোক বাবা-মা যে বাড়িতে থাকেন, সেখানেই। ছবি: শাটারস্টক।
১০১১
রেস্তরাঁ নয়: ভাগাড়-ভয়ে ভীত না হলেও প্রথম দিনের খাওয়া-দাওয়ায় রেস্তরাঁ এড়িয়ে চলুন। বরং বাড়ির লোকের বানানো খাবারে যে আন্তরিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, বাইরে থেকে আনানো সুস্বাদু খাবারেও তা মেলে না। খুব অসুবিধা থাকলে তবেই শরণ নিন রেস্তরাঁর।
১১১১
অ্যাডজাস্টমেন্ট: এটাই ‘দ্য কি ওয়ার্ড অব রিলেশনশিপ’। সকলের সব ইচ্ছে, সব বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েও জীবনের প্রতি বাঁকেই কম-বেশি মানিয়ে চলা লাগেই। মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই মানিয়ে নিতেও জানতে হবে। হ্যাঁ, দু’পক্ষকেই। মানিয়ে নিতে হোক বা না হোক, প্রথম দিনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে যেন মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি দু’তরফেই থাকে। ছবি: আনস্প্ল্যাশ।