শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ ১৩:২২
বয়স ৩০ পেরিয়েছে, অথচ জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস এখনও পাল্টাননি, এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। আধুনিক জীবনযাপনকর্মব্যস্ততার। আর এই ব্যস্ততার সিঁড়ি বেয়েই শরীরে উঠে আসছে নানা অসুখ। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের দৈনিক কিছু অভ্যাসের কারণেই জন্ম নেয় বড়সড় অসুখ। বয়স ত্রিশ ছুঁলেই বিপদ এড়াতে কী কী স্বভাব বদলে ফেলতেই হবে, জানেন?
বয়স অনুপাতে বিপাকক্রিয়ারও তারতম্য ঘটে। কোন বয়সের জন্য ঠিক কতটা বিপাকক্রিয়া নির্দিষ্ট, সে সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষেরই কোনও ধারণা নেই। অনেকেই ভাবেন, নিয়ম মেনে খাওয়া বা কঠোর ডায়েটই সুস্থ রাখবে। এ ধারণা আজই বদলান। চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন আপনার বিপাক হার কী হওয়া উচিত। ঠিক কেমন ডায়েট করলে তা ভারসাম্য রক্ষা করবে।
কর্মব্যস্ততার জেরে বাড়িতে রান্নার পাট চুকিয়ে দেন অনেকেই। অনেক বাড়িতেই অন্তত একবেলার খাবার বাইরে থেকে আসে। সে হোম ডেলিভারিই হোক বা রেস্তরাঁ। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাটের মতে, ‘‘সিদ্ধ ভাত বা হালকা স্যালাড বানানোর সময় পান? তা হলে সেটাই করুন। বাইরের তেল-মশলায় অভ্যস্ত হলে লিভারের অসুখ কেউ ঠেকাতে পারবে না।’’
সারা দিন কাজের ফাঁকে জল খাওয়ার ঘাটতি হয়। অনেকেই সে ঘাটতি পূরণ করেন চা কফি ও কোল্ড ড্রিঙ্ক খেয়ে। এ স্বভাব আজই তাড়ান। ঘন ঘন চা-কফি-কোল্ড ড্রিঙ্ক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ওবেসিটি, লিভারের অসুখ তো বটেই, এমনকি ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল ডেকে আনতেও এর জুড়ি নেই। জলের ঘাটতি মেটাতে বরং ডাবের জল, ডাল ইত্যাদি খান।
বাড়িতে শিশু থাকলে মায়েদের একটা প্রবণতাই থাকে বাচ্চার পাতে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট খেয়ে পেট ভরিয়ে নেওয়ার। এ অভ্যাস আপনারও থাকলে তা বদলান। একে তো কারও উচ্ছিষ্ট খাওয়াকেই চিকিৎসাবিজ্ঞান সমর্থন করে না। তার উপর এই অভ্যাসের জেরে নিজের জন্য পর্যাপ্ত খাবার আর আলাদা করে বানান না মায়েরা। এতে গ্যাস্ট্রিক-সহ নানা অসুখ বাড়ে।
অফিসের কাজ বাড়িতে আনা, সারা দিন অফিসের পরেও সারা ক্ষণ সে কাজেই মাথাকে ব্যস্ত রাখা, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার, সোশ্যাল সাইটে অতিরিক্ত উপস্থিতি ও মানসিক চাপে অনিদ্রা— এ সবই মধ্যবয়সীদের সাধারণ সমস্যা। সুস্থ থাকতে এ সব অভ্যাসে রাশ টানুন। বরং জীবনশৈলীর পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হন। ছবি: শাটারস্টক ও পিক্সঅ্যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
