Bengaluru Woman Has Written 700+ Exams for Differently-Abled dgtl
Pushpa NM
বছরে ৫০ থেকে ৬০, এখনও পর্যন্ত ৭০০টির বেশি পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন ৩১-এর এই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী
বেঙ্গালুরুর পুষ্পা এন এম। একজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। বয়স ৩১। তবে আর পাঁচ জন টেকির থেকে তিনি আলাদা। কেন জানেন?
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরুশেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৯:৫৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১১
বেঙ্গালুরুর পুষ্পা এন এম। একজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। বয়স ৩১। তবে আর পাঁচ জন টেকির থেকে তিনি আলাদা। কেন জানেন?
০২১১
পুষ্পা একজন স্ক্রাইব, প্রায় ৭০০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সাহায্য করেছেন তিনি পরীক্ষা দিতে। লিখেছেন তাঁদের হয়ে।
০৩১১
পুষ্পা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে নারীশক্তি পুরস্কার পেয়েছেন গত বছর। ২০০৭ সালে প্রথম তাঁর এক বন্ধু অনুরোধ করেন একজন দৃষ্টিহীন ব্যক্তির হয়ে পরীক্ষা দিতে। তিনি বলবেন, আর পুষ্পা লিখবেন। বন্ধুর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় সেই প্রথম কাজ পুষ্পার।
০৪১১
পুষ্পা বলেন, টাকার চেয়ে বেশি তাঁর বাড়িতে গুরুত্ব দেওয়া হত মন ভাল রাখার উপরেই। রাস্তাঘাট পেরোতে বহুবার সাহায্য করেছেন দৃষ্টিহীন ব্যক্তিকে।
০৫১১
আর্থিক অনটনের মধ্যেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্কুলের বেতন দিতে না পারায় পরীক্ষা হল থেকে এই পুষ্পাকেই বের করে দেওয়া হয়েছিল। পুষ্পা তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এক প্রতিবেশী আর্থিক সাহায্য করেন তখন।
০৬১১
স্কুলের শেষ পরীক্ষার ফি-ও দিতে পারেননি তিনি। পোলিও আক্রান্ত এক ব্যক্তি তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেন। পুষ্পা ভেবেছিলেন, নিজের পায়ে দাঁড়ালেই পিছিয়ে পড়া যে কোনও মানুষকে সাহায্য করবেন তিনিও।
০৭১১
এই মানুষগুলির হয়ে প্রতি বছর ৫০-৬০টি পরীক্ষা দেন পুষ্পা। ২২ বছরের কার্তিক সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র। পুষ্পা স্বেচ্ছায় কার্তিকের হয়ে লেখা শুরু করেন। ১২ বছর ধরে এ ভাবেই আরও অনেক মানুষের পাশে দাঁড়াছেন পুষ্পা, বলেন কার্তিকের বাবা।
০৮১১
পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে নেন পুষ্পা। তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় না হলে ওঁদের কথা বুঝবেন কী করে। পুষ্পা নিজের অফিসেও বলে রেখেছেন। পরীক্ষা এলেই যে ছুটির প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
০৯১১
তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের ভাবতেও তো সময় দিতে হয় পরীক্ষা হলে।’’ যিনি দৃষ্টিহীন তাঁকে প্রশ্ন পড়ে বুঝিয়ে দেন পুষ্পা। সময় যাতে নষ্ট না হয় খেয়াল রাখেন, কারণ তাঁদের ভবিষ্যতের খানিকটা পুষ্পার উপরেও যে নির্ভর করছে।
১০১১
পুষ্পার মত, করুণা নয়। বন্ধু হয়ে মিশতে হবে শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষগুলোর সঙ্গে। নিজের পরীক্ষার সময় এত আনন্দ পাননি, যতটা এই পড়ুয়ারা ভাল নম্বর পেলে তাঁর আনন্দ হয়, জানান পুষ্পা।
১১১১
চক্ষুদান কর্মসূচির সঙ্গেও যুক্ত পুষ্পা। এ ছাড়াও নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ছোটবেলায় তাঁর বাড়ির পাশে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল। সেই থেকেই মানুষের পাশে থাকার ভাবনা ছিল তাঁর মাথায়।